ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অ্যাসাইলাম পেতে মূল দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়: বললেন শাহরিয়ার আলম

  • আপডেট সময় ০৪:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলছেন, তারেক রহমানের ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া এবং পাসপোর্ট জমা দেবার কথা স্বীকার করে বিএনপি এখন ‘নতুন বিতর্কের কাদার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।’

তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক সামনে আসার প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলার কাছে স্বীকার করেন যে ২০১২ সালে তারেক রহমান ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন এবং এক বছরের মধ্যেই সেটি গৃহীত হয়।

এর পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা সবাই জানি যে একটা দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে হলে তার মূল দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়।

“আমার ক্লেইমের মূল বিষয় নাগরিকত্ব ছিল না, ছিল পাসপোর্ট ফেরত দেয়া। কিন্তু বিএনপির নেতার কথাতেই এখন প্রমাণ হচ্ছে যে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তাই নাগরিকত্বের কথাটি আমি এখন আরো জোরালোভাবে দাবি করবো” – বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন মি. আলম।

“অ্যাসাইলাম সিকাররা (আশ্রয়প্রার্থী) রাষ্ট্রবিহীন বা স্টেটলেস থাকেন, তারা যে দেশের লোক সেদেশে বাঞ্ছিত নন, বা সেদেশে যেতে চান না, এই কারণে তারা পাসপোর্ট সমর্পণ বা হ্যান্ডওভার করেন। তারেক রহমান ঠিক তাই করেছেন।”

“তাহলে তারেক রহমানের এখন আইডেনটিটি কী?” – প্রশ্ন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

“তারেক রহমানের কাছেতো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার একটিই দলিল ছিল। সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট। সেটি তিনি হোম অফিসে ফেরত দিয়েছেন। ব্যাপারটা বিএনপি গোপন করতে চাইছিল, কারণ তারা সত্য স্বীকার করতে চায় না”- বলেন শাহরিয়ার আলম।

কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা, পাসপোর্ট না থাকা আর নাগরিকত্ব না থাকা – এগুলো কি এক বিষয়?

এ প্রশ্ন করা হলে শাহরিয়ার আলম বলেন – “না, আমি সেটা দাবি করবো না। এখানে আইনী ব্যাখ্যার সুযোগ আছে।”

“আমার নতুন প্রশ্নটি হলো, তিনি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সেই পাসপোর্ট ভিসা আর তিনি ব্যবহার করছেন না।”

“রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে গেলেই তিনি যে দেশ থেকে গিয়েছেন সেই দেশের সব কিছু সারেন্ডার করতে হয়। সেই দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি তা আর ক্লেইম করতে পারেন না। তারেক রহমান ঠিক তাই করেছেন।”

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

অ্যাসাইলাম পেতে মূল দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়: বললেন শাহরিয়ার আলম

আপডেট সময় ০৪:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলছেন, তারেক রহমানের ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া এবং পাসপোর্ট জমা দেবার কথা স্বীকার করে বিএনপি এখন ‘নতুন বিতর্কের কাদার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।’

তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক সামনে আসার প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলার কাছে স্বীকার করেন যে ২০১২ সালে তারেক রহমান ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন এবং এক বছরের মধ্যেই সেটি গৃহীত হয়।

এর পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা সবাই জানি যে একটা দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে হলে তার মূল দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়।

“আমার ক্লেইমের মূল বিষয় নাগরিকত্ব ছিল না, ছিল পাসপোর্ট ফেরত দেয়া। কিন্তু বিএনপির নেতার কথাতেই এখন প্রমাণ হচ্ছে যে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তাই নাগরিকত্বের কথাটি আমি এখন আরো জোরালোভাবে দাবি করবো” – বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন মি. আলম।

“অ্যাসাইলাম সিকাররা (আশ্রয়প্রার্থী) রাষ্ট্রবিহীন বা স্টেটলেস থাকেন, তারা যে দেশের লোক সেদেশে বাঞ্ছিত নন, বা সেদেশে যেতে চান না, এই কারণে তারা পাসপোর্ট সমর্পণ বা হ্যান্ডওভার করেন। তারেক রহমান ঠিক তাই করেছেন।”

“তাহলে তারেক রহমানের এখন আইডেনটিটি কী?” – প্রশ্ন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

“তারেক রহমানের কাছেতো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার একটিই দলিল ছিল। সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট। সেটি তিনি হোম অফিসে ফেরত দিয়েছেন। ব্যাপারটা বিএনপি গোপন করতে চাইছিল, কারণ তারা সত্য স্বীকার করতে চায় না”- বলেন শাহরিয়ার আলম।

কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা, পাসপোর্ট না থাকা আর নাগরিকত্ব না থাকা – এগুলো কি এক বিষয়?

এ প্রশ্ন করা হলে শাহরিয়ার আলম বলেন – “না, আমি সেটা দাবি করবো না। এখানে আইনী ব্যাখ্যার সুযোগ আছে।”

“আমার নতুন প্রশ্নটি হলো, তিনি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সেই পাসপোর্ট ভিসা আর তিনি ব্যবহার করছেন না।”

“রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে গেলেই তিনি যে দেশ থেকে গিয়েছেন সেই দেশের সব কিছু সারেন্ডার করতে হয়। সেই দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি তা আর ক্লেইম করতে পারেন না। তারেক রহমান ঠিক তাই করেছেন।”