ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

  • আপডেট সময় ০৩:২৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার ঘটনায় মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তারা একমত হন বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স।

২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডরিকা মোঘেরিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে বেশ কিছু ব্যক্তির ইউরোপ ভ্রমণ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব পাস করার কথা রয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক ও কৌশলগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রীরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে ইইউ’র এবারের নিষেধাজ্ঞাই হতে পারে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পক্ষ থেকে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্ত হবে।

ইইউ’র বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে চেয়েছেন। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে। তবে আরও কঠোর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞার আলোচনা হলেও বৈঠকে মিয়ানমারের কোনও সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুইজন কূটনীতিক বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য গত ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল মাং মাং সোয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে একজন কূটনীতিক বলেছেন, ইইউর নিধেষাজ্ঞার তালিকায় একজনের বেশি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার নাম থাকবে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের আরেকটি নিধেষাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করা হলেও ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন ও রাশিয়া তাতে বাধা দিয়েছে। তারা বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে। ওই বাধার প্রতিবাদেই ইইউ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে একমত ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

আপডেট সময় ০৩:২৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার ঘটনায় মায়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তারা একমত হন বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স।

২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখের মতো মানুষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডরিকা মোঘেরিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে বেশ কিছু ব্যক্তির ইউরোপ ভ্রমণ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তাব পাস করার কথা রয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক ও কৌশলগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রীরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে ইইউ’র এবারের নিষেধাজ্ঞাই হতে পারে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পক্ষ থেকে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্ত হবে।

ইইউ’র বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে চেয়েছেন। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বলবৎ রয়েছে। তবে আরও কঠোর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞার আলোচনা হলেও বৈঠকে মিয়ানমারের কোনও সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুইজন কূটনীতিক বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য গত ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল মাং মাং সোয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে একজন কূটনীতিক বলেছেন, ইইউর নিধেষাজ্ঞার তালিকায় একজনের বেশি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার নাম থাকবে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের আরেকটি নিধেষাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করা হলেও ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন ও রাশিয়া তাতে বাধা দিয়েছে। তারা বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে। ওই বাধার প্রতিবাদেই ইইউ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।