ফেরদৌস করিম আখঞ্জী //
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা বলেছেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র। স্বাধীনতা পরবর্তী যেসকল দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেন ফ্রান্স তাদের মধ্যে প্রথম সারির দেশ।
তিনি বলেন, ফ্রান্সের অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর তৃতীয় বিনিয়োগের খাত এখন বাংলাদেশ।
তিনি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তি, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিসের আয়োজনে অনুষ্টানের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছিলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ৪১ এর বড় অর্থনৈতিক সহযোগী হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই লক্ষ্যে ফ্রান্সের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে দূতাবাস।

গত বুধবার ( ৩০ মার্চ) প্যারিসের অভিজাত প্যাভিলিয়ন রয়্যাল হলে উক্ত অনুষ্ঠানে ত্রিশটির বেশি বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতগণ যোগ দেন। এছাড়াও পঞ্চাশের বেশি বন্ধু প্রতিম দেশের কূটনৈতিক ডেলিগেশন উপস্থিত হন এই জমকালো অনুষ্টানে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিষয়ক ডিরেক্টর বারত্রন্দ লোরথোলারী( Bertrand Lortholary) দুই দেশের বন্ধুত্ব ও কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর বিশেষ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় “শিরোনামহীন ব্যান্ড” অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে সংগীত পরিবেশন করে।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতিতে এটি একটি কুটনৈতিক মিলন মেলায় পরিণত হয়। বাংলাদেশের বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুটনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা।
বাংলাদেশ-ফ্রান্সের কুটনৈতিক সম্পর্ক অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আরো জোরদার ও দীর্ঘজীবী হবে বলেও তিনি আশা করেন।।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের প্রথম সচিব মাহবুবুল আলম, দূতাবাস প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম সহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
সভায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ, কুটনৈতিকগণ, ফ্রান্সের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সহ কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।