ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভারত এখন ধর্ষণের রাজধানী : রাহুল গান্ধী

  • আপডেট সময় ০৪:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

ভারত এখন পুরো বিশ্বের চোখে ধর্ষণের রাজধানী বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল শনিবার কেরলের ওয়ানড়ে দেয়া এক বক্তব্যে রাহুল বলেন, ‘বর্তমান প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা ভারতে হিংসা ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেছেন।’
উন্নাওয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর ৯০ শতাংশ শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে তারা মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণ মামলার শুনানিতে যাওয়ার পথে তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্তরা। এরপরই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু ওই তরুণীর। এরপর শনিবার সকালে থেকেই ধর্ষণে অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় ভারতজুড়ে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব থেকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় যান অখিলেশ। আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী পৌঁছে যান রাজ্যপালের কাছে।
আর এরই মাঝে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে দেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রচন্ড হারে বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। গোটা বিশ্বের মানুষ এখন ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও দায়ী করেন তিনি।
রাহুল বলেন, বিশ্বের দরবারে এখন ভারতের পরিচয় ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে। বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। সারা দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা এ ব্যাপারে চুপ। কেউ কোনও কথা বলছে না।’ উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণে অভিযুক্ত। কিন্তু, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনটাই এই আদর্শের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায় ও ভাষার মধ্যে বিভাজন এনে সংস্কৃতিকে অপমান করছেন। তিনি অর্থনীতি সম্পর্কেও কিছু বোঝেন না। ফলে আমাদের দেশের মানুষ আতঙ্ক ও অস্বস্তির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। এসময় তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গতিপথ বদলের বদলে দেয়ার আহ্বান জানান।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

ভারত এখন ধর্ষণের রাজধানী : রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় ০৪:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ভারত এখন পুরো বিশ্বের চোখে ধর্ষণের রাজধানী বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল শনিবার কেরলের ওয়ানড়ে দেয়া এক বক্তব্যে রাহুল বলেন, ‘বর্তমান প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা ভারতে হিংসা ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেছেন।’
উন্নাওয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর ৯০ শতাংশ শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে তারা মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষণ মামলার শুনানিতে যাওয়ার পথে তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্তরা। এরপরই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু ওই তরুণীর। এরপর শনিবার সকালে থেকেই ধর্ষণে অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় ভারতজুড়ে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব থেকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় যান অখিলেশ। আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী পৌঁছে যান রাজ্যপালের কাছে।
আর এরই মাঝে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে দেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রচন্ড হারে বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। গোটা বিশ্বের মানুষ এখন ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী হিসেবেই চেনে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও দায়ী করেন তিনি।
রাহুল বলেন, বিশ্বের দরবারে এখন ভারতের পরিচয় ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে। বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। সারা দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা এ ব্যাপারে চুপ। কেউ কোনও কথা বলছে না।’ উত্তরপ্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণে অভিযুক্ত। কিন্তু, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবনটাই এই আদর্শের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তিনি ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায় ও ভাষার মধ্যে বিভাজন এনে সংস্কৃতিকে অপমান করছেন। তিনি অর্থনীতি সম্পর্কেও কিছু বোঝেন না। ফলে আমাদের দেশের মানুষ আতঙ্ক ও অস্বস্তির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। এসময় তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গতিপথ বদলের বদলে দেয়ার আহ্বান জানান।