ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরকে প্যারিস বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সম্মাননা ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল সীমান্ত হত্যা বন্ধে লণ্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত ফ্রান্সে গহরপুরবাসীর প্রথম সামাজিক সংগঠন ‘গহরপুর এসোসিয়েশন ইন ফ্রান্স’-এর আত্মপ্রকাশ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ব্যবসার মালিকানা পাবেন প্রবাসীরা

অভাবের কারনে ভারতের একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যা!

  • আপডেট সময় ০৮:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

ভারতে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে একই পরিবারের সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ ও ৪ বছরের দুই শিশুও রয়েছে। ৩০ জুলাই সোমবার সকালে রাঁচির কাংকে থানার আরসান্দ এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তীব্র আর্থিক অনটনের কারণে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারটির সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওই পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার ছিল। কিন্তু পুরো পরিবারে দীপক ঝাঁ নামের একজন ছাড়া অর্থ উপার্জনের আর কেউ ছিল না। তাই আর্থিক অনটন থেকে বাঁচতে দুনিয়াকেই বিদায় জানায় তারা। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সোমবার সকালে স্কুলের ভ্যান এসেছিল দীপক ঝাঁ’র মেয়ে দৃষ্টিকে স্কুলে নিয়ে যেতে। তারা দরজা খোলেনি। আর তারপরেই সামনে আসে পরিবারের সাত সদস্যের আত্মহননের মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরের দরজা খুলে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং অন্যদের মেঝেতে কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীপক ঝাঁ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী। বোনের বিয়ে হয়েছে। রাঁচির কাঙ্কেতে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক আর্থিক অনটনে ছিলেন তিনি।

দীপক ঝাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে জঙ্গু অসুস্থ। তার চিকিৎসায় ২০ লাখ রুপি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার। বড় পরিবার অর্থ উপার্জনের অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আর তাই আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছে পরিবারটি। সূত্র: জি নিউজ, এনডিটিভি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা*

অভাবের কারনে ভারতের একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যা!

আপডেট সময় ০৮:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮

ভারতে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে একই পরিবারের সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ ও ৪ বছরের দুই শিশুও রয়েছে। ৩০ জুলাই সোমবার সকালে রাঁচির কাংকে থানার আরসান্দ এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তীব্র আর্থিক অনটনের কারণে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারটির সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওই পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার ছিল। কিন্তু পুরো পরিবারে দীপক ঝাঁ নামের একজন ছাড়া অর্থ উপার্জনের আর কেউ ছিল না। তাই আর্থিক অনটন থেকে বাঁচতে দুনিয়াকেই বিদায় জানায় তারা। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সোমবার সকালে স্কুলের ভ্যান এসেছিল দীপক ঝাঁ’র মেয়ে দৃষ্টিকে স্কুলে নিয়ে যেতে। তারা দরজা খোলেনি। আর তারপরেই সামনে আসে পরিবারের সাত সদস্যের আত্মহননের মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরের দরজা খুলে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং অন্যদের মেঝেতে কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীপক ঝাঁ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী। বোনের বিয়ে হয়েছে। রাঁচির কাঙ্কেতে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক আর্থিক অনটনে ছিলেন তিনি।

দীপক ঝাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে জঙ্গু অসুস্থ। তার চিকিৎসায় ২০ লাখ রুপি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার। বড় পরিবার অর্থ উপার্জনের অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আর তাই আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছে পরিবারটি। সূত্র: জি নিউজ, এনডিটিভি।