ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি স্কুলের খামারে কিছু মুরগী মিলে একটি ছোট শিয়ালকে মেরে ফেলেছে।
দেশটির ব্রিট্টানিতে একটি মুরগীর খাঁচায় শিয়ালটি ঢুকে পড়লে দরজা তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। আর তারপরেই ঘটে এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি।
ঐ খাঁচায় ৩,০০০ মুরগী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
“এগুলো এদের সহজাত প্রবৃত্তি। তারা ঠোঁট দিয়ে তাকে (শিয়ালটিকে)আক্রমণ করে”, বলেছেন কৃষি বিষয়ক স্কুল গ্রস-চেনের ফার্মিং-এর প্রধান প্যাসকেল ড্যানিয়েল।
পরের দিনে খামারের এক কোণে শিয়ালটির লাশ পাওয়া যায়।
“এটার ঘাড়ে মুরগীর ঠোঁটের আঘাতের চিহ্ন ছিল,” সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন মি. ড্যানিয়েল।
পাঁচ একর জমির উপর করা এই খামারে প্রায় ৬,০০০ মুরগীকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালন করা হয়।
এএফপি জানাচ্ছে, দিনের বেলায় খাঁচার দরজা খুলে রাখা হয় যাতে মুরগীগুলো বাইরে ঘুরে-ফিরে বেড়াতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, সেসময়ই শিয়াল শাবকটি মুরগীর খাঁচায় ঢুকে পরে।
এরপর যখন সয়ংক্রিয় খাঁচাটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন পাঁচ-ছয় মাসের এই শিয়াল শাবকটি ভেতরে আটকা পড়ে।
“সম্ভবত এতোগুলো মুরগীর আক্রমণে শিয়ালটি ভয় পেয়ে গিয়েছিল”, ফরাসী স্থানীয় সংবাদপত্র অয়েস্ট ফ্রান্সকে বলেন মি. ড্যানিয়েল।
“তারা (মুরগীগুলো) দলবদ্ধ অবস্থায় খুবই নাছোড়বান্দা হয়ে উঠতে পারে”, তিনি জানান।