ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মহামারীতেও প্রবাসী রেমিট্যান্স বেড়েছে

  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • ২০১ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ডলারের বেশি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। আগের দুই মাসের নিম্নমুখী ধারা থেকে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে লকডাউনের মধ্যে থেকেও প্রবাসীরা এই অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দুই লাখের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরলেও রেমিট্যান্সের পরিমাণ সে অর্থে কমেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরা ঈদকেন্দ্রিক সব সময় অর্থ বেশি পাঠান। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। ’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চলতি মে মাসে প্রথম ১৪ দিনে ৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের মাস এপ্রিলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। প্রতিবছরই ঈদের আগে রেমিট্যান্সে গতি আসে। গত বছর রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা আগের বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। ওই বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলার। এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৬৩ কোটি ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসে কমা শুরু করে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ডলার। যদিও আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে শুরু করলেও মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধাক্কা খায়। এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে, গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে যা ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু চলতি মে মাসে সে চিত্র উল্টে গিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে রেমিট্যান্সের প্রবাহমে মাসে প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে তা ৮০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ১৪ মে বৃহস্পতিবার এক দিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ১ হাজার ৩৩০ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৪ মে পর্যন্ত এসেছে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে গতকাল পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। যদিও সবাই ধারণা করছিল রপ্তানির মতো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের প্রণোদনা সুবিধার ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। ১২ মে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দেয়, প্রণোদনা পেতে ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সের ওপর কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে না। একই সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থের বেশি পাঠালে কাগজপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৫ দিনের পরিবর্তে দুই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে সংকট। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও লকডাউনের কারণে অনেক কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এতে ধারণা করা হয়, রেমিট্যান্সের পরিমাণ খুবই কমে যাবে। তবে তা হয়নি। ঈদ সামনে রেখে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় সুখবর। রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনার শর্ত শিথিল করার প্রভাব রয়েছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি। ’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

মহামারীতেও প্রবাসী রেমিট্যান্স বেড়েছে

আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ডলারের বেশি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। আগের দুই মাসের নিম্নমুখী ধারা থেকে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে লকডাউনের মধ্যে থেকেও প্রবাসীরা এই অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দুই লাখের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরলেও রেমিট্যান্সের পরিমাণ সে অর্থে কমেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরা ঈদকেন্দ্রিক সব সময় অর্থ বেশি পাঠান। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। ’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চলতি মে মাসে প্রথম ১৪ দিনে ৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের মাস এপ্রিলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। প্রতিবছরই ঈদের আগে রেমিট্যান্সে গতি আসে। গত বছর রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা আগের বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। ওই বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলার। এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৬৩ কোটি ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসে কমা শুরু করে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ডলার। যদিও আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে শুরু করলেও মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধাক্কা খায়। এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে, গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে যা ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু চলতি মে মাসে সে চিত্র উল্টে গিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে রেমিট্যান্সের প্রবাহমে মাসে প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে তা ৮০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ১৪ মে বৃহস্পতিবার এক দিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ১ হাজার ৩৩০ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৪ মে পর্যন্ত এসেছে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে গতকাল পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। যদিও সবাই ধারণা করছিল রপ্তানির মতো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের প্রণোদনা সুবিধার ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। ১২ মে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দেয়, প্রণোদনা পেতে ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সের ওপর কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে না। একই সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থের বেশি পাঠালে কাগজপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৫ দিনের পরিবর্তে দুই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে সংকট। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও লকডাউনের কারণে অনেক কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এতে ধারণা করা হয়, রেমিট্যান্সের পরিমাণ খুবই কমে যাবে। তবে তা হয়নি। ঈদ সামনে রেখে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় সুখবর। রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনার শর্ত শিথিল করার প্রভাব রয়েছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি। ’