ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই” প্যারিসে সাফ ফোর্স ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান প্যারিসে অন্নপূর্ণা পূজা পরিষদের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পহেলা মে, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপের আয়োজনে দিবসকে স্মরণ প্যারিসে বেংগল টাইগার্সে স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই ইতালিতে খোলা‌ মাঠে “বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদে’র বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্স আসছেন সৌদি যুবরাজ : আলোচনায় প্রাধান্য পাবে ইরান আর কাতার ইস্যু

  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

তিন দিনের সফরে আজ রবিবার ফ্রান্স পৌঁছানোর কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। রবিবার প্রিন্স ব্যক্তিগতভাবে কাটাবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার তার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের সাথে দেখা করবেন আলোচিত এই প্রিন্স। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বড় কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না জানিয়ে ফরাসি কূটনীতিকেরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারকের সঙ্গে নতুন ‘ধরনের’ সম্পর্কের কথা ভাবছেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই সফরে ইরানের পরমাণু চুক্তির পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে কাতার ইস্যু।

গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব সফর করে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আল জাজিরা বলছে, ওই সফরে প্রকাশ্যে ম্যাক্রোঁ ও সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকার মোহাম্মদকে হাসতে দেখা গেলেও অভ্যন্তরীণ আলোচনায় সম্পর্কে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শুরু হতে যাওয়া এই সফরে ইয়েমেন, সিরিয়া, কাতারের সঙ্গে গুরুত্ব পাবে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের পরমাণু চুক্তি। কাতারের ওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার চায় ফ্রান্স। আর ইরানের সঙ্গে ফ্রান্স পরমাণু চুক্তিতে আবদ্ধ থাকলেও সৌদি আরব আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীটির পারমাণবিক ক্ষমতা কমানোর উপায় খুঁজছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন সৌদি যুবরাজ। এরপর অনুষ্ঠিত হওয়া ফ্রান্স সফরে বড় কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না। বরং এই সফরে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক বৈঠক ও অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দেবেন। আশা করা হচ্ছে দুই দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ঘোষণাও আসতে পারে। তবে বড় কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না। তবে একে সম্পর্কের দুর্বলতা বলে মানতে নারাজ ফরাসি কর্মকর্তারা। তাদের ভাষায়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারকের সঙ্গে নতুন ‘ধরনের’ সম্পর্কের কথা ভাবছেন তারা। আর সেটা শুধুমাত্র দৃষ্টি আকর্ষক কোনও ব্যবসার মাধ্যমে নয়।

সিনিয়র এক ফরাসি কূটনীতিক আল জাজিরাকে বলেছেন, প্রতিযোগিতা খুবই তীব্র। সে কারণে আমরা নতুন মডেলের সম্পর্কের কথা ভাবছি। বড় চুক্তির বিষয়ে কম কথা বলে আমরা কম গুরুত্ব পাওয়া সেক্টরগুলোতে জোর দিতে চাই। যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পর্যটন।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছেন তখন ফ্রান্স ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে পারমাণবিক চুক্তিটিকে রক্ষা করতে চান।

গত নভেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সৌদি সফরকে কয়েকজন আরব ও পশ্চিমা কূটনীতিক উত্তেজনায় ভরা বলে বর্ণনা করেছেন। অন্তত তিনজন কূটনীতিক আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন সৌদি যুবরাজ। ইরানের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা বাতিল না করলে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক কমানোর হুমকি দেন তিনি। এছাড়া সৌদি আরবেও বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি।

এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সৌদি যুবরাজকে পারমাণবিক শক্তিধর ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে ফ্রান্সের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। ওই বৈঠকে তিনি বলে দেন, ফ্রান্স নিজের মত অনুযায়ী যা ইচ্ছা করতে পারে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই”

ফ্রান্স আসছেন সৌদি যুবরাজ : আলোচনায় প্রাধান্য পাবে ইরান আর কাতার ইস্যু

আপডেট সময় ০৯:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৮

তিন দিনের সফরে আজ রবিবার ফ্রান্স পৌঁছানোর কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। রবিবার প্রিন্স ব্যক্তিগতভাবে কাটাবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার তার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের সাথে দেখা করবেন আলোচিত এই প্রিন্স। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বড় কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না জানিয়ে ফরাসি কূটনীতিকেরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারকের সঙ্গে নতুন ‘ধরনের’ সম্পর্কের কথা ভাবছেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এই সফরে ইরানের পরমাণু চুক্তির পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে কাতার ইস্যু।

গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব সফর করে আসেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আল জাজিরা বলছে, ওই সফরে প্রকাশ্যে ম্যাক্রোঁ ও সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকার মোহাম্মদকে হাসতে দেখা গেলেও অভ্যন্তরীণ আলোচনায় সম্পর্কে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শুরু হতে যাওয়া এই সফরে ইয়েমেন, সিরিয়া, কাতারের সঙ্গে গুরুত্ব পাবে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের পরমাণু চুক্তি। কাতারের ওপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার চায় ফ্রান্স। আর ইরানের সঙ্গে ফ্রান্স পরমাণু চুক্তিতে আবদ্ধ থাকলেও সৌদি আরব আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীটির পারমাণবিক ক্ষমতা কমানোর উপায় খুঁজছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন সৌদি যুবরাজ। এরপর অনুষ্ঠিত হওয়া ফ্রান্স সফরে বড় কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না। বরং এই সফরে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক বৈঠক ও অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দেবেন। আশা করা হচ্ছে দুই দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ঘোষণাও আসতে পারে। তবে বড় কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না। তবে একে সম্পর্কের দুর্বলতা বলে মানতে নারাজ ফরাসি কর্মকর্তারা। তাদের ভাষায়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারকের সঙ্গে নতুন ‘ধরনের’ সম্পর্কের কথা ভাবছেন তারা। আর সেটা শুধুমাত্র দৃষ্টি আকর্ষক কোনও ব্যবসার মাধ্যমে নয়।

সিনিয়র এক ফরাসি কূটনীতিক আল জাজিরাকে বলেছেন, প্রতিযোগিতা খুবই তীব্র। সে কারণে আমরা নতুন মডেলের সম্পর্কের কথা ভাবছি। বড় চুক্তির বিষয়ে কম কথা বলে আমরা কম গুরুত্ব পাওয়া সেক্টরগুলোতে জোর দিতে চাই। যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পর্যটন।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছেন তখন ফ্রান্স ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে পারমাণবিক চুক্তিটিকে রক্ষা করতে চান।

গত নভেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সৌদি সফরকে কয়েকজন আরব ও পশ্চিমা কূটনীতিক উত্তেজনায় ভরা বলে বর্ণনা করেছেন। অন্তত তিনজন কূটনীতিক আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন সৌদি যুবরাজ। ইরানের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছা বাতিল না করলে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক কমানোর হুমকি দেন তিনি। এছাড়া সৌদি আরবেও বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি।

এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সৌদি যুবরাজকে পারমাণবিক শক্তিধর ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে ফ্রান্সের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। ওই বৈঠকে তিনি বলে দেন, ফ্রান্স নিজের মত অনুযায়ী যা ইচ্ছা করতে পারে।