ব্রাজিল থেকে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় বৃটেনসহ ইউরোপজুড়ে ব্রাজিল আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি এটি আবিষ্কার হয়েছে বলে জানা গেছে। এই নতুন স্ট্রেইনের বিস্তার বন্ধ করতে আজ ব্রাজিল এবং আশেপাশের দেশগুলো থেকে বৃটেনে আসা ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ব্রাজিলের সাথে সমস্ত ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বীকার করেছেন, তিনি ব্রাজিলের নতুন কোভিড স্ট্রেইন সম্পর্কে ‘উদ্বিগ্ন’। এটি সরকার কমপক্ষে চারদিন আগে জানতে পেরেছে। সাংসদরা গতকাল বুধবার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। মন্ত্রীরা আজ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা সম্পূর্ণ ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন, এটি অত্যন্ত সংক্রামক স্ট্রেইন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের মতো ভয়ংকর, যা গত বছরের শেষের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। বোঝা যাচ্ছে, মন্ত্রীরা আজ এই ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় পুরো দক্ষিণ আমেরিকার ফ্লাইটসহ সব রকম ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করবেন।
কারণ, এটি বৃটেনের স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে ব্যাপক ধাক্কা দিতে পারে। যদিও ইতিমধ্যে বৃটেনের এই স্ট্রেইনটি পৌঁছেছে কিনা তা এখনও অজানা রয়েছে।
দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মন্ত্রীদের ক্ষোভের মুখে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান য়োভেট্ট কুপার বুধবার মিঃ জনসনকে জানতে চেয়েছেন, নতুন স্ট্রেইনের সতর্কতার জন্য যুক্তরাজ্যের সীমানা কেন ব্রাজিল ভ্রমণকারীদের জন্য বন্ধ করা হয়নি।
সংসদ সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন, মহামারী শুরু হওয়ার দশ মাস পরে বৃটেনে প্রবেশের আগে সমস্ত ভ্রমণকারীদের নেতিবাচক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন বিধিগুলো এখন কেন আনা হচ্ছে? অন্যান্য দেশগুলোতে কয়েক মাস ধরে কঠোরতম নিয়ম রয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার থেকে বৃটেনে আগত সমস্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের প্রবেশের আগে কোভিড -১৯ পরীক্ষার নেতিবাচক ফল দেখাতে হবে। দেশে ফেরা বৃটিশ যাত্রীসহ সকলকে ভ্রমণের আগে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের এই পরীক্ষা দিতে হবে। বর্ডার ফোর্সের প্রহরীরা স্পট চেক করবেন এবং যে কোনও বিধি লঙ্ঘন করলে ৫০০ পাউন্ড জরিমানা করা হবে।