ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,ফ্রান্সের নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্টিত ফ্রান্সে নভেম্বর মাসে যেসব পরিবর্তন আসছে ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভোট বর্জনের হুমকি শেখ হাসিনার ঝালকাঠির দুটি আসনে বিএনপির দুর্গে আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘ইসলামী জোট’ ফরাসি বাজেট নিয়ে সংসদে টানাপোড়েন: সরকার টিকে থাকবে কি? আওয়ামীলীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ চান হাসিনা বালাগঞ্জ-গহরপুরে রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের স্বপ্নের মেগাপ্রকল্প ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে নিয়ে অনলাইন বিদ্বেষমূলক প্রচারণা: ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা শুরু “সিলেট-ঢাকা রেলপথে ৮ দফা দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা” যুবদল বিএনপির প্রাণশক্তি” — তুলুজে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তারা

ফ্রান্সের নাগরিক হতে আবেদন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা

  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • ৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

মাহিদুল ইসলাম সবুজ- বৃটেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করলেও অনেক বৃটিশ নাগরিক চাচ্ছেন না ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে। তাই অন্য অনেক বৃটিশ নাগরিকের মত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা স্ট্যানলি জনসন ফ্রেন্চ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। স্ট্যানলি জনসনের মা এবং মাতামহ ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের সূত্র ধরে স্ট্যানলি জনসন ফ্রেন্চ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন বলে জানান। ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ভিত্তিক রেডিও স্টেশন ‘আর টি এল‘ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে নিজে এ তথ্য জানান স্ট্যানলি জনসন। আশি বছর বয়সী স্ট্যানলি জনসনের রয়েছে এক বর্ন্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। আজীবন কনজারভেটিভ রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত এ রাজনৈতিক ১৯৭৯ সালে হয়েছিলেন মেম্বার অব ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট ( এম ই পি)। এছাড়া ১৯৭৩ হতে ১৯৭৯ পর্যন্ত কাজ করেছেন ইউরোপীয়ান কমিশনে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ব্রেক্সিট গনভোটে স্ট্যানলি জনসন বৃটেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। অপরদিকে তাঁর পুত্র বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছিলেন বৃটেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পক্ষের বড় সমর্থক। গনভোটে ৫২% -৪৮% ব্যাবধানে বৃটিশ জনগণ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পক্ষে রায় প্রদান করে।এরই প্রেক্ষিতে বৃটেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে ৪৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

ব্রেক্সিট বিচ্ছদের ব্যাথা মনে হয় সইতে পারছেন না স্ট্যানলি জনসন। ‘আর টি এল‘ রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত যে আমি সব সময় ইউরোপীয়ান। কেউ বৃটিশ নাগরিকদের বলতে পারবে না যে তারা ইউরোপীয়ান নয়। ইউরোপ একটি একক বাজার থেকেও বড় কিছু। তাই ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে যুক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর আগে তিনি বলেন, আমি যদি সঠিক ভাবে বুঝে থাকি, আমি একজন ফ্রেন্চ। আমার মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। আমার মায়ের মা একজন পরিপূর্ণ ফ্রেন্চ নাগরিক ছিলেন এমনকি তার দাদাও। সুতরাং আমি এমন একটি জিনিস পুনরায় দাবি করছি যা আমার ছিল এবং এটি আমাকে আনন্দিত করবে।

উল্লেখ্য, স্ট্যানলি জনসনের ফ্রান্সের নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়াধীন এবং শীঘ্রই তিনি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাবেন বলে আশাবাদী।

সূত্র: আইরিশ টাইমস/বিবিসি



ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,ফ্রান্সের নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্টিত

ফ্রান্সের নাগরিক হতে আবেদন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা

আপডেট সময় ১০:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

মাহিদুল ইসলাম সবুজ- বৃটেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করলেও অনেক বৃটিশ নাগরিক চাচ্ছেন না ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে। তাই অন্য অনেক বৃটিশ নাগরিকের মত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা স্ট্যানলি জনসন ফ্রেন্চ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। স্ট্যানলি জনসনের মা এবং মাতামহ ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের সূত্র ধরে স্ট্যানলি জনসন ফ্রেন্চ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন বলে জানান। ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ভিত্তিক রেডিও স্টেশন ‘আর টি এল‘ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে নিজে এ তথ্য জানান স্ট্যানলি জনসন। আশি বছর বয়সী স্ট্যানলি জনসনের রয়েছে এক বর্ন্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। আজীবন কনজারভেটিভ রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত এ রাজনৈতিক ১৯৭৯ সালে হয়েছিলেন মেম্বার অব ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট ( এম ই পি)। এছাড়া ১৯৭৩ হতে ১৯৭৯ পর্যন্ত কাজ করেছেন ইউরোপীয়ান কমিশনে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ব্রেক্সিট গনভোটে স্ট্যানলি জনসন বৃটেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। অপরদিকে তাঁর পুত্র বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছিলেন বৃটেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পক্ষের বড় সমর্থক। গনভোটে ৫২% -৪৮% ব্যাবধানে বৃটিশ জনগণ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পক্ষে রায় প্রদান করে।এরই প্রেক্ষিতে বৃটেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে ৪৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

ব্রেক্সিট বিচ্ছদের ব্যাথা মনে হয় সইতে পারছেন না স্ট্যানলি জনসন। ‘আর টি এল‘ রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত যে আমি সব সময় ইউরোপীয়ান। কেউ বৃটিশ নাগরিকদের বলতে পারবে না যে তারা ইউরোপীয়ান নয়। ইউরোপ একটি একক বাজার থেকেও বড় কিছু। তাই ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে যুক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর আগে তিনি বলেন, আমি যদি সঠিক ভাবে বুঝে থাকি, আমি একজন ফ্রেন্চ। আমার মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। আমার মায়ের মা একজন পরিপূর্ণ ফ্রেন্চ নাগরিক ছিলেন এমনকি তার দাদাও। সুতরাং আমি এমন একটি জিনিস পুনরায় দাবি করছি যা আমার ছিল এবং এটি আমাকে আনন্দিত করবে।

উল্লেখ্য, স্ট্যানলি জনসনের ফ্রান্সের নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়াধীন এবং শীঘ্রই তিনি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাবেন বলে আশাবাদী।

সূত্র: আইরিশ টাইমস/বিবিসি