ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বহুমাত্রিক চাপে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

  • আপডেট সময় ০৩:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

গত নির্বাচনে নজির বিহীন চমক দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা ফ্রান্সের তরুণ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দুই বছরের মাথায় প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছেন। একদিকে নানামুখী সংস্কার নিয়ে বিরুধী রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন, বেকারত্ব বাড়ছে, ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন অন্যদিকে নানামুখী বিতর্ক। বেনালা বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক maréchal Pétain। 
আগামী রবিবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বীর সেনাদের স্মরণ অনুষ্টানে maréchal Pétain কে সম্মানিত করাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স জূড়ে চলছে তুমুল বিতর্ক ।
maréchal Pétain প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে অসাধারণ বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। ফরাসীরা তখন তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়। তবে সেই maréchal Pétain দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নাৎসীদের সহায়তা করেন বলে অভিযোগ।  এজন্যই তাকে সম্মান জানাতে এই বিতর্ক। বিশেষত ফ্রান্সের ইহুদীরা কোনভাবেই ম্যাক্রোঁর এ পদক্ষেপকে মেনে নিতে পারছে না।
অবশ্য ম্যক্রোঁ একে একটি নয় নিম্ন মানের বিতর্ক বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়া গ্যাস,বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণও মারাত্মক অসন্তু। ক্ষমতায় আসার সময় দেয়া বিভিন্ন চটকদার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও রয়েছে গড়িমসি।
এসব বিতর্কের বাইরেও আছে সামনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন।  সেখানেও সর্বশেষ জরীপে ম্যাক্রোঁর দলের জনপ্রিয়তা কমার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বরং কট্টরপন্থী মারিন ল্য পেনের নতুন দলের ভাল করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
উপরন্তু রয়েছে আন্তর্জাতিক ইস্যু। ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের মিত্র ব্রিটেনের সাথে একধরনের তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নার্ড একে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক বলে মত দিয়েছেন। এছাড়া রয়েছে ট্রাম্পের নীতি যা ন্যাটোসহ ইউরোপীয় মিত্রদের অস্বস্তির মাঝে ফেলে দিয়েছে।
এসব বিবেচনায় দুই বছর যেতে না যেতে তরুন এ প্রেসিডেন্টের কপালে ভাঁজ কেবল লম্বা হচ্ছে। দেখা যাক এ নানামুখী চাপ কিচাবে সামাল দেন ম্যাক্রোঁ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

বহুমাত্রিক চাপে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

আপডেট সময় ০৩:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৮

গত নির্বাচনে নজির বিহীন চমক দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা ফ্রান্সের তরুণ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দুই বছরের মাথায় প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছেন। একদিকে নানামুখী সংস্কার নিয়ে বিরুধী রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন, বেকারত্ব বাড়ছে, ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন অন্যদিকে নানামুখী বিতর্ক। বেনালা বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক maréchal Pétain। 
আগামী রবিবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বীর সেনাদের স্মরণ অনুষ্টানে maréchal Pétain কে সম্মানিত করাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স জূড়ে চলছে তুমুল বিতর্ক ।
maréchal Pétain প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের হয়ে অসাধারণ বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। ফরাসীরা তখন তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়। তবে সেই maréchal Pétain দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নাৎসীদের সহায়তা করেন বলে অভিযোগ।  এজন্যই তাকে সম্মান জানাতে এই বিতর্ক। বিশেষত ফ্রান্সের ইহুদীরা কোনভাবেই ম্যাক্রোঁর এ পদক্ষেপকে মেনে নিতে পারছে না।
অবশ্য ম্যক্রোঁ একে একটি নয় নিম্ন মানের বিতর্ক বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়া গ্যাস,বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণও মারাত্মক অসন্তু। ক্ষমতায় আসার সময় দেয়া বিভিন্ন চটকদার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও রয়েছে গড়িমসি।
এসব বিতর্কের বাইরেও আছে সামনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন।  সেখানেও সর্বশেষ জরীপে ম্যাক্রোঁর দলের জনপ্রিয়তা কমার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বরং কট্টরপন্থী মারিন ল্য পেনের নতুন দলের ভাল করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
উপরন্তু রয়েছে আন্তর্জাতিক ইস্যু। ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের মিত্র ব্রিটেনের সাথে একধরনের তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নার্ড একে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে খারাপ সম্পর্ক বলে মত দিয়েছেন। এছাড়া রয়েছে ট্রাম্পের নীতি যা ন্যাটোসহ ইউরোপীয় মিত্রদের অস্বস্তির মাঝে ফেলে দিয়েছে।
এসব বিবেচনায় দুই বছর যেতে না যেতে তরুন এ প্রেসিডেন্টের কপালে ভাঁজ কেবল লম্বা হচ্ছে। দেখা যাক এ নানামুখী চাপ কিচাবে সামাল দেন ম্যাক্রোঁ।