ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরকে প্যারিস বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সম্মাননা ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল সীমান্ত হত্যা বন্ধে লণ্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত ফ্রান্সে গহরপুরবাসীর প্রথম সামাজিক সংগঠন ‘গহরপুর এসোসিয়েশন ইন ফ্রান্স’-এর আত্মপ্রকাশ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ব্যবসার মালিকানা পাবেন প্রবাসীরা স্রোতে’র আয়োজনে বিজয়ের কবিতাপাঠ

ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারি : আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে

  • আপডেট সময় ০৩:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০
  • ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববাসীকে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্ড ফিলিপ। তিনি বলেছেন, সামনে আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে। দেশজুড়ে করোনার সুনামি বয়ে যেতে পারে। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলেও কড়া সতর্কতা জারি করেছেন তিনি।

করোনা নিয়ে রাজধানী প্যারিসে শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক করেন ফিলিপ। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এক মহা সংকটের মধ্যে আছি। যা বহুদিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

লন্ডন, মাদ্রিদ ও নিউইয়র্কের মতো স্রোতের মতো করোনার রোগী আসছে প্যারিসের হাসপাতালগুলোতে। প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এদিকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতোই ফ্রান্সে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটিতে প্রতি তিন দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

পরিস্থিতিকে ইতিমধ্যে ‘অত্যন্ত ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান জেরোম সলোমন। দেশটির ২৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি করোনায় কবলে পড়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি। মৃত্যুর হার ২১ শতাংশে। তবে মৃত্যুর এই সংখ্যাটি কেবল হাসপাতাল নির্ভর। স্পেনের মতো বাড়িতে বাড়িতে বহু বুদ্ধ মানুষ মারা গেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এটা যুক্ত হলে মৃত্যুর মিছিল আরও বড় হবে।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ জননিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে লকডাউন তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে থমকে আছে ফ্রান্সের স্বাভাবিক জীবনযাপন।

গত ১৪ মার্চ থেকে দেশটিতে ফার্মেসি, গ্রোসারি শপ, টোব্যাকো শপ, পোস্ট অফিস, ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন।

সূত্রঃযুগান্তর

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফরাসি প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারি : আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে

আপডেট সময় ০৩:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০

ফ্রান্সের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববাসীকে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদোয়ার্ড ফিলিপ। তিনি বলেছেন, সামনে আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে। দেশজুড়ে করোনার সুনামি বয়ে যেতে পারে। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলেও কড়া সতর্কতা জারি করেছেন তিনি।

করোনা নিয়ে রাজধানী প্যারিসে শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক করেন ফিলিপ। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা এক মহা সংকটের মধ্যে আছি। যা বহুদিন স্থায়ী হতে পারে। দেশের জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

লন্ডন, মাদ্রিদ ও নিউইয়র্কের মতো স্রোতের মতো করোনার রোগী আসছে প্যারিসের হাসপাতালগুলোতে। প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এদিকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতোই ফ্রান্সে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটিতে প্রতি তিন দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

পরিস্থিতিকে ইতিমধ্যে ‘অত্যন্ত ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান জেরোম সলোমন। দেশটির ২৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি করোনায় কবলে পড়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি। মৃত্যুর হার ২১ শতাংশে। তবে মৃত্যুর এই সংখ্যাটি কেবল হাসপাতাল নির্ভর। স্পেনের মতো বাড়িতে বাড়িতে বহু বুদ্ধ মানুষ মারা গেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এটা যুক্ত হলে মৃত্যুর মিছিল আরও বড় হবে।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ জননিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে লকডাউন তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে থমকে আছে ফ্রান্সের স্বাভাবিক জীবনযাপন।

গত ১৪ মার্চ থেকে দেশটিতে ফার্মেসি, গ্রোসারি শপ, টোব্যাকো শপ, পোস্ট অফিস, ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন।

সূত্রঃযুগান্তর