ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পরাজয়ের দায় নিলেন করবিন

  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

ব্রিটিশ নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ে নিজের দায় স্বীকার করেছেন দলটির নেতা জেরেমি করবিন। নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দলের একাংশ। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তিনি কোনও নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার পরাজয়ের দায়ভারও নিলেন তিনি।

নির্বাচনের পর করবিন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বসন্তে একজন উত্তরসূরি নির্বাচনে হলে তখন তিনি পদত্যাগ করবেন। এ সময় তিনি বলেছেন, ‘আমরা বড় ধরনের পরাজয় বরণ করেছি। এর জন্য আমি দায় নিচ্ছি।’

দল হারলেও নর্থ আইলিংটনে করবিন বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। ৩৬ হাজার ৬০৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ৮ হাজার ৪১৫টি ভোট।

দলের প্রত্যাশিত ফল অর্জিত না হওয়ায় করবিনের পদত্যাগ চাইতে শুরু করেন লেবার পার্টির নেতাদের একাংশ। তবে দলের চেয়ারম্যান অবশ্য এই ফলের জন্য করবিনকে দায়ী করতে নারাজ। তিনি লেবার নীতিকেই দায়ী মনে করছেন। তার মতে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে লেবার নীতির বিপক্ষে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যবাসী। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় গণভোট চেয়েছি। তবে প্রথম গণভোটেই ১ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আমরা সেটাকে সম্মান করতে পারিনি। ফলে আমাদের এই পরিণতি হয়েছে।’

নিজের পর্যালোচনায় করবিন বলেছেন, নির্বাচনের সময় গণভোট ইস্যুতে লেবার ভোটারদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকায় এমন ব্রেক্সিট পলিসির জন্য দলকে মূল্য দিতে হবে। লেবারদের নির্বাচনি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর ইংল্যান্ড ও মিডল্যান্ডে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীরা বিপুল ভোট পেয়ে সেখানে প্রায় ৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তবে এসবের জন্য তিনি রাজনৈতিক পদ্ধতি, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট ও জনসনের অসততাকে দায়ী করেছেন।

অনেক ইস্যুতে লেবার পার্টির সঠিক অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট করবিন। তিনি বলেন, ‘ব্যয় সংকোচননীতি, কর্পোরেট শক্তি, অসমতা ও জলবায়ু জরুরি অবস্থার বিষয়ে বিতর্কে আমরা জয়ী হওয়ায় এবং রাজনৈতিক বিতর্কের পদ্ধতির পুনর্লিখন করতে পারায় আমি গর্বিত।’

করবিন বিশ্বাস করেন, ‘ব্রেক্সিট ইস্যুর প্রাধান্য না থাকলে নির্বাচনে তার পার্টি জিততে পারতো’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। বলেন, ‘আমাদের রেলনীতি, গণগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি, মৌলিক পরিষেবা প্রদান ও লাখ লাখ মানুষের বেতন বৃদ্ধির নীতিগুলো খুবই জনপ্রিয়; এতে কোনও সন্দেহ নেই। যেসব ইস্যুতে সফল হইনি, ভবিষ্যতে সেগুলোতে কীভাবে সফল হওয়া যায় সেটাই আমার প্রশ্ন’।

নির্বাচনি পর্যালোচনায় করবিনের রাজনৈতিক মিত্র ও ছায়া চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনাল বলেছেন, ‘করবিন পদত্যাগ করলে আমিও ছায়া ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করব’। লেবার পার্টির নেতাকে সমর্থন করে তিনি বলেন, জেরেমি হলেন সঠিক নেতা।

তবে করবিনের পর্যালোচনা প্রতিবেদনের পর তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন হ্যারিয়েট হারম্যান। তিনি বলেছেন, ‘করবিন ও তার মিত্রদের পরাজয়ের দায় নেওয়া উচিৎ। সম্পূর্ণ দায় তাদের।’

রবিবারের পর্যালোচনায় লেবার পার্টি কীভাবে জনগণের আস্থা ফেরাতে পারে এবং পার্টির সব স্তরের মধ্যে আরও কীভাবে উন্মুক্ত আলোচনা করা যায় এসব বিষয়ে জোর দেন জেস ফিলিপস ও লিসা নন্দি।

করবিনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সময় নির্ধারণ করতে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে সম্ভবত সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাহী কমিটি। আমাদের পার্টি বড়দিনের সময় নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিযোগিতা শুরু করতে চায় না। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাস না আসা পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনের মোট ৬৫০টি আসনের আইনপ্রণেতা নির্বাচন করতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোট দেন ভোটাররা। ভোটের ফলাফলে কনজারভেটিভরাই পেয়েছে ৩৬৫টি আসন। আর লেবার ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্রেটরা ১১ এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

পরাজয়ের দায় নিলেন করবিন

আপডেট সময় ০৪:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রিটিশ নির্বাচনে লেবার পার্টির পরাজয়ে নিজের দায় স্বীকার করেছেন দলটির নেতা জেরেমি করবিন। নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দলের একাংশ। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তিনি কোনও নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার পরাজয়ের দায়ভারও নিলেন তিনি।

নির্বাচনের পর করবিন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বসন্তে একজন উত্তরসূরি নির্বাচনে হলে তখন তিনি পদত্যাগ করবেন। এ সময় তিনি বলেছেন, ‘আমরা বড় ধরনের পরাজয় বরণ করেছি। এর জন্য আমি দায় নিচ্ছি।’

দল হারলেও নর্থ আইলিংটনে করবিন বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। ৩৬ হাজার ৬০৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ৮ হাজার ৪১৫টি ভোট।

দলের প্রত্যাশিত ফল অর্জিত না হওয়ায় করবিনের পদত্যাগ চাইতে শুরু করেন লেবার পার্টির নেতাদের একাংশ। তবে দলের চেয়ারম্যান অবশ্য এই ফলের জন্য করবিনকে দায়ী করতে নারাজ। তিনি লেবার নীতিকেই দায়ী মনে করছেন। তার মতে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে লেবার নীতির বিপক্ষে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যবাসী। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় গণভোট চেয়েছি। তবে প্রথম গণভোটেই ১ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আমরা সেটাকে সম্মান করতে পারিনি। ফলে আমাদের এই পরিণতি হয়েছে।’

নিজের পর্যালোচনায় করবিন বলেছেন, নির্বাচনের সময় গণভোট ইস্যুতে লেবার ভোটারদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকায় এমন ব্রেক্সিট পলিসির জন্য দলকে মূল্য দিতে হবে। লেবারদের নির্বাচনি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর ইংল্যান্ড ও মিডল্যান্ডে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীরা বিপুল ভোট পেয়ে সেখানে প্রায় ৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তবে এসবের জন্য তিনি রাজনৈতিক পদ্ধতি, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট ও জনসনের অসততাকে দায়ী করেছেন।

অনেক ইস্যুতে লেবার পার্টির সঠিক অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট করবিন। তিনি বলেন, ‘ব্যয় সংকোচননীতি, কর্পোরেট শক্তি, অসমতা ও জলবায়ু জরুরি অবস্থার বিষয়ে বিতর্কে আমরা জয়ী হওয়ায় এবং রাজনৈতিক বিতর্কের পদ্ধতির পুনর্লিখন করতে পারায় আমি গর্বিত।’

করবিন বিশ্বাস করেন, ‘ব্রেক্সিট ইস্যুর প্রাধান্য না থাকলে নির্বাচনে তার পার্টি জিততে পারতো’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। বলেন, ‘আমাদের রেলনীতি, গণগৃহ নির্মাণ কর্মসূচি, মৌলিক পরিষেবা প্রদান ও লাখ লাখ মানুষের বেতন বৃদ্ধির নীতিগুলো খুবই জনপ্রিয়; এতে কোনও সন্দেহ নেই। যেসব ইস্যুতে সফল হইনি, ভবিষ্যতে সেগুলোতে কীভাবে সফল হওয়া যায় সেটাই আমার প্রশ্ন’।

নির্বাচনি পর্যালোচনায় করবিনের রাজনৈতিক মিত্র ও ছায়া চ্যান্সেলর জন ম্যাকডোনাল বলেছেন, ‘করবিন পদত্যাগ করলে আমিও ছায়া ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করব’। লেবার পার্টির নেতাকে সমর্থন করে তিনি বলেন, জেরেমি হলেন সঠিক নেতা।

তবে করবিনের পর্যালোচনা প্রতিবেদনের পর তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন হ্যারিয়েট হারম্যান। তিনি বলেছেন, ‘করবিন ও তার মিত্রদের পরাজয়ের দায় নেওয়া উচিৎ। সম্পূর্ণ দায় তাদের।’

রবিবারের পর্যালোচনায় লেবার পার্টি কীভাবে জনগণের আস্থা ফেরাতে পারে এবং পার্টির সব স্তরের মধ্যে আরও কীভাবে উন্মুক্ত আলোচনা করা যায় এসব বিষয়ে জোর দেন জেস ফিলিপস ও লিসা নন্দি।

করবিনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য সময় নির্ধারণ করতে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে সম্ভবত সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাহী কমিটি। আমাদের পার্টি বড়দিনের সময় নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতিযোগিতা শুরু করতে চায় না। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাস না আসা পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনের মোট ৬৫০টি আসনের আইনপ্রণেতা নির্বাচন করতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোট দেন ভোটাররা। ভোটের ফলাফলে কনজারভেটিভরাই পেয়েছে ৩৬৫টি আসন। আর লেবার ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্রেটরা ১১ এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জয়লাভ করেছে ৮টি আসনে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান