চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আবারও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ও একটি বাড়ীতে ককটেল হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতেনাতে আটক করে দুই যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গণপিটুনির শিকার দু’জনই স্থানীয় দুই মুক্তযোদ্ধার সন্তান ও নৌকার সমর্থক। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কালুপুর মোড় ও কাউন্সিল বাজারে দু’টি মোট করে ৪টি ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কালুপুর মোড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে দু’টি ককটেল হামলা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা কাউন্সিল বাজারে অবস্থিত সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া বিএনপি নেতা আবুল কাশেমের বাড়িতে আরো দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল মেরে দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যাওয়ার স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে। বিক্ষুব্ধরা তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
গণপিটুনির শিকার ওই দু’জনই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আহতরা হলেন, রহনপুর সোবহান কলোনীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিরের ছেলে মাসুদ ও মোবারক আলীর ছেলে রিপন। তাদের চিকিৎসার জন্য গোমস্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে গোমস্তাপুর থানার ওসি জসিমউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ধানের শীষের রহনপুর পৌর আহবায়ক আশরাফুল হক বলেন, হামলার স্বীকার দু’যুবক নৌকার সমর্থক। তারা ককটেল হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ গণপিটুনি দিয়েছে। তার দাবি, ধানের শীষের প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানী করতে আওয়ামী লীগের লোকেরা ককটেল ফাটিয়েছে। তারা মামলা-হামলা দিয়ে বিএনপির ভোটারদের হয়রানী করতে ককটেলেরে নাটক সাজাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোমস্তাপুর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।