ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে ফ্রান্স- বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ প্যারিসে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন ফ্রান্সের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর রাব্বানী খানের ফ্রান্স সিনেটের ‘মেডেল ড’অনার’ লাভ “অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাসের মজুত সর্বোচ্চ পর্যায়ে

  • আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

রাশিয়ার গ্যাসের উপর ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নির্ভরশীল। এজন্য তারা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করতে শুরু করে যে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে। তাদের আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্য হয়, যখন ইউরোপ ইউক্রেনের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। এই আশঙ্কা থেকে ইউনিয়ন গ্যাস মজুত শুরু করে। এখন গ্যাসে তাদের ৮৩.৫ শতাংশ লেভেল পূর্ণ হয়ে আছে।

গ্যাসের মজুত বাড়ার পাশাপাশি কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউর বিশেষ মুখপাত্র টিম ম্যাকফি প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোচ্চ মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাশিয়া থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর জার্মানিসহ গোটা ইউরোপে শীত মৌসুমে শিল্পকারখানাসহ ঘরবাড়িতে গ্যাস সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি শুরু করে ইইউ। অবশেষে তার সুফল মিলেছে। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত ইউরোপে শীত শুরু হয় অক্টোবরের শুরু থেকে। এস সময় তাদের তাপের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে যায়। কয়েক মাস আগে জ্বালানি শক্তির তীব্র অভাবে ধুঁকতে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার জানিয়েছে, নানামুখী সংকটের মধ্যেও গ্যাসের মজুত গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইইউর ২৭ দেশের সমন্বয়ে নির্মিত এলএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের মজুত আছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। 

ইইউর বিশেষ মুখপাত্র টিম ম্যাকফি বলেন, পুরো বছরজুড়েই আমাদের তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগতে হয়েছে। কিন্তু আমরা বসে ছিলাম না। চেষ্টা করেছি পুরো ইউরোপের চাহিদা পূরণ করে গ্যাসের সর্বোচ্চ মজুত নিশ্চিত করতে। বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে তা নতুন বছরে কাজে আসবে। 

এদিকে গ্যাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বুধবার আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ব্রেন্ড ক্রুড ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ ডলারে, যা বিগত কয়েক দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন। 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাসের মজুত সর্বোচ্চ পর্যায়ে

আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

রাশিয়ার গ্যাসের উপর ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নির্ভরশীল। এজন্য তারা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করতে শুরু করে যে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে। তাদের আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্য হয়, যখন ইউরোপ ইউক্রেনের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। এই আশঙ্কা থেকে ইউনিয়ন গ্যাস মজুত শুরু করে। এখন গ্যাসে তাদের ৮৩.৫ শতাংশ লেভেল পূর্ণ হয়ে আছে।

গ্যাসের মজুত বাড়ার পাশাপাশি কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউর বিশেষ মুখপাত্র টিম ম্যাকফি প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোচ্চ মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাশিয়া থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর জার্মানিসহ গোটা ইউরোপে শীত মৌসুমে শিল্পকারখানাসহ ঘরবাড়িতে গ্যাস সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি শুরু করে ইইউ। অবশেষে তার সুফল মিলেছে। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত ইউরোপে শীত শুরু হয় অক্টোবরের শুরু থেকে। এস সময় তাদের তাপের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে যায়। কয়েক মাস আগে জ্বালানি শক্তির তীব্র অভাবে ধুঁকতে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার জানিয়েছে, নানামুখী সংকটের মধ্যেও গ্যাসের মজুত গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইইউর ২৭ দেশের সমন্বয়ে নির্মিত এলএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের মজুত আছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। 

ইইউর বিশেষ মুখপাত্র টিম ম্যাকফি বলেন, পুরো বছরজুড়েই আমাদের তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগতে হয়েছে। কিন্তু আমরা বসে ছিলাম না। চেষ্টা করেছি পুরো ইউরোপের চাহিদা পূরণ করে গ্যাসের সর্বোচ্চ মজুত নিশ্চিত করতে। বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে তা নতুন বছরে কাজে আসবে। 

এদিকে গ্যাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বুধবার আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ব্রেন্ড ক্রুড ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ ডলারে, যা বিগত কয়েক দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন।