ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া বালাগঞ্জে চলন্ত ফ্যান খুলে গিয়ে ৩ শিক্ষার্থী আহত জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন

চলে গেলেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ (১৯৫০-২০১৯)

  • আপডেট সময় ১০:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

চলে গেলেন বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মাহফুজ উল্লাহ। তিনি থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। এর আগে ২রা এপ্রিল তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয় । তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর সেখান থেকে বুধবার ১০ই এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেয়া হয়।

মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ই মার্চ নোয়াখালীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ছিলেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রাসহ দেশের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে, কূটনীতিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’র প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশে পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করেন। রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচার’র আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী নির্বাচিত সদস্য। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মাহফুজ উল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিতা শিক্ষাবিদ মরহুম হাবিবুল্লাহ এবং মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরলোকগত কমরেড মোজাফফর আহমদের দৌহিত্র।

মানব জমিন থেকে

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

চলে গেলেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ (১৯৫০-২০১৯)

আপডেট সময় ১০:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯

চলে গেলেন বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মাহফুজ উল্লাহ। তিনি থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। এর আগে ২রা এপ্রিল তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয় । তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর সেখান থেকে বুধবার ১০ই এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেয়া হয়।

মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ই মার্চ নোয়াখালীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ছিলেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রাসহ দেশের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে, কূটনীতিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’র প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশে পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করেন। রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচার’র আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী নির্বাচিত সদস্য। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মাহফুজ উল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিতা শিক্ষাবিদ মরহুম হাবিবুল্লাহ এবং মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরলোকগত কমরেড মোজাফফর আহমদের দৌহিত্র।

মানব জমিন থেকে