ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া বালাগঞ্জে চলন্ত ফ্যান খুলে গিয়ে ৩ শিক্ষার্থী আহত জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন

ফেসবুক স্ট্যাটাস: পিকচার বা স্টিকার কমেন্ট আইডি বাঁচাতে পারে?

  • আপডেট সময় ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮
  • ৬৯৬ বার পড়া হয়েছে

‘আমার ফেসবুক আইডি রিপোর্ট হচ্ছে, কমেন্টে রেসপন্স করুন প্লিজ’ বা ‘আইডি ঝুঁকির মধ্যে আছে, স্টিকার কমেন্ট প্লিজ’- এ ধরণের অনেক স্ট্যাটাস ফেসবুকে প্রায়ই হয়তো চোখে পড়েছে।

যারা সেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাদের তালিকায় থাকা বন্ধুরা অসংখ্য মন্তব্য করে, স্ট্যাটাস দিয়ে সেই ফেসবুক আইডি রক্ষার চেষ্টাও করেছেন।

কিন্তু বাস্তবে এরকম মন্তব্য কতটা কাজে আসে? সত্যিই কি এসব স্টিকারের মাধ্যমে করা মন্তব্য ফেসবুক আইডি বাঁচাতে পারে?

বিবিসি বাংলার এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে, যিনি লিখেছেন , আজকে আইডিতে রিপোর্ট পড়ছে ৫৬টা:/ প্লিজ ১০০০ কমেন্ট দরকার :/ 🙁 । তার এই স্ট্যাটাসে কমেন্ট পড়েছে এগারোশোর বেশি।

তিনি বলছেন, ”এখনকার একটি ট্রেন্ড হচ্ছে, যারা একটি চেতনা বা ভাবনাচিন্তার পক্ষের লোক, তার অন্য পক্ষকে টার্গেট করে ফেসবুকে রিপোর্ট করে। অনেক সময় স্বার্থ জড়িত কারণেও এটা ঘটে। তখন ফেসবুক থেকে নোটিশ আসে, লগইন করা সম্ভব হয়না। কিন্তু এভাবে কমেন্টের মাধ্যমে যদি অনেক মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়, তখন হয়তো সেটি আইডির পরিচিতর জন্য ভালো হয়।”

তিনি বলছেন, এই চিন্তা করেই তিনি ওই স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। একহাজার মন্তব্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভাবতে পারেনি যে সেটি বারোশো ছাড়িয়ে যাবে।
ফেসবুক ঘেঁটে এরকম আরো অনেকের স্ট্যাটাস দেখা গেছে। সেসব স্ট্যাটাসে যেমন কেউ নানা ধরণের মন্তব্য লিখেছেন, আবার কেউ শুধুমাত্র ইমোজি পোস্ট করেছেন।

আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী রায়ান কামাল নিজের ছবির সঙ্গে লিখেছেন, ‘আইডিতে রিপোর্ট হচ্ছে, কমেন্টে রেস্পন্স’ করুন। সঙ্গে চিন্তার ইমোজি।

বরগুনার একজন তরুণী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আইডি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, স্টিকার কমেন্ট প্লিজ’। সেখানে স্টিকার দিয়ে তার অসংখ্য বন্ধু-স্বজন কমেন্ট করেছেন, যার সংখ্যা কয়েকশো ছাড়িয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনাগ্রহী এই তরুণী বলছেন, কিছুদিন আগে তিনি ফেসবুক থেকে নোটিশ পান যে, তার আইডিতে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে। এরপর তার একজন বন্ধুর পরামর্শে তিনি ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি লেখেন, যাতে কোন কারণে আইডি হারিয়ে গেলেও সেটি পুনরুদ্ধার করা যাবে বলে তার আশা।

কিন্তু এরকম মন্তব্যে আদৌ কি কোন কাজ হয়?
এ ধরণের মন্তব্যের মাধ্যমে ফেসবুকে সংযোগ বাড়তে পারে, তবে আইডি রক্ষা বা নিরাপত্তার সঙ্গে এর কোন সম্পর্কে নেই বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে ফেসবুক নিয়ে কাজ করে ইউল্যাবের একটি টিম ‘ফ্যাক্ট ওয়াচ’। এর উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমন রহমান বলছেন, ”আমরাও খেয়াল করেছি যে, কিছুদিন পরে পরে এরকম স্ট্যাটাস দেয়ার ঘটনা ঘটছে। যারা এসব লিখছেন, তারা খুব ফেসবুক সেলিব্রেটিও নন। কিন্তু আইডি হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে বা আইডির ঝুঁকি বাঁচাতে যেসব লেখা হচ্ছে, তার সঙ্গে ফেসবুকের কাজের আসলে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ ফেসবুক এভাবে কাজ করে না।”

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ” কেউ যদি কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চায়, তাহলে সেটার সঙ্গে এভাবে স্ট্যাটাসে মন্তব্য করা না করার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তিনি নানা কৌশলে সেই চেষ্টা করবে। আবার ফেসবুকে রিপোর্ট করার কারণে কারো আইডি যদি ফেসবুক ব্লক করে দিতে চায়, সেজন্য নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাঠাবে, তারপর ব্যবস্থা নেবে। সেটা ফিরিয়ে আনারও নানা পদ্ধতি আছে। সুতরাং কমেন্ট করে সেক্ষেত্রে প্রভাবিত করার কোন ব্যাপার নেই। ”

সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন বা নিজের প্রোফাইলে লাইক/কমেন্ট বাড়াতে অনেকে এ ধরণের কাজ করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারণ যারা এ ধরণের স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তারা কেউই ফেসবুকে খুব পরিচিত নন।

ফেসবুক কি বলছে?
এ বিষয়টি জানতে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, এই লেখা পর্যন্ত সংস্থাটি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখতে ফেসবুকের পাতায় বেশ কিছু পরামর্শ রয়েছে। তার মধ্যে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে বলা হয়। এর মাধ্যমে ফেসবুকে প্রবেশ করতে হলে দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে যেমন প্রচলিত পাসওয়ার্ড দিতে হবে, তেমনি মোবাইলের মেসেজে আসা কোড বা অথেনটিকেটর থেকে পাওয়া কোড প্রবেশ করিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানিয়েছে ফেসবুক।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

ফেসবুক স্ট্যাটাস: পিকচার বা স্টিকার কমেন্ট আইডি বাঁচাতে পারে?

আপডেট সময় ০৪:১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮

‘আমার ফেসবুক আইডি রিপোর্ট হচ্ছে, কমেন্টে রেসপন্স করুন প্লিজ’ বা ‘আইডি ঝুঁকির মধ্যে আছে, স্টিকার কমেন্ট প্লিজ’- এ ধরণের অনেক স্ট্যাটাস ফেসবুকে প্রায়ই হয়তো চোখে পড়েছে।

যারা সেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তাদের তালিকায় থাকা বন্ধুরা অসংখ্য মন্তব্য করে, স্ট্যাটাস দিয়ে সেই ফেসবুক আইডি রক্ষার চেষ্টাও করেছেন।

কিন্তু বাস্তবে এরকম মন্তব্য কতটা কাজে আসে? সত্যিই কি এসব স্টিকারের মাধ্যমে করা মন্তব্য ফেসবুক আইডি বাঁচাতে পারে?

বিবিসি বাংলার এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে, যিনি লিখেছেন , আজকে আইডিতে রিপোর্ট পড়ছে ৫৬টা:/ প্লিজ ১০০০ কমেন্ট দরকার :/ 🙁 । তার এই স্ট্যাটাসে কমেন্ট পড়েছে এগারোশোর বেশি।

তিনি বলছেন, ”এখনকার একটি ট্রেন্ড হচ্ছে, যারা একটি চেতনা বা ভাবনাচিন্তার পক্ষের লোক, তার অন্য পক্ষকে টার্গেট করে ফেসবুকে রিপোর্ট করে। অনেক সময় স্বার্থ জড়িত কারণেও এটা ঘটে। তখন ফেসবুক থেকে নোটিশ আসে, লগইন করা সম্ভব হয়না। কিন্তু এভাবে কমেন্টের মাধ্যমে যদি অনেক মানুষের সঙ্গে সংযোগ হয়, তখন হয়তো সেটি আইডির পরিচিতর জন্য ভালো হয়।”

তিনি বলছেন, এই চিন্তা করেই তিনি ওই স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। একহাজার মন্তব্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভাবতে পারেনি যে সেটি বারোশো ছাড়িয়ে যাবে।
ফেসবুক ঘেঁটে এরকম আরো অনেকের স্ট্যাটাস দেখা গেছে। সেসব স্ট্যাটাসে যেমন কেউ নানা ধরণের মন্তব্য লিখেছেন, আবার কেউ শুধুমাত্র ইমোজি পোস্ট করেছেন।

আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী রায়ান কামাল নিজের ছবির সঙ্গে লিখেছেন, ‘আইডিতে রিপোর্ট হচ্ছে, কমেন্টে রেস্পন্স’ করুন। সঙ্গে চিন্তার ইমোজি।

বরগুনার একজন তরুণী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আইডি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, স্টিকার কমেন্ট প্লিজ’। সেখানে স্টিকার দিয়ে তার অসংখ্য বন্ধু-স্বজন কমেন্ট করেছেন, যার সংখ্যা কয়েকশো ছাড়িয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনাগ্রহী এই তরুণী বলছেন, কিছুদিন আগে তিনি ফেসবুক থেকে নোটিশ পান যে, তার আইডিতে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে। এরপর তার একজন বন্ধুর পরামর্শে তিনি ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি লেখেন, যাতে কোন কারণে আইডি হারিয়ে গেলেও সেটি পুনরুদ্ধার করা যাবে বলে তার আশা।

কিন্তু এরকম মন্তব্যে আদৌ কি কোন কাজ হয়?
এ ধরণের মন্তব্যের মাধ্যমে ফেসবুকে সংযোগ বাড়তে পারে, তবে আইডি রক্ষা বা নিরাপত্তার সঙ্গে এর কোন সম্পর্কে নেই বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে ফেসবুক নিয়ে কাজ করে ইউল্যাবের একটি টিম ‘ফ্যাক্ট ওয়াচ’। এর উপদেষ্টা অধ্যাপক সুমন রহমান বলছেন, ”আমরাও খেয়াল করেছি যে, কিছুদিন পরে পরে এরকম স্ট্যাটাস দেয়ার ঘটনা ঘটছে। যারা এসব লিখছেন, তারা খুব ফেসবুক সেলিব্রেটিও নন। কিন্তু আইডি হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে বা আইডির ঝুঁকি বাঁচাতে যেসব লেখা হচ্ছে, তার সঙ্গে ফেসবুকের কাজের আসলে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ ফেসবুক এভাবে কাজ করে না।”

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ” কেউ যদি কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে চায়, তাহলে সেটার সঙ্গে এভাবে স্ট্যাটাসে মন্তব্য করা না করার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তিনি নানা কৌশলে সেই চেষ্টা করবে। আবার ফেসবুকে রিপোর্ট করার কারণে কারো আইডি যদি ফেসবুক ব্লক করে দিতে চায়, সেজন্য নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাঠাবে, তারপর ব্যবস্থা নেবে। সেটা ফিরিয়ে আনারও নানা পদ্ধতি আছে। সুতরাং কমেন্ট করে সেক্ষেত্রে প্রভাবিত করার কোন ব্যাপার নেই। ”

সহজে জনপ্রিয়তা অর্জন বা নিজের প্রোফাইলে লাইক/কমেন্ট বাড়াতে অনেকে এ ধরণের কাজ করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারণ যারা এ ধরণের স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তারা কেউই ফেসবুকে খুব পরিচিত নন।

ফেসবুক কি বলছে?
এ বিষয়টি জানতে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, এই লেখা পর্যন্ত সংস্থাটি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখতে ফেসবুকের পাতায় বেশ কিছু পরামর্শ রয়েছে। তার মধ্যে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে বলা হয়। এর মাধ্যমে ফেসবুকে প্রবেশ করতে হলে দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে যেমন প্রচলিত পাসওয়ার্ড দিতে হবে, তেমনি মোবাইলের মেসেজে আসা কোড বা অথেনটিকেটর থেকে পাওয়া কোড প্রবেশ করিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানিয়েছে ফেসবুক।