ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে সিলেট হাইটেক পার্কের কাজঃ ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

  • আপডেট সময় ০৯:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে। এরপর উদ্বোধনের দিন থেকেই ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে। এ তথ্য জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘সিলেটের নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ঠিক রেখে নির্মাণকাজ চলছে হাইটেক পার্কের (ইলেকট্রনিক্স সিটি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, ২৮টি হাইটেক পার্কের মধ্যে সিলেটকে বেছে নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি গ্রামে প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’

মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশনায় প্রকল্পটি দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রনিক্স সিটি। নির্মাণকাজ শেষ হলে সিলেট থেকেই তৈরি হবে উন্নত প্রযুক্তির সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশ। প্রকল্পে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে প্রায় ৩১ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট আইটি বিজনেস সেন্টার, ক্যাবল ব্রিজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গ্যাস লাইন স্থাপন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।’

সাইটের উন্নয়নকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘হাইটেক পার্কের ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ আগামী মাসের প্রথম দিকে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুতের জন্য ৩০ কিলোমিটার লাইন টানা শেষ হয়েছে। এখন শুধু সাবস্টেশনের কাজ চলছে। সব ধরনের বেসিক কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রকল্পের জন্য গ্যাসের সংযোগ পেতে আরও ৬-৭ মাস সময় লেগে যাবে। সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসকে সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৬২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি টাকা। খোলামেলা পরিবেশে প্রকল্পটি প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের সাইট উন্নয়নের মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করছে নৌবাহিনীর একটি প্রকৌশল দল।’

প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া আরও বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হলে বিনোয়গকারীরা এখানে বিনোয়োগ করতে পারবেন। হাইটেক পার্কে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। গত ৫০ বছরের অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।’

মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া জানান, এখানে ৪০ বছর মেয়াদি প্লট লিজ দেওয়া হবে। প্রতি স্কয়ার মিটার ভূমির ভাড়া নেওয়া হবে প্রতিবছর ১.৫ ডলার। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের ৩১ হাজার স্কয়ার মিটার স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্স হলিডেসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন। কোনও ছাড়পত্রের জন্য দফতরে দৌড়াতে হবে না। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ১৪৮টি সেবা দেওয়া করা হবে। যত রকম সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হবে, তা সরকারই করে দেবে। তবে, কোম্পানি গঠনের পর তা অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য কাজের জন্য মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এ প্রকল্পটির অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক্স সিটি ‘হাইটেক পার্কে’ আইটি বিজনেস সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

বাংলাট্রিবিউন

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত

ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে সিলেট হাইটেক পার্কের কাজঃ ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

আপডেট সময় ০৯:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯

ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে। এরপর উদ্বোধনের দিন থেকেই ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে। এ তথ্য জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘সিলেটের নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ঠিক রেখে নির্মাণকাজ চলছে হাইটেক পার্কের (ইলেকট্রনিক্স সিটি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, ২৮টি হাইটেক পার্কের মধ্যে সিলেটকে বেছে নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বর্ণি গ্রামে প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’

মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশনায় প্রকল্পটি দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ইলেকট্রনিক্স সিটি। নির্মাণকাজ শেষ হলে সিলেট থেকেই তৈরি হবে উন্নত প্রযুক্তির সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশ। প্রকল্পে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে প্রায় ৩১ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট আইটি বিজনেস সেন্টার, ক্যাবল ব্রিজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গ্যাস লাইন স্থাপন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র।’

সাইটের উন্নয়নকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘হাইটেক পার্কের ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ আগামী মাসের প্রথম দিকে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুতের জন্য ৩০ কিলোমিটার লাইন টানা শেষ হয়েছে। এখন শুধু সাবস্টেশনের কাজ চলছে। সব ধরনের বেসিক কাজ শেষ হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রকল্পের জন্য গ্যাসের সংযোগ পেতে আরও ৬-৭ মাস সময় লেগে যাবে। সিলেটের জালালাবাদ গ্যাসকে সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৬২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯০ কোটি টাকা। খোলামেলা পরিবেশে প্রকল্পটি প্রায় ১৬২.৮৩ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের সাইট উন্নয়নের মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করছে নৌবাহিনীর একটি প্রকৌশল দল।’

প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া আরও বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হলে বিনোয়গকারীরা এখানে বিনোয়োগ করতে পারবেন। হাইটেক পার্কে জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তারসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। গত ৫০ বছরের অবস্থা পর্যালোচনাক্রমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।’

মো. গোলাম সরওয়ার ভুঁইয়া জানান, এখানে ৪০ বছর মেয়াদি প্লট লিজ দেওয়া হবে। প্রতি স্কয়ার মিটার ভূমির ভাড়া নেওয়া হবে প্রতিবছর ১.৫ ডলার। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের ৩১ হাজার স্কয়ার মিটার স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীরা ট্যাক্স হলিডেসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন। কোনও ছাড়পত্রের জন্য দফতরে দৌড়াতে হবে না। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ১৪৮টি সেবা দেওয়া করা হবে। যত রকম সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হবে, তা সরকারই করে দেবে। তবে, কোম্পানি গঠনের পর তা অন্য কারও কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ অন্যান্য কাজের জন্য মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এ প্রকল্পটির অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক্স সিটি ‘হাইটেক পার্কে’ আইটি বিজনেস সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

বাংলাট্রিবিউন