ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই” প্যারিসে সাফ ফোর্স ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান প্যারিসে অন্নপূর্ণা পূজা পরিষদের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পহেলা মে, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপের আয়োজনে দিবসকে স্মরণ প্যারিসে বেংগল টাইগার্সে স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই ইতালিতে খোলা‌ মাঠে “বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদে’র বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ

ইসরাইলি আক্রমণে ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস!

  • আপডেট সময় ১১:৫৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি খবর ভেসে বেড়াচ্ছে যে, ফিলিস্তিনে অবস্থিত হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মসজিদটি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু তার চেয়ে মারাত্মক ও দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো ফিলিস্তিনের গাজা’র প্রায় ৭৫ ভাগ মসজিদই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। খবর মিডল ইস্ট মিরর।

সংবাদ মাধ্যমটির তথ্য মতে জানা যায় যে, গত ৫১ দিনে ৭৩টি মসজিদ ধ্বংসের পাশাপাশি ২০৫টি মসজিদ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইসরাইল।

পিইসিডিসি (ফিলিস্তিন ইকোনোমিক কাউন্সিল ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন) কর্তৃক গঠিত কমিটির তথ্য মতে ফিলিস্তিনের গাজায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য কার্যালয়সহ প্রায় ৪০.৪ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরাইলি হামলায় শুধু মসজিদই ধ্বংস হয়নি, দুটি গির্জাসহ ১০টি সমাধিস্থল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

পিইসিডিসি কমিটির তথ্য মতে শুধু গাজাতেই ইসরাইলি আক্রমণে ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস হয়েছে।

এসব ধ্বংস প্রাপ্ত মসজিদের মধ্যে ফিলিস্তিনের বিখ্যাত মসজিদ আল-ওমরিও ধ্বংস করা হয়েছে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দুই দফা আক্রমণে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর ২০১৯ সালে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়।

হজরত আমর ইবনুল আসের সময়কার একটি প্রাচীন মসজিদ; যেটি ১৩৬৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। সে মসজিদটিও ধ্বংস করা হয়েছে। যার নাম ছিল মসজিদ মানারাত আল-জাহের।

মসজিদটি ৩ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত ছিল আর এতে এক সঙ্গে প্রায় ২০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতো।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে ইসরাইলি আক্রমণ ছিল অনেক বেশি। যা ২০০৮ ও ২০০৯ সালের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।

ইসরাইলি আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলো পুনঃর্নিমাণে সহায়তাকারী বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও মানুষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের মসজদি কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই”

ইসরাইলি আক্রমণে ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস!

আপডেট সময় ১১:৫৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি খবর ভেসে বেড়াচ্ছে যে, ফিলিস্তিনে অবস্থিত হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মসজিদটি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু তার চেয়ে মারাত্মক ও দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো ফিলিস্তিনের গাজা’র প্রায় ৭৫ ভাগ মসজিদই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। খবর মিডল ইস্ট মিরর।

সংবাদ মাধ্যমটির তথ্য মতে জানা যায় যে, গত ৫১ দিনে ৭৩টি মসজিদ ধ্বংসের পাশাপাশি ২০৫টি মসজিদ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইসরাইল।

পিইসিডিসি (ফিলিস্তিন ইকোনোমিক কাউন্সিল ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন) কর্তৃক গঠিত কমিটির তথ্য মতে ফিলিস্তিনের গাজায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য কার্যালয়সহ প্রায় ৪০.৪ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরাইলি হামলায় শুধু মসজিদই ধ্বংস হয়নি, দুটি গির্জাসহ ১০টি সমাধিস্থল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

পিইসিডিসি কমিটির তথ্য মতে শুধু গাজাতেই ইসরাইলি আক্রমণে ৭৫ ভাগ মসজিদ ধ্বংস হয়েছে।

এসব ধ্বংস প্রাপ্ত মসজিদের মধ্যে ফিলিস্তিনের বিখ্যাত মসজিদ আল-ওমরিও ধ্বংস করা হয়েছে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দুই দফা আক্রমণে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর ২০১৯ সালে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়।

হজরত আমর ইবনুল আসের সময়কার একটি প্রাচীন মসজিদ; যেটি ১৩৬৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। সে মসজিদটিও ধ্বংস করা হয়েছে। যার নাম ছিল মসজিদ মানারাত আল-জাহের।

মসজিদটি ৩ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত ছিল আর এতে এক সঙ্গে প্রায় ২০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতো।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে ইসরাইলি আক্রমণ ছিল অনেক বেশি। যা ২০০৮ ও ২০০৯ সালের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।

ইসরাইলি আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলো পুনঃর্নিমাণে সহায়তাকারী বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও মানুষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের মসজদি কর্তৃপক্ষ।