ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবাক এক অন্ধ বিবেক ও শর্ষের ভূত_নজরুল ইসলাম সুমন

  • আপডেট সময় ০৭:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই ২০১৮
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

সেই ছোট্টবেলায় কাকে যেন বলতে শুনেছিলাম “শক্তের ভক্ত নরমের যম”। দেশটা আমার সে পথেই। প্রতিটি মানুষ কেমন যেন ক্ষমতাবান কাউকে দেখলেই নেড়ী কুত্তার মত লেজ গুটিয়ে ফেলে। এখন আর বিবেকের চোখে কিছু দেখেনা কেউ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দেশে যা হচ্ছে, তা দেখে প্রশ্ন জাগে, এই ছেলে মেয়ে গুলো কোন দেশ থেকে এলো? এরা কি এই রাষ্ট্রের নাগরিক? এদের আন্দোলনের বিষয়টা কি অযৌক্তিক? এই ছাত্র- ছাত্রীরা যদি রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকে কিংবা তাদের দাবী যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে, তাহলে কেন এমন হচ্ছে? তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করেই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষনা দিলেন। কিন্তু এতদিনে কেন নূন্যতম অগ্রগতি হলোনা? গত দুদিন আগে আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলনে কেন হামলা হল? নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে ছাত্রীদেরকে? হামলায় রক্তাক্ত হল আমার দেশের মেধাবী সন্তানেরা। যাদেরকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, তাদের নামেই মামলা দিয়েছে এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে, রিমান্ডে নিয়েছে। হামলার শিকার আন্দোলনকারীদের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নুরু মূমুর্ষ অবস্হায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পান না। মেডিকেলের বারান্দায় পড়ে থেকেছেন। জনগণের টাকায় চলা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পাননি। বেসরকারি আনোয়ার খান মেডিকেলে এসেছেন, মাঝ রাতে বের করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের ভয়ে। শিক্ষক-নাগরিক সমাজ নীরব, নিশ্চুপ। যারা হামলাকারী, কুপিয়ে-পিটিয়ে রক্তাক্ত করল, নারী নিপীড়ন করল, ধর্ষণ-গুমের হুমকি দিল, তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ থেকে গেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপাচার্য আছেন। মাননীয় উপাচার্য, যিনি শিক্ষার্থীদের তো বটেই, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়ত্রিশ হাজারের অধিক সদস্যের এই পরিবারের অভিভাবক। গত দুইদিন ধরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হলেন। ছাত্রীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হলো, সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় অভিভাবক উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া জানা গেল না। সরাসরি শিক্ষার্থীদের দেখে রাখার দায়িত্ব প্রক্টর মহোদয়ের। সাংবাদিক ভাইদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব গোলাম রাব্বানী জানালেন, হামলার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। গত তিনদিনের যে তাণ্ডব সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখল, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যা দেখাল, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রকাশ হল’ তা তিনি জানেন না!
দ্যা ডেইলি স্টার লিখেছে, শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন, তখন সেখানে পুলিশ ছিল। মোটরসাইকেল যোগে হামলাকারীরা এলেন, তাদের আসা দেখে পুলিশ চলে গেল। সিনেমার দৃশ্যের মতো রাজপথ রক্তাক্ত হওয়ার পর তারা এলেন। একটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন, এই হামলায় তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমরা দেখলাম, সেই হামলায় ঐ সংগঠনের বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ সম্পৃক্ত। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই জানেন।
বাংলাদেশে নারী আছেন, নারী নেত্রী আছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আছে, নেতা আছেন। সুশীল সমাজ আছে, নেতা আছেন। এভাবে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার সংগঠন আছে, নেতা আছেন। তাঁরা সবাই নিশ্চুপ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল বা রাশেদরা নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত হবে, গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডেও যাবে। মামুন গ্রেফতার হবেন, আরো অনেকে মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকবেন। রাশেদের মা আদালতে দা্ঁড়িয়ে আর্তনাদ করে বলছেন “আমার বাবারে ছাইড়া দেন, আমি তারে নিয়ে গ্রামে যাই’ চাকরীর দরকার নাই”।
নুরুল, রাশেদদের বাবা-চাচারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। কেউ কেউ এখন তাদের বলছেন, রাজাকার স্বাধীনতা। একথা বলে কি মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছেনা! নুরুলদের রক্ত ঝরিয়ে কোটা সংস্কার কমিটি হলো, নির্যাতন এখনো বন্ধ হলো না। অতীতেও গরিব- দিনমজুর নুরুল বা রাশেদদের বাবা- চাচাদেরই বেশী মূল্য দিতে হয়েছিল, স্বাধীন দেশেও মূল্য তারা বা তাদের সন্তানেরাই বেশী দিচ্ছেন।
এই যে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দায়িত্বে অবহেলা এবং মিথ্যাচার দেখে মনে হচ্ছে, তাঁহারা সত্য দেখেন না। তাঁহাদের দৃষ্টিশক্তি থাকার পরও দেখতে পান না। কারন তাঁহাদের বিবেক কাজ করেনা, যাকে বলে অন্ধ বিবেক। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পরও যাহাদের দায়িত্বে অবহেলার কারনে সময়ক্ষেপন হলো, যারা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করলেন, যে সকল পুলিশ সদস্য হামলার সুযোগ দিলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ ছিলেন এবং মিথ্যাচার করলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা আহতদের চিকিৎসা দিতে চাইলেন না, তারা আসলে কি চাচ্ছেন? তাঁহারা কি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারকে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিলেন না? নির্বাচনের বছরে সরকার যখন দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো ক্ষমতা যেতে চাচ্ছে, তখন এই ঘটনা কি সরকারের জন্য ক্ষতিকর হলো না? তাহলে প্রশ্ন আসে, সরকারের ভিতরে থেকে তাহারা কি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? এরা সরকারের ভিতরে সরকারের শত্রু নয় কি? এরাই কি তাহলে শর্ষের ভিতরে ভূত? সাধু সাবধান।_নজরুল ইসলাম সুমন, প্রবাসী লেখন ও ব্লগার।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

অবাক এক অন্ধ বিবেক ও শর্ষের ভূত_নজরুল ইসলাম সুমন

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই ২০১৮

সেই ছোট্টবেলায় কাকে যেন বলতে শুনেছিলাম “শক্তের ভক্ত নরমের যম”। দেশটা আমার সে পথেই। প্রতিটি মানুষ কেমন যেন ক্ষমতাবান কাউকে দেখলেই নেড়ী কুত্তার মত লেজ গুটিয়ে ফেলে। এখন আর বিবেকের চোখে কিছু দেখেনা কেউ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দেশে যা হচ্ছে, তা দেখে প্রশ্ন জাগে, এই ছেলে মেয়ে গুলো কোন দেশ থেকে এলো? এরা কি এই রাষ্ট্রের নাগরিক? এদের আন্দোলনের বিষয়টা কি অযৌক্তিক? এই ছাত্র- ছাত্রীরা যদি রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকে কিংবা তাদের দাবী যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে, তাহলে কেন এমন হচ্ছে? তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করেই মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষনা দিলেন। কিন্তু এতদিনে কেন নূন্যতম অগ্রগতি হলোনা? গত দুদিন আগে আন্দোলনকারীদের সংবাদ সম্মেলনে কেন হামলা হল? নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে ছাত্রীদেরকে? হামলায় রক্তাক্ত হল আমার দেশের মেধাবী সন্তানেরা। যাদেরকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, তাদের নামেই মামলা দিয়েছে এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে, রিমান্ডে নিয়েছে। হামলার শিকার আন্দোলনকারীদের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নুরু মূমুর্ষ অবস্হায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পান না। মেডিকেলের বারান্দায় পড়ে থেকেছেন। জনগণের টাকায় চলা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পাননি। বেসরকারি আনোয়ার খান মেডিকেলে এসেছেন, মাঝ রাতে বের করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের ভয়ে। শিক্ষক-নাগরিক সমাজ নীরব, নিশ্চুপ। যারা হামলাকারী, কুপিয়ে-পিটিয়ে রক্তাক্ত করল, নারী নিপীড়ন করল, ধর্ষণ-গুমের হুমকি দিল, তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ থেকে গেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপাচার্য আছেন। মাননীয় উপাচার্য, যিনি শিক্ষার্থীদের তো বটেই, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়ত্রিশ হাজারের অধিক সদস্যের এই পরিবারের অভিভাবক। গত দুইদিন ধরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হলেন। ছাত্রীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হলো, সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় অভিভাবক উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া জানা গেল না। সরাসরি শিক্ষার্থীদের দেখে রাখার দায়িত্ব প্রক্টর মহোদয়ের। সাংবাদিক ভাইদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব গোলাম রাব্বানী জানালেন, হামলার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। গত তিনদিনের যে তাণ্ডব সারা বাংলাদেশের মানুষ দেখল, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যা দেখাল, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রকাশ হল’ তা তিনি জানেন না!
দ্যা ডেইলি স্টার লিখেছে, শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন, তখন সেখানে পুলিশ ছিল। মোটরসাইকেল যোগে হামলাকারীরা এলেন, তাদের আসা দেখে পুলিশ চলে গেল। সিনেমার দৃশ্যের মতো রাজপথ রক্তাক্ত হওয়ার পর তারা এলেন। একটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন, এই হামলায় তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমরা দেখলাম, সেই হামলায় ঐ সংগঠনের বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ সম্পৃক্ত। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই জানেন।
বাংলাদেশে নারী আছেন, নারী নেত্রী আছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আছে, নেতা আছেন। সুশীল সমাজ আছে, নেতা আছেন। এভাবে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার সংগঠন আছে, নেতা আছেন। তাঁরা সবাই নিশ্চুপ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল বা রাশেদরা নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত হবে, গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডেও যাবে। মামুন গ্রেফতার হবেন, আরো অনেকে মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকবেন। রাশেদের মা আদালতে দা্ঁড়িয়ে আর্তনাদ করে বলছেন “আমার বাবারে ছাইড়া দেন, আমি তারে নিয়ে গ্রামে যাই’ চাকরীর দরকার নাই”।
নুরুল, রাশেদদের বাবা-চাচারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। কেউ কেউ এখন তাদের বলছেন, রাজাকার স্বাধীনতা। একথা বলে কি মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছেনা! নুরুলদের রক্ত ঝরিয়ে কোটা সংস্কার কমিটি হলো, নির্যাতন এখনো বন্ধ হলো না। অতীতেও গরিব- দিনমজুর নুরুল বা রাশেদদের বাবা- চাচাদেরই বেশী মূল্য দিতে হয়েছিল, স্বাধীন দেশেও মূল্য তারা বা তাদের সন্তানেরাই বেশী দিচ্ছেন।
এই যে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দায়িত্বে অবহেলা এবং মিথ্যাচার দেখে মনে হচ্ছে, তাঁহারা সত্য দেখেন না। তাঁহাদের দৃষ্টিশক্তি থাকার পরও দেখতে পান না। কারন তাঁহাদের বিবেক কাজ করেনা, যাকে বলে অন্ধ বিবেক। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পরও যাহাদের দায়িত্বে অবহেলার কারনে সময়ক্ষেপন হলো, যারা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করলেন, যে সকল পুলিশ সদস্য হামলার সুযোগ দিলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ ছিলেন এবং মিথ্যাচার করলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা আহতদের চিকিৎসা দিতে চাইলেন না, তারা আসলে কি চাচ্ছেন? তাঁহারা কি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারকে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিলেন না? নির্বাচনের বছরে সরকার যখন দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো ক্ষমতা যেতে চাচ্ছে, তখন এই ঘটনা কি সরকারের জন্য ক্ষতিকর হলো না? তাহলে প্রশ্ন আসে, সরকারের ভিতরে থেকে তাহারা কি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? এরা সরকারের ভিতরে সরকারের শত্রু নয় কি? এরাই কি তাহলে শর্ষের ভিতরে ভূত? সাধু সাবধান।_নজরুল ইসলাম সুমন, প্রবাসী লেখন ও ব্লগার।