ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরকে প্যারিস বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সম্মাননা ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল সীমান্ত হত্যা বন্ধে লণ্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত ফ্রান্সে গহরপুরবাসীর প্রথম সামাজিক সংগঠন ‘গহরপুর এসোসিয়েশন ইন ফ্রান্স’-এর আত্মপ্রকাশ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ব্যবসার মালিকানা পাবেন প্রবাসীরা

আমাদের ঈদ আনন্দ ও অনেকের নিরানন্দ

  • আপডেট সময় ০৫:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮
  • ২৩২ বার পড়া হয়েছে

মো: রহমত আলী -ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। ঈদের এ ধারা আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। কিন্তু এ ঈদ পালনকারী সবাই সব সময় সমভাবে তা পালন করতে পারেন না। স্থান, কাল পাত্রভেদে তা ভিন্ন আমেজে পালিত হয়ে থাকে। একজন ধনী-একজন গরীব, একজন কর্মকর্তা-একজন কর্মচারী, একজন মুক্ত মানুষ-একজন কারাবন্দি, এমনকী একটি পরিবারের কর্তা ও সে পরিবারের অন্যান্যের মধ্যে ঈদের আনন্দ অনুভূতি, অনেক সময় সমান হয় না। তাদের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থাকে বিরাট ব্যবধান। ঐ ঈদে ধনীরা চায় তাদের আয়োজন হউক অন্যান্য সবার চাইতে আলাদা। কারণ এতে সমাজে তাদের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন জড়িত থাকে। আর গরীবরা চায় অন্যান্য দিনের চাইতে এদিন একটু ভাল কাপড়চোপড় পরবে ও উত্তম খাবার গ্রহন করবে। অধিকাংশ সরকারী কর্মকর্তার উদ্বেশ্য থাকে মূল বেতন ও ঈদ বোনাসের বাইরে আরো কিছু পাওয়া যায় কিনা, একজন কারাবন্দি এদিন একবেলা একটু ভাল খাবার পেয়ে তৃপ্তি পায়। তার মনে হয় যদি এভাবে সারা বছর পাওয়া যেত। আর পরিবারের কর্তা নিজের চাইতে পরিবারের অন্যান্যের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে থাকেন সদাব্যস্ত। এভাবেই সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঈদ আনন্দে তৃপ্তিলাভ করে থাকেন।

আমরা যারা প্রবাসে বসবাস করি তাদের মধ্যেও ক্ষেত্রবিশেষে ঈদ আনন্দে ভিন্ন আমেজ পরিলক্ষিত হয়। মনে হতে পারে, প্রবাসে তো সবাই সূখ-স্বাচ্ছন্দ, আর বিলাসিতার মধ্যে দিনযাপন করছে তাই এখানে ঈদের আনন্দ কেন পূর্ণতা পাবে না। কিন্তু অনেকের মধ্যে এ ধারণা পরিলক্ষিত হয় না যে, ‘আলোর নিচে অন্ধকারও আছে’। প্রবাসে যাঁরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে তাঁদের ঈদ এবং যারা একাকি বসবাস করছে তাঁদের ঈদ বোধগম্য কারণেই একরকম হয় না। পরিবার বিহীনদেরও আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়। এক পক্ষ বৈধভাবে বসবাস করলেও পরিবারবিহীন অবস্থায়, আরেক পক্ষ দীর্ঘদিন যাবত ইমিগ্রেশনের জালে আটকা পড়ে হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে। এমতাবস্থায় এক পক্ষের মনে এ প্রশান্তি আছে যে, ইচ্ছে করলে দেশে গিয়ে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ পালন করতে সক্ষম কিন্তু অন্য পক্ষের সে সুযোগ নেই। তাই এ মর্মবেদনায় ঈদে হন তাঁরা হতাশাগ্রস্ত।

আমার জানা মতে, এখানে অনেকে আছেন যাঁদের কেউ কেউ দীর্ঘদিন যাবত একাকি অবস্থায় অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তাদের অনেকের আত্বীয়-স্বজন বলতেও তেমন কেউ নেই। আর থাকলেও তাদের খোঁজ খবর কেউ নেয় না। আবার কেউ কেউ অভিমান করে আত্মীয়-স্বজনের ধারে কাছেও যায় না।বছরের পর বছর অতিবাহিত হচ্ছে একটি টেলিফোনও কেউ কাউকে করে না। তাই তাদের ঈদ আনন্দের কথা সহজেই অনুমেয়।

দেশের মত এখানেও ঈদের সময় ছেলেমেয়ে ও যুবসমাজের মধ্যে ঈদ আনন্দ বেশী পরিরক্ষিত হয়। তাঁরা এ নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে থাকে। পিতামাতারা সন্তানের আব্দার রক্ষাতেই গুরুত্ব দেন বেশী। এখানে ঈদ পালনের সময় ছেলেমেয়েরা গাড়ীতে করে অন্য সঙ্গীদের সাথে বেরিয়ে পড়ে। তবে ইতিপূর্বে এ নিয়ে নানা অপসংস্কৃতি পরিলক্ষিত হলেও এখন তেমনটি দেখা যায় না। বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও অভিবাবকদের বিশেষ ভূমিকায় তা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে পুনরায় যাতে এ ধরনের কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ এ সম্পর্কিত কিছু মর্মান্তিক ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেছে যা কমিউনিটিকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে।

আমাদের পূর্বপুরুষ যারা প্রথম এদেশে এসেছিলেন তাদের ও বর্তমানে আমাদের ঈদ পালনের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা অনুমান করতে বোধ হয় কাউকে বুঝাতে হবে না। এদেশে এখন যেভাবে ঈদ পালন করা হয় তা অনেক ক্ষেত্রে দেশের ঈদ পালনকেও হার মানায়। সাথে সাথে রমজান, তারাবিসহ ধর্মীয় অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিষয় কোন অংশেই দেশের চাইতে এখানে কমতি নেই। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন এদেশে অবস্থানরত আমাদের অগ্রজরা কখন রমজান শুরু হতো বা ঈদ পর্ব পালিত হতো যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তা জানতে পারতেন না। সে সময় চিঠিপত্র বা দেশ থেকে কেউ আসলে কেবলমাত্র জরুরী খবরবার্তা নিতে পারতেন। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণেও অনেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারতেন না।

আজকাল আমরা দেখতে পাই ঈদ পালনের জন্য অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে যান। শহরে বা গ্রামে তাঁরা স্বাচ্ছন্দমত ঈদ পালন করেন। এতে বয়স্কদের চাইতে ছেলেমেয়েরা বেশী আনন্দ অনুভব করে। বিলেতে ঈদের পর্ব নিজঘর, মসজিদ বা কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করার মধ্যেই ঈদের আনন্দ সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু দেশে গেলে সবাই মুক্ত বিহঙ্গের মত বিচরণ করে তা পালন করে থাকেন। দেশের আত্মীয়স্বজনরাও সবাইকে স্বাগত জানায়। আপন করে বরণ করে নেয় প্রবাসীদের। আর তখন এ ঈদ পালনের অনুভূতি হয় অন্যরকম।

এদিকে যাঁরা দেশে যেতে পারেন না তারাও টেলিফোনের মাধ্যমে পরস্পরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে একে অন্যে ঈদ পালনের আনন্দ অনুভূতি ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। কোন কোন সময় লাইভ এ সমস্ত অনুষ্ঠান দেখা যায়।

লেখক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সম্পাদক মাসিক দর্পণ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা*

আমাদের ঈদ আনন্দ ও অনেকের নিরানন্দ

আপডেট সময় ০৫:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮

মো: রহমত আলী -ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। ঈদের এ ধারা আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। কিন্তু এ ঈদ পালনকারী সবাই সব সময় সমভাবে তা পালন করতে পারেন না। স্থান, কাল পাত্রভেদে তা ভিন্ন আমেজে পালিত হয়ে থাকে। একজন ধনী-একজন গরীব, একজন কর্মকর্তা-একজন কর্মচারী, একজন মুক্ত মানুষ-একজন কারাবন্দি, এমনকী একটি পরিবারের কর্তা ও সে পরিবারের অন্যান্যের মধ্যে ঈদের আনন্দ অনুভূতি, অনেক সময় সমান হয় না। তাদের চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থাকে বিরাট ব্যবধান। ঐ ঈদে ধনীরা চায় তাদের আয়োজন হউক অন্যান্য সবার চাইতে আলাদা। কারণ এতে সমাজে তাদের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন জড়িত থাকে। আর গরীবরা চায় অন্যান্য দিনের চাইতে এদিন একটু ভাল কাপড়চোপড় পরবে ও উত্তম খাবার গ্রহন করবে। অধিকাংশ সরকারী কর্মকর্তার উদ্বেশ্য থাকে মূল বেতন ও ঈদ বোনাসের বাইরে আরো কিছু পাওয়া যায় কিনা, একজন কারাবন্দি এদিন একবেলা একটু ভাল খাবার পেয়ে তৃপ্তি পায়। তার মনে হয় যদি এভাবে সারা বছর পাওয়া যেত। আর পরিবারের কর্তা নিজের চাইতে পরিবারের অন্যান্যের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে থাকেন সদাব্যস্ত। এভাবেই সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঈদ আনন্দে তৃপ্তিলাভ করে থাকেন।

আমরা যারা প্রবাসে বসবাস করি তাদের মধ্যেও ক্ষেত্রবিশেষে ঈদ আনন্দে ভিন্ন আমেজ পরিলক্ষিত হয়। মনে হতে পারে, প্রবাসে তো সবাই সূখ-স্বাচ্ছন্দ, আর বিলাসিতার মধ্যে দিনযাপন করছে তাই এখানে ঈদের আনন্দ কেন পূর্ণতা পাবে না। কিন্তু অনেকের মধ্যে এ ধারণা পরিলক্ষিত হয় না যে, ‘আলোর নিচে অন্ধকারও আছে’। প্রবাসে যাঁরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে তাঁদের ঈদ এবং যারা একাকি বসবাস করছে তাঁদের ঈদ বোধগম্য কারণেই একরকম হয় না। পরিবার বিহীনদেরও আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়। এক পক্ষ বৈধভাবে বসবাস করলেও পরিবারবিহীন অবস্থায়, আরেক পক্ষ দীর্ঘদিন যাবত ইমিগ্রেশনের জালে আটকা পড়ে হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে। এমতাবস্থায় এক পক্ষের মনে এ প্রশান্তি আছে যে, ইচ্ছে করলে দেশে গিয়ে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ পালন করতে সক্ষম কিন্তু অন্য পক্ষের সে সুযোগ নেই। তাই এ মর্মবেদনায় ঈদে হন তাঁরা হতাশাগ্রস্ত।

আমার জানা মতে, এখানে অনেকে আছেন যাঁদের কেউ কেউ দীর্ঘদিন যাবত একাকি অবস্থায় অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তাদের অনেকের আত্বীয়-স্বজন বলতেও তেমন কেউ নেই। আর থাকলেও তাদের খোঁজ খবর কেউ নেয় না। আবার কেউ কেউ অভিমান করে আত্মীয়-স্বজনের ধারে কাছেও যায় না।বছরের পর বছর অতিবাহিত হচ্ছে একটি টেলিফোনও কেউ কাউকে করে না। তাই তাদের ঈদ আনন্দের কথা সহজেই অনুমেয়।

দেশের মত এখানেও ঈদের সময় ছেলেমেয়ে ও যুবসমাজের মধ্যে ঈদ আনন্দ বেশী পরিরক্ষিত হয়। তাঁরা এ নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে থাকে। পিতামাতারা সন্তানের আব্দার রক্ষাতেই গুরুত্ব দেন বেশী। এখানে ঈদ পালনের সময় ছেলেমেয়েরা গাড়ীতে করে অন্য সঙ্গীদের সাথে বেরিয়ে পড়ে। তবে ইতিপূর্বে এ নিয়ে নানা অপসংস্কৃতি পরিলক্ষিত হলেও এখন তেমনটি দেখা যায় না। বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও অভিবাবকদের বিশেষ ভূমিকায় তা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে পুনরায় যাতে এ ধরনের কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ এ সম্পর্কিত কিছু মর্মান্তিক ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেছে যা কমিউনিটিকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে।

আমাদের পূর্বপুরুষ যারা প্রথম এদেশে এসেছিলেন তাদের ও বর্তমানে আমাদের ঈদ পালনের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা অনুমান করতে বোধ হয় কাউকে বুঝাতে হবে না। এদেশে এখন যেভাবে ঈদ পালন করা হয় তা অনেক ক্ষেত্রে দেশের ঈদ পালনকেও হার মানায়। সাথে সাথে রমজান, তারাবিসহ ধর্মীয় অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিষয় কোন অংশেই দেশের চাইতে এখানে কমতি নেই। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন এদেশে অবস্থানরত আমাদের অগ্রজরা কখন রমজান শুরু হতো বা ঈদ পর্ব পালিত হতো যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তা জানতে পারতেন না। সে সময় চিঠিপত্র বা দেশ থেকে কেউ আসলে কেবলমাত্র জরুরী খবরবার্তা নিতে পারতেন। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণেও অনেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারতেন না।

আজকাল আমরা দেখতে পাই ঈদ পালনের জন্য অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে যান। শহরে বা গ্রামে তাঁরা স্বাচ্ছন্দমত ঈদ পালন করেন। এতে বয়স্কদের চাইতে ছেলেমেয়েরা বেশী আনন্দ অনুভব করে। বিলেতে ঈদের পর্ব নিজঘর, মসজিদ বা কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করার মধ্যেই ঈদের আনন্দ সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু দেশে গেলে সবাই মুক্ত বিহঙ্গের মত বিচরণ করে তা পালন করে থাকেন। দেশের আত্মীয়স্বজনরাও সবাইকে স্বাগত জানায়। আপন করে বরণ করে নেয় প্রবাসীদের। আর তখন এ ঈদ পালনের অনুভূতি হয় অন্যরকম।

এদিকে যাঁরা দেশে যেতে পারেন না তারাও টেলিফোনের মাধ্যমে পরস্পরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে একে অন্যে ঈদ পালনের আনন্দ অনুভূতি ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। কোন কোন সময় লাইভ এ সমস্ত অনুষ্ঠান দেখা যায়।

লেখক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সম্পাদক মাসিক দর্পণ।