ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জঙ্গি মোকাবিলায় আফ্রিকার সাহেলে সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স

  • আপডেট সময় ০৯:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মোকাবিলায় ছয় শতাধিক সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। রবিবার এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে নতুন করে আরও সেনা মোতায়েনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল বহুদিন ধরেই অস্থিতিশীল। ২০১২ সালে সেখানকার বহু এলাকা দখল করে নেয় আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গিরা। এতে করে ওই এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী তুয়ারেগ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন পাঁচ জাতির বাহিনী (জি-ফাইভ সাহেল নামে পরিচিত) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের উৎখাত করলেও পরে আবারও সংঘটিত হয় জঙ্গিরা।

রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, ‘সেনাসদস্যদের অধিকাংশই মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে পাঠানো হবে। আর অন্যরা জি-ফাইভ সাহেল বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে।’

সাহেল অঞ্চলে সেনা ক্যাম্পগুলো লক্ষ্য করে প্রায়ই জঙ্গিরা হামলা চালায়। ওই মরু অঞ্চল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এসব অঞ্চল থেকে মাঝেমধ্যেই পর্যটকদের অপহরণ করে উগ্রপন্থীরা। অঞ্চলটির উগ্রপন্থীদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের যোগসূত্র রয়েছে।

গত তিন মাসে সাহেল অঞ্চলের দেশ নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও মালিতে জঙ্গি হামলায় অন্তত ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেলেও বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী জঙ্গি সহিংসতা দমনে এখন পর্যন্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের দমনে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে আঞ্চলিক ও ফরাসি সেনারা।

জাতিসংঘের মতে, ধারাবাহিক হামলার কারণে শুধু বুরকিনা ফাসোর ওই উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে ৫ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

উল্লেখ্য, সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের দমনে বর্তমানে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ফরাসি সেনা মোতায়েন রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

জঙ্গি মোকাবিলায় আফ্রিকার সাহেলে সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স

আপডেট সময় ০৯:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মোকাবিলায় ছয় শতাধিক সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। রবিবার এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে নতুন করে আরও সেনা মোতায়েনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল বহুদিন ধরেই অস্থিতিশীল। ২০১২ সালে সেখানকার বহু এলাকা দখল করে নেয় আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গিরা। এতে করে ওই এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী তুয়ারেগ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন পাঁচ জাতির বাহিনী (জি-ফাইভ সাহেল নামে পরিচিত) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের উৎখাত করলেও পরে আবারও সংঘটিত হয় জঙ্গিরা।

রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, ‘সেনাসদস্যদের অধিকাংশই মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে পাঠানো হবে। আর অন্যরা জি-ফাইভ সাহেল বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে।’

সাহেল অঞ্চলে সেনা ক্যাম্পগুলো লক্ষ্য করে প্রায়ই জঙ্গিরা হামলা চালায়। ওই মরু অঞ্চল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এসব অঞ্চল থেকে মাঝেমধ্যেই পর্যটকদের অপহরণ করে উগ্রপন্থীরা। অঞ্চলটির উগ্রপন্থীদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের যোগসূত্র রয়েছে।

গত তিন মাসে সাহেল অঞ্চলের দেশ নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও মালিতে জঙ্গি হামলায় অন্তত ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেলেও বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী জঙ্গি সহিংসতা দমনে এখন পর্যন্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের দমনে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে আঞ্চলিক ও ফরাসি সেনারা।

জাতিসংঘের মতে, ধারাবাহিক হামলার কারণে শুধু বুরকিনা ফাসোর ওই উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে ৫ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

উল্লেখ্য, সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের দমনে বর্তমানে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ফরাসি সেনা মোতায়েন রয়েছে।