মিনহাজ হোসেন ইতালীঃ ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার ১৭ মার্চ স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় রাজধানী রোমে দূতাবাস কার্যালয়ে কেক কেটে জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের পূর্বঘোষিত বিভিন্ন কর্মসুচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচি শুরু হয় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে। প্রথমেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রোম বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার। অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল ইতালিতে বেড়ে উঠা শিশু-কিশোরদের জন্য কবিতা, ছড়া ও বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে কোরআন তেলোয়াত করেন প্রথম সচিব আরফানুল হক। দূতাবাসের প্রথম সচিব ইরিন ইসলাম জুলির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কেএম লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম কিবরিয়া, ইতালি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলি আহমেদ ঢালী। এতে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মানস মিত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব শেখ সালে আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সহসভাপিত নজরুল ইসলাম মাঝি, জসিম উদ্দীন, আব্দুর রফ ফকির,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রসুল কিটন, এম এ রব মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের,দীন মোহাম্মদ, সদস্য হোসনে আরা বেগম প্রমুখ। এসময় রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর শিশুকালের ওপর ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তিনি জাতির জনক জন্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি জন্ম না নিলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতামনা। জাতির পিতা শিশুদের খুব আদর করতেন। তাই বিদেশের মাটিতে আমরাও যথাযোগ্য মযা’দায় পালন করতে পারছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন শোসনমুক্ত একটি বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, একটা সময় গেছে এ দিনটিকে আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারতাম না। আজ জাতির জনকের জন্মদিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুন্দর দারিদ্রমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার। তিনি চেয়ে ছিলেন সবাই সুন্দর ভাবে জীপন যাপন করবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ছোট শিশু শেখ রাসেলকে নরপশুরা হত্যা করেছে। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো একদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতেন। সেই রাসেলকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছেন। সবাই যেন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। তিনি পরামর্শ দেন পিতামতার কাছে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও শিক্ষার জন্য। শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন- তোমরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। একদিন তোমরা বড় বড় অফিসার পদে চাকরি করবে। সেজন্য ভাল করে পড়াশোনা করতে হবে। পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের তাতে রাষ্ট্রদূত পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠান শেষে সুস্মিতা সুলতানার পরিচালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক ও প্রবাসি বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ সংবাদ