ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন ফ্রান্সে ভয়াবহ আবাসন সংকট – বাংলাদেশি প্রবাসীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে “পলাশী ট্র্যাজেডিও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের সাইন-এ-মার্ন এলাকায় রাস্তায় তরুণীকে ছুরি মেরে আহত করল গৃহহীন যুবক ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাফ আয়োজিত “প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা:ঈদ বাজার ২০২৫ ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাহিদ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার -১ ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচনের দাবি রোম মহানগর বিএনপির পখত দ্য পারি সেন্ট ডেনিশে “বাংলা অটো ড্রাইভিং” স্কুলের ৭ম শাখা উদ্বোধন” ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড’র বাংলাদেশি সদস্যদের আমাদের কথা’র সংবর্ধনা

দ্বীপটি ছয় মাস স্পেনের, ছয় মাস ফ্রান্সের!

  • আপডেট সময় ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার বর্গমিটারের একটি দ্বীপ স্বেচ্ছায় স্পেনকে দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। অথচ দুই পক্ষে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। নেই কোনো বাদ-বিবাদও। করবেই বা কেন? ছয় মাস পর যে আবার দ্বীপটি ফিরে পাবে ফ্রান্স!

স্পেন ও ফ্রান্সের সীমানা বরাবর এই দ্বীপটির নাম ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। প্রায় ৩৫০ বছর ধরে ছয় মাস অন্তর মালিকানা বদল হয়ে আসছে দ্বীপটির। আকারে ছোট্ট দ্বীপটি লম্বায় মাত্র ২০০ মিটার। আর চওড়ায় ৪০ মিটার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যকার প্রাকৃতিক সীমান্ত হলো বিদাসোয়া নামের একটি নদী। এই নদীর ঠিক মাঝ দিয়ে গেছে দুই দেশের সীমান্তরেখা। আর সীমানা বরাবর একফালি দ্বীপ ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। গাছে ঘেরা ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কেউ থাকে না। পর্যটকেরাও যান না খুব একটা। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই দ্বীপে চলে স্পেনের শাসন। বাকি ছয় মাস দ্বীপের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রান্স।

এখন ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে জনমানুষের চিহ্ন না থাকলেও, ঐতিহাসিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ১৬৫৯ সালে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে। তখন থেকেই এই দ্বীপ একটি নিরপেক্ষ এলাকা। দুই দেশ সেখানে একটি শান্তিচুক্তিতে সাক্ষর করেছিল। আর চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রায় তিন মাস ধরে মধ্যস্থতা চলেছিল।

ওই চুক্তির নাম ট্রিটি অব পিরেনিস। চুক্তি চূড়ান্ত করতে আয়োজন করা হয়েছিল এক রাজকীয় বিয়ের। স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই। এভাবেই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল।

সেই থেকে শুরু। এখনো চলছে দ্বীপের মালিকানা বদলের ঐতিহ্য। এভাবে কোনো স্থানের দ্বৈত সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে বলা হয় কন্ডোমিনিয়াম। ঐতিহাসিকদের মতে, এখনো পর্যন্ত কন্ডোমিনিয়ামের সবচেয়ে পুরোনো উদাহরণ হলো ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। কেউ কেউ মজা করে বলেন, এই দ্বীপটিই নাকি বিশ্বের একমাত্র সীমান্তবর্তী দ্বীপ—যা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই!

এখন কদাচিৎ সাধারণ মানুষের পা পড়ে এই দ্বীপে। ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড আগের চেয়ে আকারে অনেক ছোট হয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভূমিক্ষয়ের কারণে গত এক শ বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে এসেছে দ্বীপটি। নিয়মিত মালিকানা বদল হলেও, ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কোনো সরকারি স্থাপনা তৈরির উদ্যোগ কখনোই নেয়নি কোনো দেশ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন

দ্বীপটি ছয় মাস স্পেনের, ছয় মাস ফ্রান্সের!

আপডেট সময় ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় তিন হাজার বর্গমিটারের একটি দ্বীপ স্বেচ্ছায় স্পেনকে দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। অথচ দুই পক্ষে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। নেই কোনো বাদ-বিবাদও। করবেই বা কেন? ছয় মাস পর যে আবার দ্বীপটি ফিরে পাবে ফ্রান্স!

স্পেন ও ফ্রান্সের সীমানা বরাবর এই দ্বীপটির নাম ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। প্রায় ৩৫০ বছর ধরে ছয় মাস অন্তর মালিকানা বদল হয়ে আসছে দ্বীপটির। আকারে ছোট্ট দ্বীপটি লম্বায় মাত্র ২০০ মিটার। আর চওড়ায় ৪০ মিটার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যকার প্রাকৃতিক সীমান্ত হলো বিদাসোয়া নামের একটি নদী। এই নদীর ঠিক মাঝ দিয়ে গেছে দুই দেশের সীমান্তরেখা। আর সীমানা বরাবর একফালি দ্বীপ ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। গাছে ঘেরা ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কেউ থাকে না। পর্যটকেরাও যান না খুব একটা। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই দ্বীপে চলে স্পেনের শাসন। বাকি ছয় মাস দ্বীপের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রান্স।

এখন ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে জনমানুষের চিহ্ন না থাকলেও, ঐতিহাসিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। ১৬৫৯ সালে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে। তখন থেকেই এই দ্বীপ একটি নিরপেক্ষ এলাকা। দুই দেশ সেখানে একটি শান্তিচুক্তিতে সাক্ষর করেছিল। আর চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রায় তিন মাস ধরে মধ্যস্থতা চলেছিল।

ওই চুক্তির নাম ট্রিটি অব পিরেনিস। চুক্তি চূড়ান্ত করতে আয়োজন করা হয়েছিল এক রাজকীয় বিয়ের। স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই। এভাবেই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল।

সেই থেকে শুরু। এখনো চলছে দ্বীপের মালিকানা বদলের ঐতিহ্য। এভাবে কোনো স্থানের দ্বৈত সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে বলা হয় কন্ডোমিনিয়াম। ঐতিহাসিকদের মতে, এখনো পর্যন্ত কন্ডোমিনিয়ামের সবচেয়ে পুরোনো উদাহরণ হলো ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড। কেউ কেউ মজা করে বলেন, এই দ্বীপটিই নাকি বিশ্বের একমাত্র সীমান্তবর্তী দ্বীপ—যা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই!

এখন কদাচিৎ সাধারণ মানুষের পা পড়ে এই দ্বীপে। ফেজ্যান্ট আইল্যান্ড আগের চেয়ে আকারে অনেক ছোট হয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভূমিক্ষয়ের কারণে গত এক শ বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে এসেছে দ্বীপটি। নিয়মিত মালিকানা বদল হলেও, ফেজ্যান্ট আইল্যান্ডে কোনো সরকারি স্থাপনা তৈরির উদ্যোগ কখনোই নেয়নি কোনো দেশ।