ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন বিলেতের প্রধান কবি আহমেদ ময়েজ বালাগঞ্জে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে মানববন্ধন প্যারিসে খিয়াং নয়ন রচিত মোটিভেশনাল বিষয়ক ‘Impression de vie’ জীবনের ছাপ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে- নবাগত ওসি নির্মল দেব এর মতবিনিময় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময়

পাঁচ সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি আইএফজে’র

  • আপডেট সময় ০৯:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

মে মাসের প্রথম ৫ দিনে বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সাংবাদিককে। সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে এসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। একই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেলজিয়ামভিত্তিক আইএফজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেসবুকের পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য মুয়াজ্জম হোসেন রতন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নিজের বাসভবন থেকে ৫ই মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে। তিনি হাওরাঞ্চলের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, মাহতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় ফেসবুকের পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পোস্টের মাধ্যমে এমপি রতনের মানহানি হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এই এমপিকে এ বছর শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে একটি পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহতাব উদ্দিনকে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে ১লা মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্তা বণিক এবং নরসিংদী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার শাহিনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এর ফলে দাবি করা হয়, তারা যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা বানোয়াট। ঘোড়াশালে এক যুবককে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ নিয়ে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

আইএফজে আরো বলেছে, ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ মামলা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা আরো বলেছে, ২০২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারকে এই আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে বলে। বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানাই আমরা। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
ওদিকে আইএফজে বলেছে, গ্রেপ্তার করা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আইএফজে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে তারা। এ ছাড়া অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যেকোনো প্রচেষ্টা, সাংবাদিকতাকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান আইএফজের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান জানায় এ সংগঠন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন

পাঁচ সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি আইএফজে’র

আপডেট সময় ০৯:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

মে মাসের প্রথম ৫ দিনে বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সাংবাদিককে। সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে এসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। একই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেলজিয়ামভিত্তিক আইএফজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেসবুকের পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য মুয়াজ্জম হোসেন রতন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নিজের বাসভবন থেকে ৫ই মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে। তিনি হাওরাঞ্চলের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, মাহতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় ফেসবুকের পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পোস্টের মাধ্যমে এমপি রতনের মানহানি হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এই এমপিকে এ বছর শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে একটি পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহতাব উদ্দিনকে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে ১লা মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্তা বণিক এবং নরসিংদী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার শাহিনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এর ফলে দাবি করা হয়, তারা যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা বানোয়াট। ঘোড়াশালে এক যুবককে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ নিয়ে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

আইএফজে আরো বলেছে, ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ মামলা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা আরো বলেছে, ২০২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারকে এই আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে বলে। বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানাই আমরা। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
ওদিকে আইএফজে বলেছে, গ্রেপ্তার করা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আইএফজে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে তারা। এ ছাড়া অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যেকোনো প্রচেষ্টা, সাংবাদিকতাকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান আইএফজের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান জানায় এ সংগঠন।