ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন ফ্রান্সে ভয়াবহ আবাসন সংকট – বাংলাদেশি প্রবাসীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে “পলাশী ট্র্যাজেডিও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের সাইন-এ-মার্ন এলাকায় রাস্তায় তরুণীকে ছুরি মেরে আহত করল গৃহহীন যুবক ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাফ আয়োজিত “প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা:ঈদ বাজার ২০২৫ ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাহিদ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার -১ ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচনের দাবি রোম মহানগর বিএনপির পখত দ্য পারি সেন্ট ডেনিশে “বাংলা অটো ড্রাইভিং” স্কুলের ৭ম শাখা উদ্বোধন” ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড’র বাংলাদেশি সদস্যদের আমাদের কথা’র সংবর্ধনা

ব্রিটিশ পাপার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিষয়ক বিকল্প ৮ প্রস্তাবের সবগুলোই হেরেছে

  • আপডেট সময় ১১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯
  • ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্য সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে আটটি বিকল্প প্রস্তাবের কোনওটিই পাস হয়নি। যেমন হেরেছে নো-ডিল ব্রেক্সিটের প্রস্তাব, তেমন হেরেছে ইইউয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুল্ক কাঠামো রক্ষা করে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করা এবং চুক্তি পাসের আগে ‘জনরায়ের’ মাধ্যমে তার অনুমোদন নেওয়ার প্রস্তাব। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভোটাভুটির এমন ফলাফলে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভেন বার্কলে। তিনি মনে করেন, এই ফলাফলের মাধ্যমে থেরেসা মের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিটিই যে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য তা প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে একটি খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সমর্থন পায়নি। দেশটির টোরি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আবার ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংসদ সদস্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে এমন একটি চুক্তি উপস্থাপন করেন গত ১২ মার্চ। কিন্তু তাও পরাজিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হলো বিকল্প প্রস্তাবগুলোর ওপর ভোটাভুটি।
যুক্তরাজ্যের সংসদে বুধবার (২৭ মার্চ) আটটি বিকল্প ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এদের মধ্যে ইইউয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গঠিত শুল্ক কাঠামোর ভিত্তিতে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্তের প্রস্তাবটি হারে ২৬৪-২৭২ ভোটে। অন্যদিকে কোনও ব্রেক্সিট চুক্তিকে সংসদে সমর্থন দেওয়ার আগে জনরায় নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাবটি হেরে গেছে ২৯৫-২৬৮ ভোটে।
আটটি প্রস্তাবের একটি ছিল চুক্তিহীনভাবে (নো-ডিল) ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন। কিন্তু এই প্রস্তাব হেরেছে ৪০০-১৬০ ভোটে। অন্যদিকে নিক বোলসের উত্থাপিত ইইউয়ের সঙ্গে একক বাজার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব হেরেছে ১৮৮-২৮৩ ভোটে। আবার নো-ডিল ব্রেক্সিট এড়াবার জন্য জোয়ানা চেরির একটি প্রস্তাব হেরেছে ১৮৪-২৯৩ ভোটে। ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রস্তাব করা ব্রেক্সিট চুক্তিটি হেরেছে ২৩৭-৩০৭ ভোটে।
আরেকটি প্রস্তাব ছিল, যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগ করবে, কিন্তু ‘ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড এসোসিয়েশন’ (ইএফটিএ) ও ‘ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়াতে’ (ইইএ) যুক্ত হবে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির এমপি জর্জ ইউস্টিসের এই প্রস্তাবটি হেরেছে ৬৫-৩৭৭ ভোটে। ‘কন্টিনজেন্ট প্রেফারেনশিয়াল অ্যারেঞ্জমেন্টস’ শীর্ষক আরেকটি প্রস্তাব হরেছে ১৩৯-৪২২ ভোটে।
বিকল্প প্রস্তাবগুলোর এমন ফলাফলের পর যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভেন বার্কলে বলেছেন, এর মাধ্যমে তার পূর্ব-ধারণাই শক্তিশালী হয়েছে। অর্থাৎ থেরেসা মের চুক্তিই সম্ভাব্য চুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো। তার ভাষ্য, ‘অনেক অপশন বিবেচনা করা হয়েছে।’ কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, সামনে আগানোর ‘কোনও সহজ রাস্তা নেই।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন

ব্রিটিশ পাপার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিষয়ক বিকল্প ৮ প্রস্তাবের সবগুলোই হেরেছে

আপডেট সময় ১১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৯

যুক্তরাজ্য সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে আটটি বিকল্প প্রস্তাবের কোনওটিই পাস হয়নি। যেমন হেরেছে নো-ডিল ব্রেক্সিটের প্রস্তাব, তেমন হেরেছে ইইউয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুল্ক কাঠামো রক্ষা করে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করা এবং চুক্তি পাসের আগে ‘জনরায়ের’ মাধ্যমে তার অনুমোদন নেওয়ার প্রস্তাব। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভোটাভুটির এমন ফলাফলে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভেন বার্কলে। তিনি মনে করেন, এই ফলাফলের মাধ্যমে থেরেসা মের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিটিই যে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য তা প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে একটি খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে তা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সমর্থন পায়নি। দেশটির টোরি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আবার ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংসদ সদস্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে এমন একটি চুক্তি উপস্থাপন করেন গত ১২ মার্চ। কিন্তু তাও পরাজিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হলো বিকল্প প্রস্তাবগুলোর ওপর ভোটাভুটি।
যুক্তরাজ্যের সংসদে বুধবার (২৭ মার্চ) আটটি বিকল্প ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এদের মধ্যে ইইউয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গঠিত শুল্ক কাঠামোর ভিত্তিতে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্তের প্রস্তাবটি হারে ২৬৪-২৭২ ভোটে। অন্যদিকে কোনও ব্রেক্সিট চুক্তিকে সংসদে সমর্থন দেওয়ার আগে জনরায় নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাবটি হেরে গেছে ২৯৫-২৬৮ ভোটে।
আটটি প্রস্তাবের একটি ছিল চুক্তিহীনভাবে (নো-ডিল) ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন। কিন্তু এই প্রস্তাব হেরেছে ৪০০-১৬০ ভোটে। অন্যদিকে নিক বোলসের উত্থাপিত ইইউয়ের সঙ্গে একক বাজার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব হেরেছে ১৮৮-২৮৩ ভোটে। আবার নো-ডিল ব্রেক্সিট এড়াবার জন্য জোয়ানা চেরির একটি প্রস্তাব হেরেছে ১৮৪-২৯৩ ভোটে। ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রস্তাব করা ব্রেক্সিট চুক্তিটি হেরেছে ২৩৭-৩০৭ ভোটে।
আরেকটি প্রস্তাব ছিল, যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগ করবে, কিন্তু ‘ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড এসোসিয়েশন’ (ইএফটিএ) ও ‘ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়াতে’ (ইইএ) যুক্ত হবে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির এমপি জর্জ ইউস্টিসের এই প্রস্তাবটি হেরেছে ৬৫-৩৭৭ ভোটে। ‘কন্টিনজেন্ট প্রেফারেনশিয়াল অ্যারেঞ্জমেন্টস’ শীর্ষক আরেকটি প্রস্তাব হরেছে ১৩৯-৪২২ ভোটে।
বিকল্প প্রস্তাবগুলোর এমন ফলাফলের পর যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভেন বার্কলে বলেছেন, এর মাধ্যমে তার পূর্ব-ধারণাই শক্তিশালী হয়েছে। অর্থাৎ থেরেসা মের চুক্তিই সম্ভাব্য চুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো। তার ভাষ্য, ‘অনেক অপশন বিবেচনা করা হয়েছে।’ কিন্তু এটা স্পষ্ট যে, সামনে আগানোর ‘কোনও সহজ রাস্তা নেই।’