ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায় পুনর্গঠিত না হলে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না : বদিউল আলম মজুমদা আটক আ. লীগ নেতাকে র‍্যাবের গাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক পোস্টের মতে প্যারিস আর বিশ্বের সেরা রোমান্টিক শহর নয়! দূর্নীতির অভিযোগে ফেসে যাচ্ছেন ফ্রান্সের তালহাসহ তিন রাষ্ট্রদূত প্যারিসে প্যারিফেরিকে গাড়ির গতি ঘন্টায় ৫০ কি.মি এ নামছে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ গনঅভ্যুথানের স্রোতে বিদায় স্বৈরশাসন ন্যাশন্স লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে নামছে ফ্রান্স

মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে

  • আপডেট সময় ১২:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

আদালতের বাইরে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ওপর রোববারের হামলায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। একই সঙ্গে তারা এ হামলার তদন্ত দাবি করেছে কর্তৃপক্ষের কাছে এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। এমন দাবি জানিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিপিজে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ায় একটি মানহানির মামলার শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাকে আহত হরে। হাসপাতাল থেকে সিপিজেকে এসব কথা জানিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। ওদিকে ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, ওই হামলায় জড়িত থাকার দায় অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। বিরোধী দল পন্থি দৈনিক আমার দেশ জোর করে বন্ধ করে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কাজের জন্য অতীতে তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। সিপিজের উপ নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ম্যাহোনি বলেছেন, শেখ হাসিনার সমালোচক সাংবাদিকরা তাদের কাজ নিয়ে কিভাবে, কি পরিবেশে লড়াই করছেন তারই চিত্র ফুটে উঠেছে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে। যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিন্দা জানাতে হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কুষ্টিয়ায় মানহানির মামলায় সবেমাত্র জামিন পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান। তখন আদালতের ঠিক বাইরে ছাত্রলীগের প্রায় ১০০ নেতাকর্মী সমবেত হয়েছিলেন। তারা তাকে বেশ কয়েক ঘন্টা আদালতকক্ষের ভিতর অবরুদ্ধ করে ফেলে। এরপর তিনি আদালত কক্ষ ত্যাগের চেষ্টা করলে তার ওপর ইটপাটকেল ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায় তারা। মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তিনি পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা সাড়া দিয়েছে অত্যন্ত ধীর গগিতে। হামলার পর তাকে কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় নি তারা। এ সময় তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তার মাথায় বেশ কতগুলো ক্ষত হয়েছে। মাথার পিছন দিকে ও চিবুকে ক্ষত হয়েছে। সেগুলোতে সেলাই দেয়া হয়েছে। তাকে একরাত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিতে থাকতে হয়েছে।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিপিজে। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয় নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে অনেক মামলায় লড়ছেন মাহমুদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা বহুমাত্রিক হুমকি মোকাবিলা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি মানহানি, জোরপূর্বক গুম, সরকার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শন। এ জন্য উচ্চ মাত্রায় এখানে সেলফ সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। এ বিষয়টি প্রামাণ্য হিসেবে ধারণ করেছে সিপিজে। এ ছাড়া তারা আরো প্রামাণ্য হিসেবে ধারণ করেছে কিভাবে সরকার বিরোধী দলীয় প্রেসকে টার্গেট করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা

মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে

আপডেট সময় ১২:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮

আদালতের বাইরে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ওপর রোববারের হামলায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। একই সঙ্গে তারা এ হামলার তদন্ত দাবি করেছে কর্তৃপক্ষের কাছে এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। এমন দাবি জানিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সিপিজে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়ায় একটি মানহানির মামলার শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাকে আহত হরে। হাসপাতাল থেকে সিপিজেকে এসব কথা জানিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। ওদিকে ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, ওই হামলায় জড়িত থাকার দায় অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। বিরোধী দল পন্থি দৈনিক আমার দেশ জোর করে বন্ধ করে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কাজের জন্য অতীতে তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। সিপিজের উপ নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ম্যাহোনি বলেছেন, শেখ হাসিনার সমালোচক সাংবাদিকরা তাদের কাজ নিয়ে কিভাবে, কি পরিবেশে লড়াই করছেন তারই চিত্র ফুটে উঠেছে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে। যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিন্দা জানাতে হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কুষ্টিয়ায় মানহানির মামলায় সবেমাত্র জামিন পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান। তখন আদালতের ঠিক বাইরে ছাত্রলীগের প্রায় ১০০ নেতাকর্মী সমবেত হয়েছিলেন। তারা তাকে বেশ কয়েক ঘন্টা আদালতকক্ষের ভিতর অবরুদ্ধ করে ফেলে। এরপর তিনি আদালত কক্ষ ত্যাগের চেষ্টা করলে তার ওপর ইটপাটকেল ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায় তারা। মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তিনি পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা সাড়া দিয়েছে অত্যন্ত ধীর গগিতে। হামলার পর তাকে কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় নি তারা। এ সময় তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তার মাথায় বেশ কতগুলো ক্ষত হয়েছে। মাথার পিছন দিকে ও চিবুকে ক্ষত হয়েছে। সেগুলোতে সেলাই দেয়া হয়েছে। তাকে একরাত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিতে থাকতে হয়েছে।
এ নিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিপিজে। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয় নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে অনেক মামলায় লড়ছেন মাহমুদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা বহুমাত্রিক হুমকি মোকাবিলা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি মানহানি, জোরপূর্বক গুম, সরকার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শন। এ জন্য উচ্চ মাত্রায় এখানে সেলফ সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। এ বিষয়টি প্রামাণ্য হিসেবে ধারণ করেছে সিপিজে। এ ছাড়া তারা আরো প্রামাণ্য হিসেবে ধারণ করেছে কিভাবে সরকার বিরোধী দলীয় প্রেসকে টার্গেট করেছে।