রনি মোহাম্মদ, পর্তুগাল : পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে ঈদ পূনর্মিলনী ও ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজন করেছে দেশটিতে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসী। প্রবাসে থেকেও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ঐতিহ্য লালনের প্রয়াসে রবিবার রাতে লিসবনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা মার্তৃম-মুনিজ এলাকা যেন চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র অংশ তথা একখন্ড বাংলাদেশে পরিনত হয়েছিলো ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্টানের মাধ্যমে।
ঈদ পরবর্তী পর্তুগালের রাজধানী লিসবন ও আশপাশের শহরে বসবাসরত চট্টগ্রাম প্রবাসী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী এতে অংশনেন। ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনের চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে পরিকল্পনায় ও পরিচালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম প্রবাসী মোঃ ইকবাল চৌধুরী, আবু হেনা চৌধুরী, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মেজবাহ উল আলম রিগান। তাদের এই পরিকল্পনাতে পরবর্তীতে পর্তুগালে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসী অন্যান্যরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। মেজবানকে চট্টগ্রামের পরিপূর্ণ স্বাদ দিতে লিসবনের ফুড গার্ডেন, রাঁধুনি ও বেঙ্গল রেস্টুরেন্টে মেজবানের খাবারের রেসিপি অনুযায়ী রান্না ও পরিবেশন করেন।
প্রায় ১৫’শ প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে পুরো অনুষ্ঠানটিই উৎসবের আমেজ ধারণ করে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা মেজবানে অংশ নিয়ে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নেন।
মেজবান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের রাষ্ট্রদূত জনাব মো: রুহুল আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামবাসীর আয়োজনে ঈদ পূনর্মিলনী ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনে বিপুল স্যংখক বাংলাদেশীদের একসঙ্গে দেখে ভালো লাগছে।
এধরণের আয়োজন কমিউনিটিতে একের প্রতি অন্যের সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্য আরো বৃদ্ধি পাবে। পরে তিনি সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানকে সুদূর পর্তুগালে ধারাবাহিকভাবে নিয়ে আসতে পারাটা একটি বড় ব্যাপার। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম না হয়ে পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষদের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজকরা বলেন, কমিউনিটির মধ্যে সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই আমাদের এই ধরনের আয়োজন সফল করা সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে মেজবানে অংশ নেওয়ায় সকল প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।