ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিসিএফ আয়োজিত ‘ঈদ উৎসব – পুরো বাংলাদেশ উপস্থিত

  • আপডেট সময় ০১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

নজমুল কবিরঃ
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ ছেড়ে আমরা জীবন ও জীবিকার তাগিদে অভিবাসী। পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর দেশবাসী ছেড়ে অভিবাসী জীবনে আমরা সকল প্রবাসীই সকলের স্বজন। আর প্রবাসে বাংলাদেশ দূতাবাস হলো আমাদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক। আমাদের প্রশাসনিক বাংলাদেশকে কাছে পাই দূতাবাসকে কাছে পেলে। প্রবাসে লাল-সবুজের বাংলাদেকে খুঁজে পাই দূতাবাসের মাধ্যমে।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক সংগঠন বিসিএফ আয়োজিত ‘ঈদ উৎসবে’ আমরা পুরো বাংলাদেশকে পেয়েছি। কেননা ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং কর্মচারিরা ঈদের দিন বিকেলে আকস্মিকভাবে উৎসবে এসে হাজির। হাজির হলেন বাংলাদেশের বহত্তম রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা! ঈদ উৎসবে এটি ছিলো সবচেয়ে আলো ছড়ানো বিকেল। আমাদের পুরো বাংলাদেশকে, সকল স্তরের প্রতিনিধিত্বকে আমরা লা কর্নোভ পার্কের সবুজ চত্বরে পেলাম! এমন মন শীতলকারী উপস্থিতি সত্যিই বিরল।

পত্র-পল্লব-শোভিত, কৃত্রিম জলাধারে পরিযায়ী পাখি আর রাজহাঁসের জলকেলি, ডালে ডালে বাহারী রং এ চেরি ফুলের হাসি, পায়ের তলায় মাটির বুক আগলে রাখা সবুজ সতেজ দুর্বা ঘাস – এমন এক মোহনীয় প্রাকৃতিক মায়াবী বিকেলে ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশীরা ঈদের নতুন পোষাক পড়ে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছে। সেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে পেয়ে উপস্থিত সকলের আনন্দ-উল্লাস-উচ্ছাসের লহরী যেন ষড়ভূজাকৃতির দেশ ফ্রান্সের ভূখন্ডটি প্লাবিত করে ফেলেছে। এমন আনন্দক্ষনে দূতাবাসের উপস্থিতি প্রার্থিতই ছিলো। দূতাবাসের এমনতর উপস্থিতিকেই কমিউনিটি চায়। আমজনতা যেখানে আনন্দদিনে উপস্থিত সেখানে আবার ‘প্রোটোকলের ঘেরাটোপ’ থাকবে কেন? দূতাবাস কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বরং ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের’ সম্মানিত করেছে। প্রবাসে এটিই বাললাদেশ। এমনতর দূতাবাসই প্রার্থিত। বিসিএফ এবং কমিউনিটির সর্বস্তরের সকলেই তাই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

আমরা ঈদ উৎসবে আমাদের একান্ত কাছে পেয়েছি দূতাবাসের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকতাকে। তারা ছুটে এসেছেন, সাধারণ ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মিলে মিশে ঈদের আনন্দ কে ভাগাভাগি করতো। ঈদ ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স এটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি ওয়ালিদ বিন কাসিম, দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শারহাত শাকিলসহ আরো অনেকে। আমাদের দূতাবাস প্রবাসী বান্ধব এবং ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুখ -দুঃখ আনন্দ বেদনায় পাশে আছেন এবং থাকবেন।

আমাদের দূতাবাস প্রবাসে আমাদের বাংলাদেশ। দূতাবাসে গিয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকে পৎ পৎ শব্দে উড়তে দেখি, তখন আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতর এক অনাবিল লহরী ওঠে। আর কমিউনিটি সংবেদনশীল দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যখন কাছে ওাই তখন যেন মনে হয় আমরা বাংলাদেশেই আছি, কেবল মূল ভূখন্ডটিই দূরে।
বিসিএফ এর পক্ষ থেকে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মহোদয়, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
অবশ্যই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে ফ্রান্স আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি এর শীর্ষ নেতাদের যারা রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে রেখে ঈদ আনন্দে কমিউনিটির মূল স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে। বিসিএফ এর ঈদ উৎসবের এবারকার আয়োজনে তাদের উপস্থিতি ভিন্ন আলোয় প্রক্ষেপিত হয়েছে। ভিন্ন মত-পথ, ভেদাভেদ ভুলে নির্বিশেষে এই যে অংশগ্রহণ – এটিই সকলের প্রত্যাশিত। এমন সৌন্দর্যটি সত্যিই উপভোগ্য।

কমিউনিটির সকলের মত বিসিএফও আশা করে এমনিভাবে সকলে মিলে-মিশে থাকুক।

বিসিএফ এর ‘ঈদ উৎসবের আয়োজনটি’ সকল স্তরের উপস্থিতি একটি মডেল হয়ে থাকবে। খোদ বাংলাদেশ এই মডেল অনুসরন করুক। নিশ্চিত কল্যাণ বয়ে আনবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রান ভোমরা এতেই লুকিয়ে আছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

বিসিএফ আয়োজিত ‘ঈদ উৎসব – পুরো বাংলাদেশ উপস্থিত

আপডেট সময় ০১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩

নজমুল কবিরঃ
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ ছেড়ে আমরা জীবন ও জীবিকার তাগিদে অভিবাসী। পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর দেশবাসী ছেড়ে অভিবাসী জীবনে আমরা সকল প্রবাসীই সকলের স্বজন। আর প্রবাসে বাংলাদেশ দূতাবাস হলো আমাদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক। আমাদের প্রশাসনিক বাংলাদেশকে কাছে পাই দূতাবাসকে কাছে পেলে। প্রবাসে লাল-সবুজের বাংলাদেকে খুঁজে পাই দূতাবাসের মাধ্যমে।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক সংগঠন বিসিএফ আয়োজিত ‘ঈদ উৎসবে’ আমরা পুরো বাংলাদেশকে পেয়েছি। কেননা ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং কর্মচারিরা ঈদের দিন বিকেলে আকস্মিকভাবে উৎসবে এসে হাজির। হাজির হলেন বাংলাদেশের বহত্তম রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা! ঈদ উৎসবে এটি ছিলো সবচেয়ে আলো ছড়ানো বিকেল। আমাদের পুরো বাংলাদেশকে, সকল স্তরের প্রতিনিধিত্বকে আমরা লা কর্নোভ পার্কের সবুজ চত্বরে পেলাম! এমন মন শীতলকারী উপস্থিতি সত্যিই বিরল।

পত্র-পল্লব-শোভিত, কৃত্রিম জলাধারে পরিযায়ী পাখি আর রাজহাঁসের জলকেলি, ডালে ডালে বাহারী রং এ চেরি ফুলের হাসি, পায়ের তলায় মাটির বুক আগলে রাখা সবুজ সতেজ দুর্বা ঘাস – এমন এক মোহনীয় প্রাকৃতিক মায়াবী বিকেলে ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশীরা ঈদের নতুন পোষাক পড়ে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছে। সেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে পেয়ে উপস্থিত সকলের আনন্দ-উল্লাস-উচ্ছাসের লহরী যেন ষড়ভূজাকৃতির দেশ ফ্রান্সের ভূখন্ডটি প্লাবিত করে ফেলেছে। এমন আনন্দক্ষনে দূতাবাসের উপস্থিতি প্রার্থিতই ছিলো। দূতাবাসের এমনতর উপস্থিতিকেই কমিউনিটি চায়। আমজনতা যেখানে আনন্দদিনে উপস্থিত সেখানে আবার ‘প্রোটোকলের ঘেরাটোপ’ থাকবে কেন? দূতাবাস কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বরং ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের’ সম্মানিত করেছে। প্রবাসে এটিই বাললাদেশ। এমনতর দূতাবাসই প্রার্থিত। বিসিএফ এবং কমিউনিটির সর্বস্তরের সকলেই তাই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

আমরা ঈদ উৎসবে আমাদের একান্ত কাছে পেয়েছি দূতাবাসের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকতাকে। তারা ছুটে এসেছেন, সাধারণ ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মিলে মিশে ঈদের আনন্দ কে ভাগাভাগি করতো। ঈদ ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স এটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি ওয়ালিদ বিন কাসিম, দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শারহাত শাকিলসহ আরো অনেকে। আমাদের দূতাবাস প্রবাসী বান্ধব এবং ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুখ -দুঃখ আনন্দ বেদনায় পাশে আছেন এবং থাকবেন।

আমাদের দূতাবাস প্রবাসে আমাদের বাংলাদেশ। দূতাবাসে গিয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকে পৎ পৎ শব্দে উড়তে দেখি, তখন আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতর এক অনাবিল লহরী ওঠে। আর কমিউনিটি সংবেদনশীল দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যখন কাছে ওাই তখন যেন মনে হয় আমরা বাংলাদেশেই আছি, কেবল মূল ভূখন্ডটিই দূরে।
বিসিএফ এর পক্ষ থেকে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মহোদয়, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
অবশ্যই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে ফ্রান্স আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি এর শীর্ষ নেতাদের যারা রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে রেখে ঈদ আনন্দে কমিউনিটির মূল স্রোতের সাথে মিশে গিয়ে আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে। বিসিএফ এর ঈদ উৎসবের এবারকার আয়োজনে তাদের উপস্থিতি ভিন্ন আলোয় প্রক্ষেপিত হয়েছে। ভিন্ন মত-পথ, ভেদাভেদ ভুলে নির্বিশেষে এই যে অংশগ্রহণ – এটিই সকলের প্রত্যাশিত। এমন সৌন্দর্যটি সত্যিই উপভোগ্য।

কমিউনিটির সকলের মত বিসিএফও আশা করে এমনিভাবে সকলে মিলে-মিশে থাকুক।

বিসিএফ এর ‘ঈদ উৎসবের আয়োজনটি’ সকল স্তরের উপস্থিতি একটি মডেল হয়ে থাকবে। খোদ বাংলাদেশ এই মডেল অনুসরন করুক। নিশ্চিত কল্যাণ বয়ে আনবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রান ভোমরা এতেই লুকিয়ে আছে।