ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ব্রিটেনের নির্বাচনি জরিপ: ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছেন জেরেমি করবিন

  • আপডেট সময় ১১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন ক্রমাগত কমছে। বিপরীতে বেড়ে যাচ্ছে লেবার পার্টির সমর্থন। প্রচারণায় ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। এক বিশেষ জরিপের পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, শেষ পর্যন্ত বরিস জনসনের দল সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেলেও ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী ১২ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভোটার নিবন্ধন। চলমান নির্বাচনি প্রচারণা ও বিতর্কে ইসলাম বিদ্বেষ ও ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মতো বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ জরিপে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি লেবার পার্টি থেকে মাত্র ৬ পয়েন্ট এগিয়ে আছে। সপ্তাহখানে আগের জরিপে কনজারভেটিভরা ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে চিলো। জরিপগুলোতে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

স্বনামধন্য জরিপ সংস্থা বিএমজি রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, জেরেমি করবিন ক্রমাগত ভোটারদের সমর্থন আদায়ে সমর্থ হচ্ছেন যা অন্যান্য দলগুলোর জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জরিপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা এবং জানুয়ারি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে চাইলে অন্তত ৬ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতেই হবে বরিস জনসনকে। বিএমজির জরিপ প্রধান রবার্ট স্ট্রুদার বলেন, ১২ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এমন আলামত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিবর্তন দেখছি তাতে করে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পার্লামেন্ট হবে ঝুলন্ত।’

এমন এক সময়ে এই জরিপের ফলাফল সামনে এলো, যখন সমালোচনায় জর্জরিত জনসন। অবিবাহিত মা এবং কর্মজীবী পুরুষদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রু নিলকে নিয়ে কথা বলেও সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। এছাড়া লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাতেও চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনজারভেটিভ দলের স্ট্র্যাটেজিস্টরা মঙ্গলবার লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশগ্রহণ নিয়েও একটু চিন্তিত। কারণ ট্রাম্প কখন কী বলে বসেন, সে ব্যাপারে কিছুই বলা যায় না। শুক্রবার বরিস জনসন নিজেই ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যেন তিনি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করেন।

বিএমজি জরিপে দেখা যায়, লিবারেল ডেমোক্রেটরা তাদের সমর্থন হারাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে তারা। ব্রেক্সিট পার্টি মাত্র চার শতাংশ সমর্থন নিয়ে আছে সবার নিচে। আর তাদের থেকে একটু এগিয়ে পাঁচ শতাংশ সমর্থন গ্রিনদের। জো ‍সুইনসনের দল লিবারেল ডেমোক্রেট আরও বেশি জনপ্রিয়তা আশা করছিলো। তবে জরিপের তথ্য অনুযায়ী লেবার পার্টিই এগিয়ে চলছে। গত সপ্তাহের ৩৯ শতাংশ থেকে এখন তাদের স্কোর ৪৬ শতাংশ।

লিবারেল ডেমোক্রেটদের জনপ্রিয়তা হারানোয় কনজারভেটিভরা শঙ্কিত কারণ এতে করে লেবার পর্টি এগিয়ে যাচ্ছে এবং ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত গণভোটের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। স্ট্রুদার বলেন, লেবার ভোটাররা ফিরছেন। ২০১৭ সালে যারা তাদের ভোট দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ এবারও একই পথে হাঁটতে চায়। এক সপ্তাহ আগেই এই সংখ্যা ছিলো ৬৭ শতাংশ।

অন্যদিকে কনজারভেটিভদের সমর্থন খুব বেশি বাড়ছে না। তাদের প্রতি ব্রেক্সিট দলগুলোর সমর্থন রয়েছে। তবে কনজারভেটিভ নিয়ন্ত্রিত আসন থেকে নাইজেল ফারাজ নিজেদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়েছে। যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে চাওয়াদের মধ্যে ৭০ শতাশং সমর্থন রয়েছে তাদের। লেবার পার্টি তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশকে নিজেদের দিকে টানতে পেরেছে।

স্ট্রুদার বলেন, জরিপের ফলাফল যথাযথ হলে কয়েকসপ্তাহ আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

ব্রিটেনের নির্বাচনি জরিপ: ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছেন জেরেমি করবিন

আপডেট সময় ১১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন ক্রমাগত কমছে। বিপরীতে বেড়ে যাচ্ছে লেবার পার্টির সমর্থন। প্রচারণায় ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। এক বিশেষ জরিপের পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, শেষ পর্যন্ত বরিস জনসনের দল সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেলেও ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী ১২ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ভোটার নিবন্ধন। চলমান নির্বাচনি প্রচারণা ও বিতর্কে ইসলাম বিদ্বেষ ও ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মতো বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ জরিপে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি লেবার পার্টি থেকে মাত্র ৬ পয়েন্ট এগিয়ে আছে। সপ্তাহখানে আগের জরিপে কনজারভেটিভরা ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে চিলো। জরিপগুলোতে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

স্বনামধন্য জরিপ সংস্থা বিএমজি রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, জেরেমি করবিন ক্রমাগত ভোটারদের সমর্থন আদায়ে সমর্থ হচ্ছেন যা অন্যান্য দলগুলোর জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জরিপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা এবং জানুয়ারি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে চাইলে অন্তত ৬ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতেই হবে বরিস জনসনকে। বিএমজির জরিপ প্রধান রবার্ট স্ট্রুদার বলেন, ১২ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এমন আলামত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিবর্তন দেখছি তাতে করে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পার্লামেন্ট হবে ঝুলন্ত।’

এমন এক সময়ে এই জরিপের ফলাফল সামনে এলো, যখন সমালোচনায় জর্জরিত জনসন। অবিবাহিত মা এবং কর্মজীবী পুরুষদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রু নিলকে নিয়ে কথা বলেও সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। এছাড়া লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাতেও চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনজারভেটিভ দলের স্ট্র্যাটেজিস্টরা মঙ্গলবার লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশগ্রহণ নিয়েও একটু চিন্তিত। কারণ ট্রাম্প কখন কী বলে বসেন, সে ব্যাপারে কিছুই বলা যায় না। শুক্রবার বরিস জনসন নিজেই ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছিলেন যেন তিনি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করেন।

বিএমজি জরিপে দেখা যায়, লিবারেল ডেমোক্রেটরা তাদের সমর্থন হারাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে তারা। ব্রেক্সিট পার্টি মাত্র চার শতাংশ সমর্থন নিয়ে আছে সবার নিচে। আর তাদের থেকে একটু এগিয়ে পাঁচ শতাংশ সমর্থন গ্রিনদের। জো ‍সুইনসনের দল লিবারেল ডেমোক্রেট আরও বেশি জনপ্রিয়তা আশা করছিলো। তবে জরিপের তথ্য অনুযায়ী লেবার পার্টিই এগিয়ে চলছে। গত সপ্তাহের ৩৯ শতাংশ থেকে এখন তাদের স্কোর ৪৬ শতাংশ।

লিবারেল ডেমোক্রেটদের জনপ্রিয়তা হারানোয় কনজারভেটিভরা শঙ্কিত কারণ এতে করে লেবার পর্টি এগিয়ে যাচ্ছে এবং ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত গণভোটের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। স্ট্রুদার বলেন, লেবার ভোটাররা ফিরছেন। ২০১৭ সালে যারা তাদের ভোট দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ এবারও একই পথে হাঁটতে চায়। এক সপ্তাহ আগেই এই সংখ্যা ছিলো ৬৭ শতাংশ।

অন্যদিকে কনজারভেটিভদের সমর্থন খুব বেশি বাড়ছে না। তাদের প্রতি ব্রেক্সিট দলগুলোর সমর্থন রয়েছে। তবে কনজারভেটিভ নিয়ন্ত্রিত আসন থেকে নাইজেল ফারাজ নিজেদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়েছে। যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে চাওয়াদের মধ্যে ৭০ শতাশং সমর্থন রয়েছে তাদের। লেবার পার্টি তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশকে নিজেদের দিকে টানতে পেরেছে।

স্ট্রুদার বলেন, জরিপের ফলাফল যথাযথ হলে কয়েকসপ্তাহ আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচন।