ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্সে জমকালো আয়োজনে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্পোর্টিং ক্লাবের ইফতার ও জার্সি উন্মোচন প্যারিসে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনট “ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন” শিওরখাল ওয়ান কমিউনিটির মানবিক উদ্যোগ: পবিত্র রমজানে ১০০ পরিবারে নগদ সহায়তা

থেরেসা’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পথে বাধা হতে পারে: ট্রাম্প

  • আপডেট সময় ১০:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুলাই ২০১৮
  • ৩০২ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সফল হলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, থেরেসা মে’র পরিকল্পনা সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র কেবল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নাও করতে পারে। এর পরিবর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চু্ক্তির পথে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপের ২৭ দেশের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এখনও মতবিরোধ মেটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ব্যবসা-বান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন থেরেসা মে। তবে এতে সায় না থাকায় পদত্যাগ করেছেন তার চরম রক্ষণশীল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট বিষয় মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। এই ইস্যুতে অপেক্ষাকৃত উদারদের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে কট্টর রক্ষণশীলদের। ফলে সংসদে তার আস্থা ভোটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পও চুক্তি বাতিলের ব্যাপারে আভাস দিলেন। তবে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের ব্যাপারে এখনও কিছু বলা হয়নি।

ট্রাম্পের এই প্রথম যুক্তরাজ্য সফরে অবশ্য থেরেসা মে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণের এখনই সুযোগ। বৃহস্পতিবার ব্লেইনহেম প্রাসাদে ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে লালগালিচা সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। থেরেসা মে’র সঙ্গে যখন ট্রাম্প দম্পতি ডিনারে ছিলেন তখনই দ্য সানে সংবাদটি প্রকাশ পায়। সেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, সদ্য পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুবই ভালো কাজ করবেন।

তবে ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী যে পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের সেটা জনগণের চাহিদা থেকে অনেক আলাদা। তিনি বলেন, ‘মে ও তার মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে মনে হচ্ছে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই বাণিজ্য করতে যাচ্ছি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কীভাবে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে আমি থেরেসাকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। আমার কথায় রাজি হননি। এখন তিনি বুঝবেন কি করতে হবে। কিন্তু আমি রাস্তা দেখিয়েছিলাম।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

থেরেসা’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পথে বাধা হতে পারে: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১০:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুলাই ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সফল হলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, থেরেসা মে’র পরিকল্পনা সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র কেবল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নাও করতে পারে। এর পরিবর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চু্ক্তির পথে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

নয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপের ২৭ দেশের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এখনও মতবিরোধ মেটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ব্যবসা-বান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন থেরেসা মে। তবে এতে সায় না থাকায় পদত্যাগ করেছেন তার চরম রক্ষণশীল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট বিষয় মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। এই ইস্যুতে অপেক্ষাকৃত উদারদের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে কট্টর রক্ষণশীলদের। ফলে সংসদে তার আস্থা ভোটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পও চুক্তি বাতিলের ব্যাপারে আভাস দিলেন। তবে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের ব্যাপারে এখনও কিছু বলা হয়নি।

ট্রাম্পের এই প্রথম যুক্তরাজ্য সফরে অবশ্য থেরেসা মে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণের এখনই সুযোগ। বৃহস্পতিবার ব্লেইনহেম প্রাসাদে ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে লালগালিচা সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। থেরেসা মে’র সঙ্গে যখন ট্রাম্প দম্পতি ডিনারে ছিলেন তখনই দ্য সানে সংবাদটি প্রকাশ পায়। সেখানে ট্রাম্প বলেছিলেন, সদ্য পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুবই ভালো কাজ করবেন।

তবে ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী যে পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের সেটা জনগণের চাহিদা থেকে অনেক আলাদা। তিনি বলেন, ‘মে ও তার মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে মনে হচ্ছে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই বাণিজ্য করতে যাচ্ছি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কীভাবে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে আমি থেরেসাকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। আমার কথায় রাজি হননি। এখন তিনি বুঝবেন কি করতে হবে। কিন্তু আমি রাস্তা দেখিয়েছিলাম।’