ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপও সক্রিয় হয়েছে ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন

আন্তর্জাতিক টার্মিনাল পাচ্ছে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর

  • আপডেট সময় ০২:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

ঢেলে সাজানো হচ্ছে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরে প্যাসেঞ্জার ও কার্গো পরিবহন বেড়েছে। ফলে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, পার্কিং, ট্যাক্সিওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে ২ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিলেটের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাস করেন। বিদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দরের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র বেশিরভাগই সিলেটে। শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ সহজলভ্য হওয়ায় সিলেটে শিল্প-কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর পাশাপাশি কার্গো মুভমেন্ট কয়েকগুণ বেড়েছে।

বর্তমানে এই বিমানবন্দরে ১২ হাজার ১০০ বর্গমিটারের একটি টার্মিনাল ভবন, ৭৫০ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, একটি রানওয়ে আছে। এর পাশাপশি দু’টি ট্যাক্সিওয়ে, চারটি ছোট ও দু’টি বড় প্লেন পার্কিং সুবিধাসহ এর শেড, দু’টি বোর্ডিং ব্রিজ, দু’টি এস্কেলেটর আছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহনে এগুলো যথেষ্ট নয়।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ও যাত্রী পরিবহনে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এই সমস্যা নিরসনেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হবে। ‘ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার।

প্রকল্পের আওতায় একটি ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসন ভবন, আবাসিক ভবন, ডরমেটরি, আনসার ব্যারাক ও রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হবে। সড়ক, কারপার্ক ও ফুটপাতের উন্নয়নসহ কেনা হবে নয়টি যানবাহন। দু’টি অগ্নি নির্বাপন গাড়িও কেনা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মিজানুর রহমান বলেন, ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এজন্য যা কিছু করার দরকার সবই করবো আমরা। এটা সিলেটবাসীর দাবি। সিলেটে লন্ডনের যাত্রী বেশি। কিন্তু সিলেট থেকে এসব যাত্রীদের এনে সারারাত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়। পরে সকালে ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। ওসমানী বিমানবন্দরটির উন্নয়ন করা হলে তখন শুধু সিলেট-লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ

আন্তর্জাতিক টার্মিনাল পাচ্ছে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর

আপডেট সময় ০২:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর ২০১৮

ঢেলে সাজানো হচ্ছে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরে প্যাসেঞ্জার ও কার্গো পরিবহন বেড়েছে। ফলে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, পার্কিং, ট্যাক্সিওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে ২ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিলেটের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাস করেন। বিদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দরের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র বেশিরভাগই সিলেটে। শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ সহজলভ্য হওয়ায় সিলেটে শিল্প-কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর পাশাপাশি কার্গো মুভমেন্ট কয়েকগুণ বেড়েছে।

বর্তমানে এই বিমানবন্দরে ১২ হাজার ১০০ বর্গমিটারের একটি টার্মিনাল ভবন, ৭৫০ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, একটি রানওয়ে আছে। এর পাশাপশি দু’টি ট্যাক্সিওয়ে, চারটি ছোট ও দু’টি বড় প্লেন পার্কিং সুবিধাসহ এর শেড, দু’টি বোর্ডিং ব্রিজ, দু’টি এস্কেলেটর আছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহনে এগুলো যথেষ্ট নয়।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ও যাত্রী পরিবহনে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এই সমস্যা নিরসনেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হবে। ‘ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার।

প্রকল্পের আওতায় একটি ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসন ভবন, আবাসিক ভবন, ডরমেটরি, আনসার ব্যারাক ও রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হবে। সড়ক, কারপার্ক ও ফুটপাতের উন্নয়নসহ কেনা হবে নয়টি যানবাহন। দু’টি অগ্নি নির্বাপন গাড়িও কেনা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মিজানুর রহমান বলেন, ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এজন্য যা কিছু করার দরকার সবই করবো আমরা। এটা সিলেটবাসীর দাবি। সিলেটে লন্ডনের যাত্রী বেশি। কিন্তু সিলেট থেকে এসব যাত্রীদের এনে সারারাত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়। পরে সকালে ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। ওসমানী বিমানবন্দরটির উন্নয়ন করা হলে তখন শুধু সিলেট-লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।