প্যারিস, ফ্রান্স থেকে, মোহাম্মাদ জাফরুল হাসান
গার দ্যো লিস্ট থেকে লা করনোভ যাবো। একজন পরামর্শ দিলো মেট্রো সাত ধরতে, তার কথা মতো দুই মিনিট হেঁটে গার দ্যো লিস্ট পৌঁছলাম আর লা করনোভ ডিটেকশনের মেট্রো ৭ এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। যাই হোক মেট্রো আসতে আর দেরী নেই, মাত্র এক মিনিট বাকী, ঝিক ঝিক শব্দে তারই প্রমান দিচ্ছে।
এবার মেট্রোতে উঠার পালা। মানুষজনের ভীড় আর তাড়া-হুরাতে আমি ছোট্ট একজন। ভীড় ঠেলে রীতিমত যুদ্ধ করে মেট্রোতে উঠলাম। আবশ্য বসার কোন আসন পাই নি তাই দাড়িয়ে যেতে হবে। ঝিক-ঝিক আর শোঁ -শোঁ শব্দে দুর্দান্ত গতিতে মেট্রো তার পথে। এক মিনিটে মেট্রো তার পরবর্তী স্টেশনে। চারদিকে মানুষজনের ধাক্কা আর কোলাহলে আমি কিছুটা বিব্রত।
চোখ ঘুরাতে চোখের উপর পড়লো ওভারভীলা কেথসীমা। বলা আছে, ফ্রান্সে এটিনাকী বাঙালী আধ্যুষীত এলাকা। তাই মনোস্থির করলাম কেথসীমার ধূলো গায়ে মেখে নিবো। যেই চিন্তা সেই কাজ। প্রায় দশ মিনিট পর কেথসীমা পৌঁছলাম। মেট্রো থেকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম আর অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। এতো বাঙালীদের ভীড়। কিছু দূর আগাতে চোখে পড়লো বাঙালা রেস্টুরেন্ট আর আমারও পেটে খিদে। দেরী না করে ডুকে পড়লাম, বাঙালীবাবুদের মতো পা উঠিয়ে চেয়ারে বসলাম। তন্মধ্যে, ভদ্রলোক জানতে চাইলো কী খাবো? আমিও বলে দিলাম, ভাত-মাছ।
খাওয়া-দাওয়া শেষে আবার হাঁটা শুরু। আসংখ্য বাঙালী। বাঙালীদের মধ্যে কেউ সিলেটী, কেউ চিটাংগা, কেউ ঢাকার কেউ বা অন্য। মনে হলো, যেন বাংলাদেশে চলে এলাম। আচমকা চোক থেকে জল পড়ছে। দেশেতো নিরাপত্তা নেই।
হাঁটা-হাঁটি শেষ এখন যাবার পালা। লা করনোভ যাবো। তাই আবার মেট্রো ৭।