সৌদি আরব ও ইরানের বিরোধের ইতিহাস দীর্ঘ। তবে এবার ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় সৌদি আরব। যাতে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পাশাপাশি উত্তেজনা কমে। সৌদি আরব বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান উত্তেজনা কমানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ নয় বলে জানান সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান।
২০১৬ সালে ইরান অভিযো করে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় তাদের দূতাবাসে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে। রিয়াদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য প্রভাবিত করার চেষ্টা কাজ করেছে বলে ধারণা করা হয়েছে। নিমরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানে সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে হামলা হয়। দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে সৌদি সরকার তখন বলেছে, ইরানের এই অভিযোগের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নেই। সেই থেকে দেশটি ইরানের সঙ্গে শত্রুতাপূর্ণ নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে। সূত্র: পার্সটুডে ও আল-আরাবিয়া
সৌদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, রিয়াদের সঙ্গে আলোচনায় তেহরান মোটেই আন্তরিক নয়। ইরানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের হাত প্রসারিত কিন্তু ইরান কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। রিয়াদ ও তেহরানের সুসম্পর্ক মুসলিম বিশ্বের জন্য ভালো। আরব বিশ্বের জন্যও ভালো।