ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

‘ক্ষমতাবানদের মুখোশ উন্মোচনই মুক্ত সাংবাদিকতা’

  • আপডেট সময় ০৮:১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

৩ মে  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থকরা। জাতিসংঘসহ ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানবাধিকার কর্মী, ব্লগার, সাংবাদিক আর সংবাদমাধ্যম বিশারদের এমন কিছু টুইটার মন্তব্যকে একত্রিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সেইসব মন্তব্যে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ ঘটনা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাবানদের মুখোশ উন্মোচনইকেই ভালো অথবা মুক্ত সাংবাদিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের ১৯ ধারায় যুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার গুরুত্ব পেয়েছে মন্তব্যগুলোতে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে আখ্যা দিয়েছে ‘বিবেকবন্দী’। জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন অব আর্থ খেতাব পেয়েছেন তিনি। নিউজ উইক তাকে বিশ্বের সেরা দশ রাষ্ট্রনায়কের একজন হিসেবে শনাক্ত করেছে। তার মতে ‘ভালো সাংবাদিকতা সেটাই যা সত্যানুসন্ধানী এবং ক্ষমতাবানদের জবাদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করে। সব সংবাদকর্মীর নিরাপত্তা এবং হুমকি, হয়রানি ও ভয়ভীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া উচিত।‘

ইউএন ওমেন (জাতিসংঘ):  সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে সত্য কথা বলতে পারা। দায়মুক্তির দিন শেষ। এখন সময় ক্ষমতাবানদের জবাবদিহিতা চাওয়ার।

ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ান মাদার অ্যান্ড চাইন্ড-এর সাংবাদিকতার অধ্যাপক আনান্দ প্রধান মনে করছেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তা সমালোচনা ও বিরোধিতা করার স্বাধীনতা। জর্জ অরওয়েল আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন গণতন্ত্রে সাংবাদিকতার  দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। ক্ষমতাবানদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সত্য বলা মুক্ত ও সমালোচনাকারী সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি ছাড়া আমরা কোনও গণতন্ত্রের কথা ভাবতে পারি না।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে গবেষণাকারী আল জাজিরার সাংবাদিক জোনাথন রোজেন টুইটারে লিখেছেন, ফটোসাংবাদিক মাহমুদ আবু জেইদকে (শওকন) ইউনেস্কোর গুইলারমো কান প্রেস ফ্রিডম পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ঘানায়। তিনি এখনও মিসরে কারাবন্দী।

ভারতীয় স্থপতি গীতিকা সোয়ামী: যতবার আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলি, ততবার আমরা যেন  পক্ষপাতহীন এবং দায়িত্ববোধসম্পন্ন সাংবাদিকতার কথা বলি যা মিথ্যা ছাড়ায় না এবং ভুল তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকে। মুক্ত ও যথার্থ মত প্রকাশের অধিকার অক্ষুণ্ণ থাক!

জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহামাদ সাফা লিখেছেন, যারা সংবাদপত্রে লেখে তারা ছবি দিয়ে সাজানো ঘরে আরামাদায়ক টেবিলে বসে থাকে না। তারা তাদের নিজেদের জীবনেই গুলি-বোমার শব্দ সরাসরি শুনেছে এবং সে পরিস্থিতিতে তারা ইচ্ছা করেই নিজেদেরকে নিয়ে গেছে যাতে তারা যুদ্ধের বিষয়ে লিখতে পারে।

রাজবন্দি হিসেবে কারাভোগকারী নেপালের আইনপ্রণেতা আহমেদ মাহলুফ তার টুইটার পোস্টে বলেছেন, মালদ্বীপে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেখুন এক নজরে— ইয়ামিন ও রিলওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। ধিটিভি, হাভিরু ও সিএনএম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজি টিভি, মিহারু নিউজ, ভাভু, সাঙ্গু টিভি, এভিএএসএমভি, ভিএফপি_এমভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট এমভির সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, জরিমানা দিতে বাধ্য হয়েছেন এবং মামলাও খেয়েছেন।

উগান্ডার ব্লগার কাতেন্দা এরিক টুইটারে লিখেছেন বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তা সঠিক তথ্যের প্রবাহকে নিশ্চিত করে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

‘ক্ষমতাবানদের মুখোশ উন্মোচনই মুক্ত সাংবাদিকতা’

আপডেট সময় ০৮:১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮

৩ মে  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার সমর্থকরা। জাতিসংঘসহ ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানবাধিকার কর্মী, ব্লগার, সাংবাদিক আর সংবাদমাধ্যম বিশারদের এমন কিছু টুইটার মন্তব্যকে একত্রিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সেইসব মন্তব্যে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ ঘটনা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাবানদের মুখোশ উন্মোচনইকেই ভালো অথবা মুক্ত সাংবাদিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার সনদের ১৯ ধারায় যুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার গুরুত্ব পেয়েছে মন্তব্যগুলোতে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে আখ্যা দিয়েছে ‘বিবেকবন্দী’। জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন অব আর্থ খেতাব পেয়েছেন তিনি। নিউজ উইক তাকে বিশ্বের সেরা দশ রাষ্ট্রনায়কের একজন হিসেবে শনাক্ত করেছে। তার মতে ‘ভালো সাংবাদিকতা সেটাই যা সত্যানুসন্ধানী এবং ক্ষমতাবানদের জবাদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করে। সব সংবাদকর্মীর নিরাপত্তা এবং হুমকি, হয়রানি ও ভয়ভীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া উচিত।‘

ইউএন ওমেন (জাতিসংঘ):  সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে সত্য কথা বলতে পারা। দায়মুক্তির দিন শেষ। এখন সময় ক্ষমতাবানদের জবাবদিহিতা চাওয়ার।

ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ান মাদার অ্যান্ড চাইন্ড-এর সাংবাদিকতার অধ্যাপক আনান্দ প্রধান মনে করছেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তা সমালোচনা ও বিরোধিতা করার স্বাধীনতা। জর্জ অরওয়েল আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন গণতন্ত্রে সাংবাদিকতার  দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। ক্ষমতাবানদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সত্য বলা মুক্ত ও সমালোচনাকারী সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি ছাড়া আমরা কোনও গণতন্ত্রের কথা ভাবতে পারি না।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে গবেষণাকারী আল জাজিরার সাংবাদিক জোনাথন রোজেন টুইটারে লিখেছেন, ফটোসাংবাদিক মাহমুদ আবু জেইদকে (শওকন) ইউনেস্কোর গুইলারমো কান প্রেস ফ্রিডম পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ঘানায়। তিনি এখনও মিসরে কারাবন্দী।

ভারতীয় স্থপতি গীতিকা সোয়ামী: যতবার আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলি, ততবার আমরা যেন  পক্ষপাতহীন এবং দায়িত্ববোধসম্পন্ন সাংবাদিকতার কথা বলি যা মিথ্যা ছাড়ায় না এবং ভুল তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকে। মুক্ত ও যথার্থ মত প্রকাশের অধিকার অক্ষুণ্ণ থাক!

জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহামাদ সাফা লিখেছেন, যারা সংবাদপত্রে লেখে তারা ছবি দিয়ে সাজানো ঘরে আরামাদায়ক টেবিলে বসে থাকে না। তারা তাদের নিজেদের জীবনেই গুলি-বোমার শব্দ সরাসরি শুনেছে এবং সে পরিস্থিতিতে তারা ইচ্ছা করেই নিজেদেরকে নিয়ে গেছে যাতে তারা যুদ্ধের বিষয়ে লিখতে পারে।

রাজবন্দি হিসেবে কারাভোগকারী নেপালের আইনপ্রণেতা আহমেদ মাহলুফ তার টুইটার পোস্টে বলেছেন, মালদ্বীপে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেখুন এক নজরে— ইয়ামিন ও রিলওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। ধিটিভি, হাভিরু ও সিএনএম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজি টিভি, মিহারু নিউজ, ভাভু, সাঙ্গু টিভি, এভিএএসএমভি, ভিএফপি_এমভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট এমভির সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, জরিমানা দিতে বাধ্য হয়েছেন এবং মামলাও খেয়েছেন।

উগান্ডার ব্লগার কাতেন্দা এরিক টুইটারে লিখেছেন বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হলে তা সঠিক তথ্যের প্রবাহকে নিশ্চিত করে।