ফ্রান্সের অডে অঞ্চলে হঠাৎ বন্যায় বন্যায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। গুরুতরভাবে আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। সেই সঙ্গে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন। এদের মধ্যে একজন চার্চের নান। তিনি বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাতের বেলা কয়েক ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণেই এই বন্যার সূচনা। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে ফ্রান্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একে ‘কয়েক মাসের বৃষ্টিপাতের সমান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত একশ বছরের মধ্যে অডে নদীতে হওয়া বন্যার মধ্যে এবারের বন্যাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। বন্যায় একটি ভবন ও একটি সেতু ধসে পড়ার খবর জানা গেছে। ফ্রান্সের পুলিশ কর্মকর্তা অ্যালেইন থিরিওন বলেছেন, বন্যায় আটকে পড়া অনেক মানুষ বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে নৌকায় করে উদ্ধার করতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে আকাশপথেই তাদের সরানর কথা ভাবা হচ্ছে।
উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য ৭০০ ইমার্জেন্সি সার্ভিস কর্মী ও সাতটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করা যদি সম্ভব মনে করেন তাহলে এলাকাটি পরিদর্শনে যাবেন তিনি।
বিবিসির লিখেছে, বছরের এই সময়ে বৃষ্টিপাত অডে অঞ্চলে স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু নদীর তীরে নতুন নতুন বাড়ি বানাতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যেসব এলাকাগুলোতে উদ্ধারকর্মীরা না পৌঁছানো পর্যন্ত সেসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতেই থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।