ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি” গহরপুর জামিয়ার ৬৮তম বার্ষিক মাহফিল বৃহস্পতিবার: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হযরত শাহ জামাল (রহ.) দারুস সুন্নাহ নুরীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দুয়া মাহফিল ৫ জানুয়ারি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন বালাগঞ্জে শাহ আকিবুন নূর চৌধুরী বৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন ফ্রান্সে প্রবাসে সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরনের পন্থা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ

ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় পার্থীদের প্রাথমিক করনীয়

  • আপডেট সময় ১২:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ১০৬০ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সে পৃথিবীর নানাপ্রান্তে নানাভাবে সমস্যা পিড়িত মানুষ জেনেভা কনভেন্সনের (২৮ জুলাই ১৯৫১) আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীও আছেন যাদের অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে করনীয় সম্পর্কে নানা রকম জটিলতায় পড়েন। তাদের উদ্দেশ্যে “ফ্রান্স বাংলা দর্পণে”র জন্য রিপোর্ট তৈরী করেছেন নজরুল ইসলাম।

এক.

ফ্রান্সে আসার পর আপনার জাতীয়তা প্রমানের প্রথম ডকুমেন্ট হল জন্ম সনদ অথবা ভোটার আই ডি কার্ড (সংগত কারনে পাসপোর্ট না থাকায়)। কাজেই প্রথমেই আপনাকে নিদেন পক্ষে জন্মসনদ সংগ্রহ করতে হবে আপনার নিজ দেশ থেকে। জন্মসনদ বা জন্ম নিবদ্ধনই প্রমান করবে আসলে আপনি কোন দেশের নাগরিক। ইংরেজী জন্ম নিবদ্ধন সংগ্রহ করতে পারলে ভাল; ইংরেজী সংগ্রহ না করতে পারলে সমস্যাও নেই। আপনার দেশীয় ভাষায় অর্থাৎ বাংলাদেশীদের জন্য বাংলায় হলেও চলবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার সংগৃহীত জন্মসনদ যেন ইউ,পি চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ শীল সহ সহজে পাঠযোগ্য হয়। জন্মসনদ অবশ্যই অনুবাদ করাতে হবে ফরাসী ভাষায়। এক্ষেত্রে এখানকার সরকার অনুমুদিত কোন অনুবাদকের দ্বারা অনুবাদ করানোই ভাল যাতে তা পরবর্তী নানা কাজে লাগে। অনুবাদ করার পর ভাল করে দেখে নিতে হবে আপনার নামের বানান এবং জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্যাবলী সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি-না?

দুই .

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ঠিকানা বা Address(ফরাসী ভাষায় Domicile) সংগ্রহ করা। এক্ষেত্রে কোয়ালীয়া (Coallia) থেকে ফোনে বা সরাসরি তাদের কোন অফিসে উপস্হিত হয়ে আপনি ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারেন। কোয়ালীয়ার কোন অফিসে টেলিফোনে অ্যপেনমেন্ট পেয়ে গেলে তারা আপনার নাম,জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নাম্বার চাইবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরই মোবাইলে এসএমএস বা কল করার মাধ্যমে আপনার সাক্ষাতের দিন এবং সময় জানানো হয়।

নির্ধারিত দিনে আপনি উপস্হিত হয়ে ঠিকানা সংগ্রহ করবেন এবং সাধারণত এই ঠিকানা থেকেই আপনাকে আরো একটি অ্যাপয়েনমেন্ট বা সাক্ষাতের সময় দেওয়া হবে সে অনুযায়ী আপনাকে প্রেফেকচুর বা থানায় যেতে হবে। সেখানে কর্তৃপক্ষ আপনার হাতের আংগুলের ছাপ বা ফিংগার প্রিন্ট নিবে।

https://www.google.fr/search?q=coallia&oq=co&aqs=chrome.0.69i59j35i39j69i60l2j69i61j69i60.1423j0j4&client=ms-android-samsung&sourceid=chrome-mobile&ie=UTF-8

উপরের এই লিংকে কয়েকটি কোয়ালিয়ার ঠিকানা বা ফোন নং পাওয়া যাবে। পাঠকদের সুবিধার জন্য নিচে দুটি ফোন নং দেয়া হল

0149928943 coallia Auberville

0130736710 coallia Cergy.

তিন .

প্রেফেকচুর বা পুলিশ স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে, লাইনে দাড়িয়ে আপনার টোকেন নাম্বার সংগ্রহ করবেন। টোকেন নিয়ে নির্ধারিত আসনে বসে অপেক্ষা করবেন। আপনার টোকেন নাম্বার অনুযায়ী ডাকা হবে আপনাকে। এসময় প্রয়োজীয় কাগজ পত্র নিয়ে ফিংগার প্রিন্টের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে।

কিছুক্ষণ পর ফিংগার প্রিন্ট দেয়া শেষ হলে পাশের রোমের বাহিরে অপেক্ষা করতে বলা হবে।

এর কিছুক্ষন পর অন্য একটি কক্ষে OFII কর্তৃপক্ষ আপনাকে ডেকে নিয়ে যাবে। সাধারনত সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা যত্নসহকারে আপনাকে সব কিছু বুঝাতে চেষ্টা করে থাকেন এবং আলাপচারীতা দুভাষী না থাকলে ইংরেজীতে হয়ে থাকে। এখানে আপনাকে যেসব সুজুগ সুবিধা দেয়া হবে এবং তা পেতে আপনার করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়ে থাকে। এমনকি ফ্রান্স সরকার কর্তৃক এক জন আশ্রয় প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত মাসিক ভাতা উত্তোলনের জন্য ব্যাংক কার্ড এবং চার ডিজিটের একটি পিন নাম্বারও দেয়া হয়। এখান থেকে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনাকে দেয়া হবে। যা দিয়ে আপনি মেডিকেল কার্ড, মেট্রো কার্ড ইত্যাদি করতে পারবেন।

চার

এর পর আপনার যাবতীয় সমস্যা উল্লেখ পূর্বক একটি লিখিত আবেদন (যা অবশ্যই ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করা হতে হবে) ওপফরা (OFPRA) বরাবরে পাঠাতে হবে। সাধারনত এর জন্য আপনি তিন সপ্তাহ বা ২১ দিন সময় পাবেন।
ওফপরাতে(OFPRA) আবেদন (কেইস) জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে কয়েকদিনের মধ্যে প্রাপ্তী স্বীকার পত্র পাঠানো হয়। এই পত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ন আপনার পরবর্তী ধাপে সাময়িকভাবে থাকার কাগজ (রিসেপিসে) পেতে।
পাদটীকা – এখানে কেবল অভিজ্ঞতা লব্ধ একটি গাইড লাইন দেয়া হল। এছাড়াও বিভিন্নভাবে আশ্রয় আবেদন করা যেতে পারে। তাছাড়া ফ্রান্সে প্রশাসনের শক্তিশালী বিকেন্দ্রীকরণের কারনে প্রেফেকচুর, রেজিওন বা অঞ্চলভেদে অনেক সময় আলাদা নিয়ম হয়ে থাকা অস্বাভাবিক নয়।   সূত্র -ফ্রান্স বাংলা দর্পন

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি”

ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় পার্থীদের প্রাথমিক করনীয়

আপডেট সময় ১২:১৩:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

ফ্রান্সে পৃথিবীর নানাপ্রান্তে নানাভাবে সমস্যা পিড়িত মানুষ জেনেভা কনভেন্সনের (২৮ জুলাই ১৯৫১) আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীও আছেন যাদের অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে করনীয় সম্পর্কে নানা রকম জটিলতায় পড়েন। তাদের উদ্দেশ্যে “ফ্রান্স বাংলা দর্পণে”র জন্য রিপোর্ট তৈরী করেছেন নজরুল ইসলাম।

এক.

ফ্রান্সে আসার পর আপনার জাতীয়তা প্রমানের প্রথম ডকুমেন্ট হল জন্ম সনদ অথবা ভোটার আই ডি কার্ড (সংগত কারনে পাসপোর্ট না থাকায়)। কাজেই প্রথমেই আপনাকে নিদেন পক্ষে জন্মসনদ সংগ্রহ করতে হবে আপনার নিজ দেশ থেকে। জন্মসনদ বা জন্ম নিবদ্ধনই প্রমান করবে আসলে আপনি কোন দেশের নাগরিক। ইংরেজী জন্ম নিবদ্ধন সংগ্রহ করতে পারলে ভাল; ইংরেজী সংগ্রহ না করতে পারলে সমস্যাও নেই। আপনার দেশীয় ভাষায় অর্থাৎ বাংলাদেশীদের জন্য বাংলায় হলেও চলবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার সংগৃহীত জন্মসনদ যেন ইউ,পি চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ শীল সহ সহজে পাঠযোগ্য হয়। জন্মসনদ অবশ্যই অনুবাদ করাতে হবে ফরাসী ভাষায়। এক্ষেত্রে এখানকার সরকার অনুমুদিত কোন অনুবাদকের দ্বারা অনুবাদ করানোই ভাল যাতে তা পরবর্তী নানা কাজে লাগে। অনুবাদ করার পর ভাল করে দেখে নিতে হবে আপনার নামের বানান এবং জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্যাবলী সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি-না?

দুই .

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ঠিকানা বা Address(ফরাসী ভাষায় Domicile) সংগ্রহ করা। এক্ষেত্রে কোয়ালীয়া (Coallia) থেকে ফোনে বা সরাসরি তাদের কোন অফিসে উপস্হিত হয়ে আপনি ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারেন। কোয়ালীয়ার কোন অফিসে টেলিফোনে অ্যপেনমেন্ট পেয়ে গেলে তারা আপনার নাম,জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নাম্বার চাইবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরই মোবাইলে এসএমএস বা কল করার মাধ্যমে আপনার সাক্ষাতের দিন এবং সময় জানানো হয়।

নির্ধারিত দিনে আপনি উপস্হিত হয়ে ঠিকানা সংগ্রহ করবেন এবং সাধারণত এই ঠিকানা থেকেই আপনাকে আরো একটি অ্যাপয়েনমেন্ট বা সাক্ষাতের সময় দেওয়া হবে সে অনুযায়ী আপনাকে প্রেফেকচুর বা থানায় যেতে হবে। সেখানে কর্তৃপক্ষ আপনার হাতের আংগুলের ছাপ বা ফিংগার প্রিন্ট নিবে।

https://www.google.fr/search?q=coallia&oq=co&aqs=chrome.0.69i59j35i39j69i60l2j69i61j69i60.1423j0j4&client=ms-android-samsung&sourceid=chrome-mobile&ie=UTF-8

উপরের এই লিংকে কয়েকটি কোয়ালিয়ার ঠিকানা বা ফোন নং পাওয়া যাবে। পাঠকদের সুবিধার জন্য নিচে দুটি ফোন নং দেয়া হল

0149928943 coallia Auberville

0130736710 coallia Cergy.

তিন .

প্রেফেকচুর বা পুলিশ স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে, লাইনে দাড়িয়ে আপনার টোকেন নাম্বার সংগ্রহ করবেন। টোকেন নিয়ে নির্ধারিত আসনে বসে অপেক্ষা করবেন। আপনার টোকেন নাম্বার অনুযায়ী ডাকা হবে আপনাকে। এসময় প্রয়োজীয় কাগজ পত্র নিয়ে ফিংগার প্রিন্টের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে।

কিছুক্ষণ পর ফিংগার প্রিন্ট দেয়া শেষ হলে পাশের রোমের বাহিরে অপেক্ষা করতে বলা হবে।

এর কিছুক্ষন পর অন্য একটি কক্ষে OFII কর্তৃপক্ষ আপনাকে ডেকে নিয়ে যাবে। সাধারনত সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা যত্নসহকারে আপনাকে সব কিছু বুঝাতে চেষ্টা করে থাকেন এবং আলাপচারীতা দুভাষী না থাকলে ইংরেজীতে হয়ে থাকে। এখানে আপনাকে যেসব সুজুগ সুবিধা দেয়া হবে এবং তা পেতে আপনার করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়ে থাকে। এমনকি ফ্রান্স সরকার কর্তৃক এক জন আশ্রয় প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত মাসিক ভাতা উত্তোলনের জন্য ব্যাংক কার্ড এবং চার ডিজিটের একটি পিন নাম্বারও দেয়া হয়। এখান থেকে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনাকে দেয়া হবে। যা দিয়ে আপনি মেডিকেল কার্ড, মেট্রো কার্ড ইত্যাদি করতে পারবেন।

চার

এর পর আপনার যাবতীয় সমস্যা উল্লেখ পূর্বক একটি লিখিত আবেদন (যা অবশ্যই ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করা হতে হবে) ওপফরা (OFPRA) বরাবরে পাঠাতে হবে। সাধারনত এর জন্য আপনি তিন সপ্তাহ বা ২১ দিন সময় পাবেন।
ওফপরাতে(OFPRA) আবেদন (কেইস) জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে কয়েকদিনের মধ্যে প্রাপ্তী স্বীকার পত্র পাঠানো হয়। এই পত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ন আপনার পরবর্তী ধাপে সাময়িকভাবে থাকার কাগজ (রিসেপিসে) পেতে।
পাদটীকা – এখানে কেবল অভিজ্ঞতা লব্ধ একটি গাইড লাইন দেয়া হল। এছাড়াও বিভিন্নভাবে আশ্রয় আবেদন করা যেতে পারে। তাছাড়া ফ্রান্সে প্রশাসনের শক্তিশালী বিকেন্দ্রীকরণের কারনে প্রেফেকচুর, রেজিওন বা অঞ্চলভেদে অনেক সময় আলাদা নিয়ম হয়ে থাকা অস্বাভাবিক নয়।   সূত্র -ফ্রান্স বাংলা দর্পন