ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন

  • আপডেট সময় ০৪:২৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

পার্লামেন্টে আজ বিরোধী লেবার পার্টি ও নিজ দলের বিদ্রোহী এমপিদের শোডাউনের মুখোমুখি হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি যাতে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে না পারেন সে জন্য তারা একটি বিল উত্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন। তবে এক্ষেত্রে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি ওই বিল পাস হয়, পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী, এমপিরা যদি হাউজ অব কমন্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন, তাহলে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে পারেন বরিস জনসন। সেই নির্বাচন হবে ১৪ই অক্টোবর। এতে ভীত নন বিরোধী লেবার পার্টি। দলটির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তারা আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচন চান না।

কিন্তু যদি আজ মঙ্গলবার এসব এমপির বিল পাস হয়, তারা বিজয়ী হন তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অগ্রগতি অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমন অবস্থায় আগাম নির্বাচন দেয়া হতে পারে বলে বলা হচ্ছে। সেই নির্বাচনের জন্য বিরোধী লেবার পার্টি প্রস্তুত থাকার কথা বলা হলেও উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী টনি লয়েড পরে বলেছেন, ৩১ শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে বৃটেন। তার আগে আগাম কোনো নির্বাচন দেয়ার কোনো পরিকল্পনা যদি সরকার নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ভোট দেবে লেবার পার্টি। তিনি বলেছেন, বরিস জনসন চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি সেই পথকেই বের করবেন। এ জন্য বরিস জনসনের পেতে দেয়া ফাঁদে পা রাখতে পারে না লেবার পার্টি।

ফিক্সড টার্মস পার্লামেন্ট অ্যাক্টের অধীনে এই শরতে যদি একটি নির্বাচন দিতে চান বরিস জনসন তাহলে তাকে বৃটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ জন এমপির দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট থামানোর জন্য দলীয় নীতির বাইরে চলে এসেছেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের কিছু সদস্য। প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তির অধীনে অথবা চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের প্রত্যয় ঘোষণা করার পর তারা এভাবে বেঁকে বসেছেন। বিশেষ করে পার্লামেন্ট ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। এই উত্তেজনার মধ্যে আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্ট বসছে। এ সময়ে বেঁকে বসা এমপিরা স্ট্যান্ডিং অর্ডার ২৪-এর আওতায় প্রস্তাব বা বিল উত্থাপন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বিতর্ক হবে।

এ বিলে বলা হয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যদি একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে এমপিদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন নিতে না পারেন অথবা চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট সম্পাদনের পক্ষে ভোট না দেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে চাপ দেয়া হবে। এই বিলের একটি অংশে খুব বেশি মনোযোগ দেয়া হবে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ব্রেক্সিট সম্পাদনের জন্য সময় বৃদ্ধি করে ভিন্ন একটি তারিখ নির্ধারণ করে, তখন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দুই দিনের মধ্যে তা গ্রহণ করতেই হবে। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে সময় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করবে হাউজ অব কমন্স। এর অর্থ হলো, এ অবস্থায় ক্ষমতা চলে যাবে পার্লামেন্ট সদস্যদের হাতে। তখন আর সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকবে না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন

আপডেট সময় ০৪:২৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পার্লামেন্টে আজ বিরোধী লেবার পার্টি ও নিজ দলের বিদ্রোহী এমপিদের শোডাউনের মুখোমুখি হচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি যাতে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে না পারেন সে জন্য তারা একটি বিল উত্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন। তবে এক্ষেত্রে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি ওই বিল পাস হয়, পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী, এমপিরা যদি হাউজ অব কমন্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন, তাহলে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে পারেন বরিস জনসন। সেই নির্বাচন হবে ১৪ই অক্টোবর। এতে ভীত নন বিরোধী লেবার পার্টি। দলটির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তারা আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচন চান না।

কিন্তু যদি আজ মঙ্গলবার এসব এমপির বিল পাস হয়, তারা বিজয়ী হন তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অগ্রগতি অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমন অবস্থায় আগাম নির্বাচন দেয়া হতে পারে বলে বলা হচ্ছে। সেই নির্বাচনের জন্য বিরোধী লেবার পার্টি প্রস্তুত থাকার কথা বলা হলেও উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী টনি লয়েড পরে বলেছেন, ৩১ শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে বৃটেন। তার আগে আগাম কোনো নির্বাচন দেয়ার কোনো পরিকল্পনা যদি সরকার নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ভোট দেবে লেবার পার্টি। তিনি বলেছেন, বরিস জনসন চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি সেই পথকেই বের করবেন। এ জন্য বরিস জনসনের পেতে দেয়া ফাঁদে পা রাখতে পারে না লেবার পার্টি।

ফিক্সড টার্মস পার্লামেন্ট অ্যাক্টের অধীনে এই শরতে যদি একটি নির্বাচন দিতে চান বরিস জনসন তাহলে তাকে বৃটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ জন এমপির দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট থামানোর জন্য দলীয় নীতির বাইরে চলে এসেছেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের কিছু সদস্য। প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তির অধীনে অথবা চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের প্রত্যয় ঘোষণা করার পর তারা এভাবে বেঁকে বসেছেন। বিশেষ করে পার্লামেন্ট ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। এই উত্তেজনার মধ্যে আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্ট বসছে। এ সময়ে বেঁকে বসা এমপিরা স্ট্যান্ডিং অর্ডার ২৪-এর আওতায় প্রস্তাব বা বিল উত্থাপন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বিতর্ক হবে।

এ বিলে বলা হয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যদি একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে এমপিদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন নিতে না পারেন অথবা চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট সম্পাদনের পক্ষে ভোট না দেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে চাপ দেয়া হবে। এই বিলের একটি অংশে খুব বেশি মনোযোগ দেয়া হবে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ব্রেক্সিট সম্পাদনের জন্য সময় বৃদ্ধি করে ভিন্ন একটি তারিখ নির্ধারণ করে, তখন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দুই দিনের মধ্যে তা গ্রহণ করতেই হবে। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে সময় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করবে হাউজ অব কমন্স। এর অর্থ হলো, এ অবস্থায় ক্ষমতা চলে যাবে পার্লামেন্ট সদস্যদের হাতে। তখন আর সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকবে না।