ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইইউ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার প্রত্যাশা

  • আপডেট সময় ১১:৪৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মক উদ্বেগজনক। এক্ষেত্রে অনেক কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে এখানে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ক্রমাগত তত বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জাতীয় এ নির্বাচন স্বচ্ছ, সবার অংশগ্রহণমুলক ও পক্ষপাতহীন হবে বলে প্রত্যাশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে যাচ্ছে ইইউ। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ১৫ই নভেম্বর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্লিনারি সেশনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা পলিসি বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেডেরিক মঘেরিনির পক্ষে এসব কথা বলেছেন ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস। তিনি হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের কমিশনার।

ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে এ ইস্যুতে আলোচনা করে যাচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিবৃতিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় এর প্রয়োজন ছিল। ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, আমরা সাংবাদিক শহিদুল আলমের পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ, সবার অংশগ্রহণমুলক ও পক্ষপাতিত্বহীন হবে বলে প্রত্যাশা করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তভাবে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার অধিকারকে সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষিত রাখা উচিত বাংলাদেশের। নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত সরকারের। শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সুপারিশগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা উচিত। বিশেষ করে শ্রমিকদের বিনা বাধায় সংগঠন গড়ে তোলার অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপিয় ইউনিয়নের যে উন্নয়ন সহযোগিতা রয়েছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মানবাধিকার। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ৪ কোটি ইউরোরও বেশি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা সহ গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়নকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মালিকানা নিশ্চিত করার দিকে ফোকাস করেছে বা দৃষ্টি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায় সম্পর্ক রয়েছে ইইউয়ের। শরণার্থী সঙ্কটের প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাসে আমাদের রাজনৈতিক সংলাপ তীব্র হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করি আমরা। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি এখনও রয়েছে অভিষ্ট লক্ষ্যে। তবে এই ফেরত যাওয়া হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, স্থিতিশীল ও মর্যাদার সঙ্গে। এটা তাদের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে জড়িত করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে, রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়া নিরাপদ ও স্থিতিশীল হবে।

ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের মূল যে সংলাপ তাতে অগ্রাধিকারে রয়েছে মানবাধিকার। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নিয়মিতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ইইউ। এক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। তা হলো, বাংলাদেশ সরকার এ ইস্যুতে ইইউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এপ্রিলে সাব গ্রুপ অন গুড গভর্নেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এবং জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ডিপ্লোম্যাটিক কনসালটেশনস-এ গৃহীত যৌথ প্রেস রিলিজে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রে ঘাটতির বিষয়গুলো দেখবে এবং এসব ইস্যুর প্রতি সম্মান দেখিয়ে পলিসি নেবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইইউ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার প্রত্যাশা

আপডেট সময় ১১:৪৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মক উদ্বেগজনক। এক্ষেত্রে অনেক কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে এখানে মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা ক্রমাগত তত বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জাতীয় এ নির্বাচন স্বচ্ছ, সবার অংশগ্রহণমুলক ও পক্ষপাতহীন হবে বলে প্রত্যাশা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে যাচ্ছে ইইউ। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ১৫ই নভেম্বর ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্লিনারি সেশনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা পলিসি বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ফেডেরিক মঘেরিনির পক্ষে এসব কথা বলেছেন ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস। তিনি হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের কমিশনার।

ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে এ ইস্যুতে আলোচনা করে যাচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিবৃতিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় এর প্রয়োজন ছিল। ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, আমরা সাংবাদিক শহিদুল আলমের পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ, সবার অংশগ্রহণমুলক ও পক্ষপাতিত্বহীন হবে বলে প্রত্যাশা করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তভাবে শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করার অধিকারকে সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষিত রাখা উচিত বাংলাদেশের। নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত সরকারের। শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সুপারিশগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা উচিত। বিশেষ করে শ্রমিকদের বিনা বাধায় সংগঠন গড়ে তোলার অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপিয় ইউনিয়নের যে উন্নয়ন সহযোগিতা রয়েছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মানবাধিকার। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ৪ কোটি ইউরোরও বেশি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা সহ গণতান্ত্রিক ক্ষমতায়নকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মালিকানা নিশ্চিত করার দিকে ফোকাস করেছে বা দৃষ্টি দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায় সম্পর্ক রয়েছে ইইউয়ের। শরণার্থী সঙ্কটের প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাসে আমাদের রাজনৈতিক সংলাপ তীব্র হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করি আমরা। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি এখনও রয়েছে অভিষ্ট লক্ষ্যে। তবে এই ফেরত যাওয়া হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, স্থিতিশীল ও মর্যাদার সঙ্গে। এটা তাদের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে জড়িত করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে, রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়া নিরাপদ ও স্থিতিশীল হবে।

ক্রিস্তোস স্টাইলিয়ানিডস আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের মূল যে সংলাপ তাতে অগ্রাধিকারে রয়েছে মানবাধিকার। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নিয়মিতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ইইউ। এক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। তা হলো, বাংলাদেশ সরকার এ ইস্যুতে ইইউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এপ্রিলে সাব গ্রুপ অন গুড গভর্নেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এবং জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ডিপ্লোম্যাটিক কনসালটেশনস-এ গৃহীত যৌথ প্রেস রিলিজে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রে ঘাটতির বিষয়গুলো দেখবে এবং এসব ইস্যুর প্রতি সম্মান দেখিয়ে পলিসি নেবে।