করোনাভাইরাস ( কোভিড -১৯) মোকাবিলায় ইতালি, স্পেনের পর ফ্রান্সও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যসেবা প্রধান, জের্মে সালমোন, সতর্ক করে বলেছেন, পরিস্থিতি “খুব দ্রুতই অবনতির দিকে যাচ্ছে”।
ফ্রান্সে এখন ৫৪২৩ জন আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ১২৭ এ পৌঁছেছে। প্রায় ৪০০ মানুষ নিবিড় পরিচর্যাতে রয়েছেন। মিঃ সালমোনের মতে প্রতি তিন দিন পরে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে! তিনি বলেন, লোকজন এখনও অবাধে বাইরে বের হচ্ছেন এবং বাড়ির বাইরে থাকার পরামর্শ অবহেলা করছেন।
তিনি আজ সকালে একটি রেডিওকে বলেন, ” না জেনেই আমরা অনেকে এ ভাইরাসটি বহন করতে পারি।”
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের একজন ডাক্তার আমাকে বলেছেন, “যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে” বলে মনে হয়।
প্যারিসের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস সেন্টার অব রিসার্চ অব স্টাফের কর্মচারীদের মধ্যে প্রচারিত একটি ক্ষুদে বার্তার বরাতে বিবিসি জানায়, বর্তমান গতিতে সংক্রমণ চলতে থাকলে এবং তা থামাতে না পারলে আগামী ৫০ দিনে ফ্রান্সে ৩০ মিলিয়ন মানুষ ফ্রান্সে সংক্রামিত হতে পারে।
ফ্রান্স এরই মধ্যে ক্যাফে, রেস্তোঁরা, দোকান এবং সিনেমা সহ অপ্রয়োজনীয় পাবলিক ভবন বন্ধসহ কঠোর ব্যবস্থা কার্যকর করেছে।
তবে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, যে পুরো দেশটি ইতালি এবং স্পেন যেভাবে লক ডাউন করেছে অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে পারে। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে একে “ভুয়া সংবাদ” বলে অস্বীকার করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আজ ফ্রান্স সময় রাত ৮ টায় সার্বিক বিষয় নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।