ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায়

বৃটেনের এসময়ের সবচেয়ে মেধাবী শিশু বাংলাদেশী!

  • আপডেট সময় ১২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

বয়স মাত্র ১২ বছর। অথচ যেমন তার বুদ্ধিমত্তা, তেমন চিন্তাশক্তি। আছে বিশাল ব্যতিক্রমী বুদ্ধি। বৃটেনের এই মেধাবী মেয়ের নাম ইশাল মাহমুদ। বাংলাদেশী ফরহাদ মাহমুদ (৪০) ও মা মমতাজের (৩৬) মেয়ে সে। তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফলতার শিখরে নিয়ে গেছেন মামা এমরান হোসেন। ফলে টেলিভিশনে যখনই দেখানো হয় ইশাল মাহমুদকে তখনই কোটি মানুষ বিস্ময়ের চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।

এত্তটুকুন মেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক উত্তর দিয়ে যায়।

সব মিলিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে ইশাল। শনিবার দিবাগত রাতে টিভি শো ‘চাইল্ড জিনিয়াসে’ যে পাঁচজন প্রতিযোগী রয়েছে চূড়ান্ত পর্বে তার মধ্যে ইশাল অন্যতম।

এই টেলিভিশন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই হওয়ার কথা বৃটেনের সবচেয়ে ব্রাইট শিশু। সেখানে ইশাল বলেছে, সে অক্সফোর্ড অথবা কেমব্রিজে গণিত পড়ার পরে একজন জ্যোতির্বিদ হবে। তার পিতা একজন ট্যাক্সিচালক। সপ্তাহে ৮০ ঘন্টা কাজে থাকেন।

মা মমতাজ জাতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পে কাজ করেন। কিন্তু ইশালকে গড়ে তোলার কাজে মন দেন তার মামা এমরান হোসেন। ইশালের সামান্য অবসর সময় পেলেই তার মধ্যে তথ্য ঢুকাতে থাকেন তিনি। এমরান অক্সফোর্ডের গ্রাজুয়েট। তার কোনো ছেলেমেয়ে নেই।

তাই তিনি প্রতিটি মুহূর্ত ভাগ্নি ইশালকে গড়ে তোলার কাজ করেন। স্কাইপ মাধ্যমে, সকালে নাস্তা খাওয়ার সময়, সব সময়ই তিনি লেগে থাকেন। তাকে দিয়ে টেলিভিশনে খবর দেখানো হয়। এমপিদের কাছে চিঠি লেখানো হয়। লেখানো হয় উপন্যাস।

ইশাল বাজাতে পারে অর্গান। সে জুনিয়র স্কুলে পড়াকালে সে পোর্টসমাউথ ক্যাথেড্রালে প্রার্থনাসঙ্গীতে অংশ নিয়েছে।

তাকে সহযোগিতা করেছেন যে মামা এমরান হোসেন তিনিও কম মেধাবী নন। তিনি নিজেও ছিলেন চাইল্ড জিনিয়াস। তার সংগ্রহে রয়েছে ২৬টি জিসিএসই। সবগুলোতে শীর্ষ গ্রেড পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এখনও অক্সফোর্ডে মেডিসিন পড়ার জন্য একটি বৃত্তি ধরে রেখেছেন। আর কাজ করছেন একটি স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্রে।

ইশালের পিতা ফরহাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশেই। পূর্ব লন্ডনে আট ভাইবোনের সঙ্গে বড় হয়েছেন মমতাজ। তার সঙ্গে ফরহাদের বিয়ে ঠিক হয়। সেই সূত্রে তিনি বৃটেনে যান।
সৌজন্যেঃ bangladesh today

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন

বৃটেনের এসময়ের সবচেয়ে মেধাবী শিশু বাংলাদেশী!

আপডেট সময় ১২:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৯

বয়স মাত্র ১২ বছর। অথচ যেমন তার বুদ্ধিমত্তা, তেমন চিন্তাশক্তি। আছে বিশাল ব্যতিক্রমী বুদ্ধি। বৃটেনের এই মেধাবী মেয়ের নাম ইশাল মাহমুদ। বাংলাদেশী ফরহাদ মাহমুদ (৪০) ও মা মমতাজের (৩৬) মেয়ে সে। তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফলতার শিখরে নিয়ে গেছেন মামা এমরান হোসেন। ফলে টেলিভিশনে যখনই দেখানো হয় ইশাল মাহমুদকে তখনই কোটি মানুষ বিস্ময়ের চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।

এত্তটুকুন মেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে একের পর এক উত্তর দিয়ে যায়।

সব মিলিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে ইশাল। শনিবার দিবাগত রাতে টিভি শো ‘চাইল্ড জিনিয়াসে’ যে পাঁচজন প্রতিযোগী রয়েছে চূড়ান্ত পর্বে তার মধ্যে ইশাল অন্যতম।

এই টেলিভিশন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই হওয়ার কথা বৃটেনের সবচেয়ে ব্রাইট শিশু। সেখানে ইশাল বলেছে, সে অক্সফোর্ড অথবা কেমব্রিজে গণিত পড়ার পরে একজন জ্যোতির্বিদ হবে। তার পিতা একজন ট্যাক্সিচালক। সপ্তাহে ৮০ ঘন্টা কাজে থাকেন।

মা মমতাজ জাতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পে কাজ করেন। কিন্তু ইশালকে গড়ে তোলার কাজে মন দেন তার মামা এমরান হোসেন। ইশালের সামান্য অবসর সময় পেলেই তার মধ্যে তথ্য ঢুকাতে থাকেন তিনি। এমরান অক্সফোর্ডের গ্রাজুয়েট। তার কোনো ছেলেমেয়ে নেই।

তাই তিনি প্রতিটি মুহূর্ত ভাগ্নি ইশালকে গড়ে তোলার কাজ করেন। স্কাইপ মাধ্যমে, সকালে নাস্তা খাওয়ার সময়, সব সময়ই তিনি লেগে থাকেন। তাকে দিয়ে টেলিভিশনে খবর দেখানো হয়। এমপিদের কাছে চিঠি লেখানো হয়। লেখানো হয় উপন্যাস।

ইশাল বাজাতে পারে অর্গান। সে জুনিয়র স্কুলে পড়াকালে সে পোর্টসমাউথ ক্যাথেড্রালে প্রার্থনাসঙ্গীতে অংশ নিয়েছে।

তাকে সহযোগিতা করেছেন যে মামা এমরান হোসেন তিনিও কম মেধাবী নন। তিনি নিজেও ছিলেন চাইল্ড জিনিয়াস। তার সংগ্রহে রয়েছে ২৬টি জিসিএসই। সবগুলোতে শীর্ষ গ্রেড পেয়েছেন। কিন্তু তিনি এখনও অক্সফোর্ডে মেডিসিন পড়ার জন্য একটি বৃত্তি ধরে রেখেছেন। আর কাজ করছেন একটি স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্রে।

ইশালের পিতা ফরহাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশেই। পূর্ব লন্ডনে আট ভাইবোনের সঙ্গে বড় হয়েছেন মমতাজ। তার সঙ্গে ফরহাদের বিয়ে ঠিক হয়। সেই সূত্রে তিনি বৃটেনে যান।
সৌজন্যেঃ bangladesh today