ফ্রান্সে বিগত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসাবে বেকারত্বকে দেখা হচ্ছে। বেকারত্বের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় এসময়ে দুই দুইটি সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেননি। এর মধ্যে রিপাবলিকান দলীয় নিকোলাস সার্কোজি ২০১১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমাজবাদী দলের প্রার্থী ফ্রন্সোয়া ওলান্ডের কাছে পরাজিত হন। যার পেছনের অন্যতম কারন ছিল এই বেকারত্ব।
এদিকে ওলান্ড সরকার বেকারত্বকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসাবে গ্রহণ করলেও এর লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে তিনি বেকারত্বকে সহনীয় মাত্রায় আনতে না পারলে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষনা দেন। শেষমেশ তিনি তাতে ব্যর্থ হয়ে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে অনেকটা বাধ্য হন। এদিক বিবেচনায় বেকারত্বের হারের নিম্নগামিতাকে ফ্রান্সের জন্য একটি সু সংবাদ বলা যায়। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মত একক বছর হিসাবে ২০১৭ সালে ফ্রান্সের মোট বেকারত্ব ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসে। ২০১৭ সালের শেষ তিন মাসে বেকারত্বের হার শতকরা ০.৭ পয়েন্ট কমে ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসে। এসময় ফ্রান্স মেট্রোপালিটন এলাকায় বেকারত্বের হার ৮.৬ শতাংশ ও ফ্রান্সের মূল ভূখন্ডের বাইরের রাজ্যগুলোতে তা ৮.৯ শতাংশে নেমে আসে। আজ বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের শ্রম মন্ত্রনালয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্য থেকে এখবর পাওয়া যায়।
২০১৭ সালের শেষ ৩ মাসে ধারাবাহিকভাবে বেকারত্ব কমে যার শতকরা হার ২.৮। তবে অপেক্ষাকৃত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখনো আশংকাজনকভাবে বেশী রয়েছে। ২০.৭০ শতাংশ তরুণ বরাবরই কাজের খুজে পোল এমপ্লোয়ায় তাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। তবে ২৫-৪৯ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার কমে ৮ শতাংশে এসে ঠেকেছে।