ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে সাফ ফোর্স ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান প্যারিসে অন্নপূর্ণা পূজা পরিষদের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পহেলা মে, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপের আয়োজনে দিবসকে স্মরণ প্যারিসে বেংগল টাইগার্সে স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই ইতালিতে খোলা‌ মাঠে “বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদে’র বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপও সক্রিয় হয়েছে

অভাবের কারনে ভারতের একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যা!

  • আপডেট সময় ০৮:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
  • ২২৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে একই পরিবারের সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ ও ৪ বছরের দুই শিশুও রয়েছে। ৩০ জুলাই সোমবার সকালে রাঁচির কাংকে থানার আরসান্দ এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তীব্র আর্থিক অনটনের কারণে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারটির সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওই পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার ছিল। কিন্তু পুরো পরিবারে দীপক ঝাঁ নামের একজন ছাড়া অর্থ উপার্জনের আর কেউ ছিল না। তাই আর্থিক অনটন থেকে বাঁচতে দুনিয়াকেই বিদায় জানায় তারা। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সোমবার সকালে স্কুলের ভ্যান এসেছিল দীপক ঝাঁ’র মেয়ে দৃষ্টিকে স্কুলে নিয়ে যেতে। তারা দরজা খোলেনি। আর তারপরেই সামনে আসে পরিবারের সাত সদস্যের আত্মহননের মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরের দরজা খুলে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং অন্যদের মেঝেতে কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীপক ঝাঁ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী। বোনের বিয়ে হয়েছে। রাঁচির কাঙ্কেতে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক আর্থিক অনটনে ছিলেন তিনি।

দীপক ঝাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে জঙ্গু অসুস্থ। তার চিকিৎসায় ২০ লাখ রুপি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার। বড় পরিবার অর্থ উপার্জনের অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আর তাই আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছে পরিবারটি। সূত্র: জি নিউজ, এনডিটিভি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে সাফ ফোর্স ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

অভাবের কারনে ভারতের একই পরিবারের ৭ জনের আত্মহত্যা!

আপডেট সময় ০৮:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮

ভারতে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে একই পরিবারের সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ ও ৪ বছরের দুই শিশুও রয়েছে। ৩০ জুলাই সোমবার সকালে রাঁচির কাংকে থানার আরসান্দ এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তীব্র আর্থিক অনটনের কারণে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারটির সদস্যরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওই পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার ছিল। কিন্তু পুরো পরিবারে দীপক ঝাঁ নামের একজন ছাড়া অর্থ উপার্জনের আর কেউ ছিল না। তাই আর্থিক অনটন থেকে বাঁচতে দুনিয়াকেই বিদায় জানায় তারা। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

সোমবার সকালে স্কুলের ভ্যান এসেছিল দীপক ঝাঁ’র মেয়ে দৃষ্টিকে স্কুলে নিয়ে যেতে। তারা দরজা খোলেনি। আর তারপরেই সামনে আসে পরিবারের সাত সদস্যের আত্মহননের মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরের দরজা খুলে দুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং অন্যদের মেঝেতে কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতজনের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীপক ঝাঁ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী। বোনের বিয়ে হয়েছে। রাঁচির কাঙ্কেতে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক আর্থিক অনটনে ছিলেন তিনি।

দীপক ঝাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে জঙ্গু অসুস্থ। তার চিকিৎসায় ২০ লাখ রুপি খরচ হয়েছে। আরও অর্থ দরকার। বড় পরিবার অর্থ উপার্জনের অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আর তাই আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছে পরিবারটি। সূত্র: জি নিউজ, এনডিটিভি।