ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপও সক্রিয় হয়েছে ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন

ভারতের সিএএ বিশ্বের ‘বৃহত্তম রাষ্ট্রহীনতার সংকট’ তৈরি করবে: ইইউ-এর খসড়া

  • আপডেট সময় ০৪:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেড় শতাধিক আইনপ্রণেতা। বিতর্কিত এই আইন বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রহীনতার সংকট তৈরি করবে বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তারা। পাঁচ পৃষ্ঠার এক খসড়ায় তারা উল্লেখ করেছেন, যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত ওই আইন প্রস্তুত করেছে তাতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্টে ওই খসড়া পেশ করা হবে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ১৫৪ জন আইনপ্রণেতা অভিযোগ করেছেন, ‘সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে বিরোধীদের, সমালোচক সাংবাদিক ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে আইনি মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। অযথা তাদের হয়রানি করছে। আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তাদের আবেদন, ‘ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের কোনও প্রকার বাণিজ্য চুক্তির আগে ওই খসড়ায় উল্লেখ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাগুলো উল্লেখ করা হোক। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তোলা হোক।’

এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে খসড়ায় আইনপ্রণেতারা বলেছেন, প্রতিবাদীদের মামলায় না ফাঁসিয়ে আলোচনায় বসুন।

মোদি সরকারের কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার হননের চেষ্টা করছে ভারত। ফলে সিএএ আর এনআরসি বাস্তবায়ন হলে সে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই রাষ্ট্রহীন হবেন।’

ইইউ-এর আইনপ্রণেতারা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রদানে ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত মানবাধিকার রক্ষার ১৫ ধারা অনুসরণ করে। এতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের স্বতন্ত্র অধিকার আছে। রাষ্ট্র দ্বারা চিহ্নিত কোনও নাগরিক তার সেই অধিকার হারাতে পারবেন না বা কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। আর জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, সিএএ মৌলিকভাবে বিভেদকামী।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাস হওয়া সিএএ-তে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে বসবাসরত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইনকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। আর এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ

ভারতের সিএএ বিশ্বের ‘বৃহত্তম রাষ্ট্রহীনতার সংকট’ তৈরি করবে: ইইউ-এর খসড়া

আপডেট সময় ০৪:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০

ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেড় শতাধিক আইনপ্রণেতা। বিতর্কিত এই আইন বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রহীনতার সংকট তৈরি করবে বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তারা। পাঁচ পৃষ্ঠার এক খসড়ায় তারা উল্লেখ করেছেন, যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত ওই আইন প্রস্তুত করেছে তাতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্টে ওই খসড়া পেশ করা হবে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ১৫৪ জন আইনপ্রণেতা অভিযোগ করেছেন, ‘সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে বিরোধীদের, সমালোচক সাংবাদিক ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে আইনি মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। অযথা তাদের হয়রানি করছে। আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তাদের আবেদন, ‘ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের কোনও প্রকার বাণিজ্য চুক্তির আগে ওই খসড়ায় উল্লেখ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাগুলো উল্লেখ করা হোক। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তোলা হোক।’

এনআরসি ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে খসড়ায় আইনপ্রণেতারা বলেছেন, প্রতিবাদীদের মামলায় না ফাঁসিয়ে আলোচনায় বসুন।

মোদি সরকারের কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার হননের চেষ্টা করছে ভারত। ফলে সিএএ আর এনআরসি বাস্তবায়ন হলে সে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই রাষ্ট্রহীন হবেন।’

ইইউ-এর আইনপ্রণেতারা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রদানে ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত মানবাধিকার রক্ষার ১৫ ধারা অনুসরণ করে। এতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের স্বতন্ত্র অধিকার আছে। রাষ্ট্র দ্বারা চিহ্নিত কোনও নাগরিক তার সেই অধিকার হারাতে পারবেন না বা কেউ সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। আর জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, সিএএ মৌলিকভাবে বিভেদকামী।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাস হওয়া সিএএ-তে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে বসবাসরত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইনকে মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। আর এই আইনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।