ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে বাংলাদেশ ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ব্রুতাইন এর নির্বাচন এবং পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্যারিসে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,ফ্রান্সের নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্টিত ফ্রান্সে নভেম্বর মাসে যেসব পরিবর্তন আসছে ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভোট বর্জনের হুমকি শেখ হাসিনার ঝালকাঠির দুটি আসনে বিএনপির দুর্গে আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘ইসলামী জোট’ ফরাসি বাজেট নিয়ে সংসদে টানাপোড়েন: সরকার টিকে থাকবে কি? আওয়ামীলীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ চান হাসিনা বালাগঞ্জ-গহরপুরে রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের স্বপ্নের মেগাপ্রকল্প ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে নিয়ে অনলাইন বিদ্বেষমূলক প্রচারণা: ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা শুরু

পাঁচ সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি আইএফজে’র

  • আপডেট সময় ০৯:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
  • ২৮১ বার পড়া হয়েছে

মে মাসের প্রথম ৫ দিনে বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সাংবাদিককে। সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে এসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। একই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেলজিয়ামভিত্তিক আইএফজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেসবুকের পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য মুয়াজ্জম হোসেন রতন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নিজের বাসভবন থেকে ৫ই মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে। তিনি হাওরাঞ্চলের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, মাহতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় ফেসবুকের পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পোস্টের মাধ্যমে এমপি রতনের মানহানি হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এই এমপিকে এ বছর শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে একটি পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহতাব উদ্দিনকে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে ১লা মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্তা বণিক এবং নরসিংদী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার শাহিনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এর ফলে দাবি করা হয়, তারা যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা বানোয়াট। ঘোড়াশালে এক যুবককে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ নিয়ে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

আইএফজে আরো বলেছে, ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ মামলা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা আরো বলেছে, ২০২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারকে এই আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে বলে। বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানাই আমরা। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
ওদিকে আইএফজে বলেছে, গ্রেপ্তার করা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আইএফজে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে তারা। এ ছাড়া অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যেকোনো প্রচেষ্টা, সাংবাদিকতাকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান আইএফজের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান জানায় এ সংগঠন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে বাংলাদেশ ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ব্রুতাইন এর নির্বাচন এবং পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

পাঁচ সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি আইএফজে’র

আপডেট সময় ০৯:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

মে মাসের প্রথম ৫ দিনে বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সাংবাদিককে। সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে এসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। একই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেলজিয়ামভিত্তিক আইএফজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেসবুকের পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য মুয়াজ্জম হোসেন রতন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নিজের বাসভবন থেকে ৫ই মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে। তিনি হাওরাঞ্চলের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, মাহতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় ফেসবুকের পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পোস্টের মাধ্যমে এমপি রতনের মানহানি হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এই এমপিকে এ বছর শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে একটি পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহতাব উদ্দিনকে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে ১লা মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্তা বণিক এবং নরসিংদী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার শাহিনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এর ফলে দাবি করা হয়, তারা যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা বানোয়াট। ঘোড়াশালে এক যুবককে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ নিয়ে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

আইএফজে আরো বলেছে, ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ মামলা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা আরো বলেছে, ২০২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারকে এই আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে বলে। বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানাই আমরা। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
ওদিকে আইএফজে বলেছে, গ্রেপ্তার করা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আইএফজে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে তারা। এ ছাড়া অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যেকোনো প্রচেষ্টা, সাংবাদিকতাকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান আইএফজের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান জানায় এ সংগঠন।