ঢাকা ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে শিশুবান্ধব উদ্যোগ: উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ “বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইরানের দাঁত ভাঙা জবাব” দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন ফ্রান্সে ভয়াবহ আবাসন সংকট – বাংলাদেশি প্রবাসীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে “পলাশী ট্র্যাজেডিও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের সাইন-এ-মার্ন এলাকায় রাস্তায় তরুণীকে ছুরি মেরে আহত করল গৃহহীন যুবক ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাফ আয়োজিত “প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা:ঈদ বাজার ২০২৫ ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাহিদ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার -১ ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচনের দাবি রোম মহানগর বিএনপির

প্যারিস হাইকোর্ট স্বীকৃত প্রথম বাংলাদেশী অনুবাদক তুহিন জুলকিপলা।

  • আপডেট সময় ০৮:১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৫০১ বার পড়া হয়েছে

প্যারিস হাইকোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের সন্তান তুহিন জুলকিপলা। ইতোমধ্যে এই সুযোগ লাভ করেছে BENOIT Philippe, BHATTACHARYA Arindam এবং GOMES Monica (দোভাষী)। উল্লেখ্য, তারা সবাই জুডিশিয়াল ট্রান্সলেশন এবং ইন্টারপ্রেটেনশন এর জন্য প্যারিস আপীল কোর্ট এর তালিকাভূক্ত।

ফ্রান্সে বাঙালি অভিবাসন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে বিগত ১০-১৫ বছর আগের থেকে। হাজার হাজার বাঙালি ইতিমধ্যেই এদেশে বসবাস করছেন এবং পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। ফ্রান্সে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সকল কাজে স্থানীয় ভাষা ফরাসী। পৃথিবীর কঠিন ভাষার মধ্যে ফরাসী একটি। ভাল ভাষা না জানার ফলে অফিস আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বাংলাদেশিদের। কিন্তু তুহিন জুলকিপলাদের মত মেধাবী বাংলাদেশী সন্তান এই কঠিন ভাষায় বুৎপত্তি লাভ করে এমন উচ্চতায় জায়গা করে নিয়েছে।

ফ্রান্সে অভিবাসন প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক আশ্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি-বেসরকারি কাজে, আদালতে ইত্যাদি নানাক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত এবং প্রত্যায়িত অনুবাদ এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কারণে দোভাষী ও অনুবাদকদের এক বিশেষ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। আর সে যোগ্যতার স্বীকৃতি যখন দেশের উচ্চ আদালত প্রদান করে, তা একটি বিশেষ মেধা ও শ্রমের পরিচায়ক। তুহিন জুলকিপলা সেটি অর্জন করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করেছে। কেননা সমস্ত প্রসাশনিক কাজে একমাত্র তাদের অনুবাদই গ্রহণযোগ্য। সম্প্রতি প্যারিসের হাইকোর্ট এই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অনুবাদক তুহিন জুলকিপলাকে এই গুরুদায়িত্ব দিল। যদিও ভারতের কয়েকজন বাঙালিকে এই ‘সন্মান’ প্রদান করা হয়েছিল প্যারিস হাইকোর্ট থেকে, কিন্তু এই প্রথম রাজধানী প্যারিসে তুহিন জুলকিপলা এই পদবী ও সন্মানের অধিকারী হলো। এর কয়েক বছর আগে একই কোর্ট তাকে দোভাষী হিসেবে ও মনোনীত করেছিল। এর আগে প্যারিসের বাইরে অন্য নগরী ভার্সাই হাইকোর্ট থেকে বাংলাদেশি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও শিহাব হক এবং ফ্রান্সের দক্ষিণ প্রান্তের অপর নগরী তুলুজ হাইকোর্ট থেকে মইনুল হাসানসহ আরও দুজন এই পদবী পেয়েছেন।

Tuhin ZULKIPLA প্যারিসের গার দ্যু নর্দ’ এ (10, Rue Demarquay, 75010, Paris) S.T.I.P (পেশাদার অনুবাদক ও দোভাষী সংগঠন) অফিসে দীর্ঘ এক যুগ থেকে অনুবাদের কাজ করে যাচ্ছেন।

তুহিন জুলকিপলা ঢাকার বিখ্যাত নটরডেম কলেজের ছাত্র। পরবর্তীতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ফরাসী ভাষার সাথে তার সখ্যতা। তারপর একে আকড়ে রাখা। প্রায় দুই দশক আগে ফ্রান্সে এসে নিজের মেধা, যোগ্যতা এবং শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ফ্রান্সের অক্সফোর্ডখ্যাত শরবোন ইউনিভার্সিটি থেকে এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।

ফরাসী আইনের প্রতি খুবই সতর্ক এবং সম্মান দেয়া তুহিন জুলকিপলা অনেক কথাই বলেছেন ‘অফ দ্যা রেকর্ডে’! কেননা আলাপচারিতায় তিনি আমাকে বারবার ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। প্যারিস গার দু নর্দে তার কার্যালয়ে সরাসরি তার সাথে কথা বলে জানা গেল তার ২/১ টি স্বপ্নের কথা। তিনি বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) এর কাজগুলোর প্রসংশা করেন এবং কমিউনিটিতে তিনিও ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর দিকটি সতর্কতার সাথে মান্য করে কাজ করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে শিশুবান্ধব উদ্যোগ: উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

প্যারিস হাইকোর্ট স্বীকৃত প্রথম বাংলাদেশী অনুবাদক তুহিন জুলকিপলা।

আপডেট সময় ০৮:১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০

প্যারিস হাইকোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের সন্তান তুহিন জুলকিপলা। ইতোমধ্যে এই সুযোগ লাভ করেছে BENOIT Philippe, BHATTACHARYA Arindam এবং GOMES Monica (দোভাষী)। উল্লেখ্য, তারা সবাই জুডিশিয়াল ট্রান্সলেশন এবং ইন্টারপ্রেটেনশন এর জন্য প্যারিস আপীল কোর্ট এর তালিকাভূক্ত।

ফ্রান্সে বাঙালি অভিবাসন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে বিগত ১০-১৫ বছর আগের থেকে। হাজার হাজার বাঙালি ইতিমধ্যেই এদেশে বসবাস করছেন এবং পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। ফ্রান্সে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সকল কাজে স্থানীয় ভাষা ফরাসী। পৃথিবীর কঠিন ভাষার মধ্যে ফরাসী একটি। ভাল ভাষা না জানার ফলে অফিস আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বাংলাদেশিদের। কিন্তু তুহিন জুলকিপলাদের মত মেধাবী বাংলাদেশী সন্তান এই কঠিন ভাষায় বুৎপত্তি লাভ করে এমন উচ্চতায় জায়গা করে নিয়েছে।

ফ্রান্সে অভিবাসন প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক আশ্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি-বেসরকারি কাজে, আদালতে ইত্যাদি নানাক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত এবং প্রত্যায়িত অনুবাদ এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে কারণে দোভাষী ও অনুবাদকদের এক বিশেষ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। আর সে যোগ্যতার স্বীকৃতি যখন দেশের উচ্চ আদালত প্রদান করে, তা একটি বিশেষ মেধা ও শ্রমের পরিচায়ক। তুহিন জুলকিপলা সেটি অর্জন করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করেছে। কেননা সমস্ত প্রসাশনিক কাজে একমাত্র তাদের অনুবাদই গ্রহণযোগ্য। সম্প্রতি প্যারিসের হাইকোর্ট এই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অনুবাদক তুহিন জুলকিপলাকে এই গুরুদায়িত্ব দিল। যদিও ভারতের কয়েকজন বাঙালিকে এই ‘সন্মান’ প্রদান করা হয়েছিল প্যারিস হাইকোর্ট থেকে, কিন্তু এই প্রথম রাজধানী প্যারিসে তুহিন জুলকিপলা এই পদবী ও সন্মানের অধিকারী হলো। এর কয়েক বছর আগে একই কোর্ট তাকে দোভাষী হিসেবে ও মনোনীত করেছিল। এর আগে প্যারিসের বাইরে অন্য নগরী ভার্সাই হাইকোর্ট থেকে বাংলাদেশি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও শিহাব হক এবং ফ্রান্সের দক্ষিণ প্রান্তের অপর নগরী তুলুজ হাইকোর্ট থেকে মইনুল হাসানসহ আরও দুজন এই পদবী পেয়েছেন।

Tuhin ZULKIPLA প্যারিসের গার দ্যু নর্দ’ এ (10, Rue Demarquay, 75010, Paris) S.T.I.P (পেশাদার অনুবাদক ও দোভাষী সংগঠন) অফিসে দীর্ঘ এক যুগ থেকে অনুবাদের কাজ করে যাচ্ছেন।

তুহিন জুলকিপলা ঢাকার বিখ্যাত নটরডেম কলেজের ছাত্র। পরবর্তীতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ফরাসী ভাষার সাথে তার সখ্যতা। তারপর একে আকড়ে রাখা। প্রায় দুই দশক আগে ফ্রান্সে এসে নিজের মেধা, যোগ্যতা এবং শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ফ্রান্সের অক্সফোর্ডখ্যাত শরবোন ইউনিভার্সিটি থেকে এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।

ফরাসী আইনের প্রতি খুবই সতর্ক এবং সম্মান দেয়া তুহিন জুলকিপলা অনেক কথাই বলেছেন ‘অফ দ্যা রেকর্ডে’! কেননা আলাপচারিতায় তিনি আমাকে বারবার ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। প্যারিস গার দু নর্দে তার কার্যালয়ে সরাসরি তার সাথে কথা বলে জানা গেল তার ২/১ টি স্বপ্নের কথা। তিনি বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) এর কাজগুলোর প্রসংশা করেন এবং কমিউনিটিতে তিনিও ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এর দিকটি সতর্কতার সাথে মান্য করে কাজ করেন।