ডেস্ক রিপোর্ট ঃ দক্ষিন এশিয়ার প্রথম ও জনপ্রিয় শিশু গণমাধ্যম কিডস মিডিয়া, পরীক্ষামুলক ভাবে বাজার যাচাই করতে ২০১৪ সালে ছোট আকারে কিছু কাজ করে, কিন্তু ২০১৫ সালে এসে বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়াতে অল্প সময়ের মাঝে আলোচিত ও জনপ্রিয়তা পায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আরিফ রহমান শিবলী বলেন, চাকুরীর বাজার মন্দা হতো না যদি মোট বেকারের অন্তত চার ভাগের দুই শতাংশ চাকুরীই করতে হবে,এমন ভুত মাথা থেকে সরাতো।
শিবলী বলেন, আমার জীবনে স্বপ্ন ছিল সেনা মেজর হয়ে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করবো, পারিনি। আজ উদ্যোক্তা হওয়ার পর আমার অধীনে অবঃ মেজররা কাজ করছেন। আমি স্বপ্ন পুরন করতে পারিনি তবে ভেংগে পড়ে হতাশ হইনি। চ্যালেঞ্জ, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা, বাজার বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত, সঠিক পরিকল্পনা নেওয়ার ফলেই আজ “কিডস মিডিয়া “ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ড হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরি না হওয়ার কারন প্রসঙ্গে দক্ষিন এশীয় অঞ্চলের এই তরুন সফল উদ্যোক্তা বলেন, চাকুরী করে বিলগেটস কিংবা আলিবাবা হওয়া সম্ভব নয়! অবশ্য ই তরুন-তরুনীদের ইচ্ছা শক্তি বাড়াতে হবে। নিজের ভিতর জেদ আনতে হবে যে আমি পারি এবং সততা,দক্ষতা,বিচক্ষণতা,উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা, স্বল্প সামর্থ্য অনুসারে বিনিয়োগই আমাকে একদিন বিলগেটস ও আলিবাবা বানাতে সক্ষম হবে। একা না পারলে চারজন কিংবা দশজন মিলে উদ্যোক্তা হওয়ার চেস্টা করুন। একদিন না একদিন সফলতা আসবে ই।
মাইক্রোসফট, ফেসবুক, টুইটার, আইফোন একদিনে নাম করেনি! আজ আপনি বিনিয়োগ করে কালই জোকারবার্গ, বিলগেটস হওয়ার স্বপ্ন দেখলে হবেনা। অনেক তরুন তরুনী উদ্যোক্তা হতে গিয়েও শেষ পুজি হারিয়ে ফেলে এর প্রধান কারন কি? এমন প্রশ্নে আরিফ বলেন, আবেগের বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন ধরুন ছোট ফুড শপ এইখানে চারজন কাজ করলেই চলে, সেখানে যদি আপনি দশজন লোক নিয়োগ দেন তাহলে তো আপনার বারোটা বাজবেই। তারপর ধরুন উদ্যোক্তা হতে চায় অথচ এইচ আর এডমিন ডিপার্টমেন্টকে নিয়োগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা না দিয়ে আবেগের বসে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো বেতন দিয়ে বসিয়ে রাখেন, এমনটা হলে পুজিও থাকবেনা কোম্পানির, এইটাই বাস্তবতা। স্টাফ কাজ করছে কিনা তা মনিটরিং যদি না করেন উদ্যোক্তা নিজে তাহলে আপনার নেওয়া উদ্যোগ বিফল যাবে। আপনাকে ভালোবাসতে হবে স্টাফদের, তাদের বস হিসেবে তেমন আচরণই করা উচিৎ যেটা আপনি আশা করেন তার জায়গায়।
দশজন নতুন উদ্যোক্তাকে প্লাটফর্ম দিচ্ছেন ফ্রান্স দর্পনের এমন প্রশ্নে আরিফ রহমান বলেন, জী!ভাবলাম দেশের নতুন কিছু উদ্যোক্তা নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিতে তৈরি করি। তবে! এই দশজনের প্রধান হিসেবে তাদের বিভিন্ন গ্রুমিং, প্রশিক্ষন ব্যাবস্থা করবো। দশজন মিলে কিছু নতুন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন শুরু করবো।
সাড়া কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে দক্ষিন এশীয় অঞ্চলের এই আলোচিত শিশু গণমাধ্যম প্রধান ও সফল উদ্যোক্তা বলেন, তরুন তরুনীদের অনেকেই আমাকে ও আমার কাজকে ফলো করে। যখন দেখেছে প্লাটফর্ম আমি দিচ্ছি তাদের আগ্রহের সীমা নেই। স্বপ্ন দেখছি প্রিয় দেশকে নতুন ডায়নামিক কিছু উদ্যোক্তা দিতে পারবো। কেউ উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখলে কিভাবে কথা বলতে পারেন উত্তরে আরিফ বলেন, ar944164@gmail.com নিজ সিভি পাঠাতে পারে। আমরা যাচাই-বাছাই করে সিলেকশন করব।