ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইমদাদুল হক লুলু পেলেন না রাষ্ট্রীয় মর্যাদা

  • আপডেট সময় ১১:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৮
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক :অসংখ্য অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ , মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেও ‘৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এসএসসি পরীক্ষা বর্জনকারী , ভারতীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত , জেনারেল ওসমানীর স্বাক্ষরিত সনদধারী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা গ্রামের কাজী ইমদাদুল হক লুলুর ভাগ্যে জুটলোনা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা।
সুবক্তা , বন্ধুবৎসল কাজী ইমদাদুল হক লুলু হাইস্কুল জীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে স্বক্রিয় ছিলেন। চাচা কাজী মুজিবুর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাল্য সহচর এবং আওয়ামী লীগ নেতা। সেই সুবাদে বাড়িতে ছিলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতার নিয়মিত যাতায়াত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইসমত কাদির গামা’র আত্মীয়তার সুবাদে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। স্বাভাবিক কারনেই কাজী ইমদাদুল হক লুলু স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। বোয়ালমারী জর্জ একাডেমী শাখার পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে এসএসসি পরীক্ষা বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্যে ভারত গমন করেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশে ফেরেন। ১৯৭২ সালে এসএসসি পাশের পর বোয়ালমারী ডিগ্রি কলেজ ও থানা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে যখোন কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ করতে ভয় পেতো , তখোন ইমদাদুল হক চাচা কাজী মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগকে পূনরায় সুপ্রষ্ঠিত করেন।
কাজী ইমদাদুল হক লুলু তাঁর সত্‍ ও যোগ্য নেতৃত্বের পুরস্কার স্বরূপ পরপর দুইবার বোয়ালমারী কলেজ ছাত্র – ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। (১৯৭৯ -‘৮০ এবং ১৯৮১ – ‘৮২)
কাজী ইমদাদুল হক লুলুর অন্তিম ইচ্ছা রাজনীতে পূনর্বাসন এবং অন্তিমশয়ানে রাষ্টীয় মর্যাদা প্রাপ্তি তাঁর স্বপ্নই থেকে গেলো। চাকুরী সুবাদে দূরে থাকায় এবং বিভিন্ন সময়ে অসত্‍ নেতৃত্বের অনৈতিক অর্থনৈতিক দাবী পুরনে ব্যর্থ বা অনৈতিক দাবী পুরনে অসম্মতি জানানোর কারনে ভারতীয় প্রশিক্ষণ , জেনারেল ওসমানির স্বাক্ষরিত সনদ , তোফায়েল আহম্মদের বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান সূচক সনদ অনৈতিক দাবীর কাছে মাথা কুটে মরেছে। নগদ নারায়নে অনেক অমুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা ও কোটা সুবিধা ভোগ করে ছেলেমেয়েদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। সর্বশেষ যাচাই বাছাইয়ে কাজী ইমদাদুল হক লুলুর নাম ১নং তালিকায় উঠলেও যাচাই – বাছাই কমিটির কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত না করার কারনে স্বপ্ন পুরনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও কাজী ইমদাদুল হক লুলুর রাষ্টীয় মর্যাদায় সমাহিত হবার শেষ ইচ্ছে পুরন হলোনা।গত বুধবার দিবাগত রাতে কর্মস্থল খুলনায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা গ্রামে নামাজের জানায়া শেষে ছোলনা গোরস্থানে দাফন করা হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইমদাদুল হক লুলু পেলেন না রাষ্ট্রীয় মর্যাদা

আপডেট সময় ১১:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৮

ডেস্ক :অসংখ্য অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ , মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেও ‘৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এসএসসি পরীক্ষা বর্জনকারী , ভারতীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত , জেনারেল ওসমানীর স্বাক্ষরিত সনদধারী প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা গ্রামের কাজী ইমদাদুল হক লুলুর ভাগ্যে জুটলোনা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা।
সুবক্তা , বন্ধুবৎসল কাজী ইমদাদুল হক লুলু হাইস্কুল জীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে স্বক্রিয় ছিলেন। চাচা কাজী মুজিবুর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাল্য সহচর এবং আওয়ামী লীগ নেতা। সেই সুবাদে বাড়িতে ছিলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতার নিয়মিত যাতায়াত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইসমত কাদির গামা’র আত্মীয়তার সুবাদে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। স্বাভাবিক কারনেই কাজী ইমদাদুল হক লুলু স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। বোয়ালমারী জর্জ একাডেমী শাখার পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে এসএসসি পরীক্ষা বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্যে ভারত গমন করেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশে ফেরেন। ১৯৭২ সালে এসএসসি পাশের পর বোয়ালমারী ডিগ্রি কলেজ ও থানা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে যখোন কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ করতে ভয় পেতো , তখোন ইমদাদুল হক চাচা কাজী মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগকে পূনরায় সুপ্রষ্ঠিত করেন।
কাজী ইমদাদুল হক লুলু তাঁর সত্‍ ও যোগ্য নেতৃত্বের পুরস্কার স্বরূপ পরপর দুইবার বোয়ালমারী কলেজ ছাত্র – ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। (১৯৭৯ -‘৮০ এবং ১৯৮১ – ‘৮২)
কাজী ইমদাদুল হক লুলুর অন্তিম ইচ্ছা রাজনীতে পূনর্বাসন এবং অন্তিমশয়ানে রাষ্টীয় মর্যাদা প্রাপ্তি তাঁর স্বপ্নই থেকে গেলো। চাকুরী সুবাদে দূরে থাকায় এবং বিভিন্ন সময়ে অসত্‍ নেতৃত্বের অনৈতিক অর্থনৈতিক দাবী পুরনে ব্যর্থ বা অনৈতিক দাবী পুরনে অসম্মতি জানানোর কারনে ভারতীয় প্রশিক্ষণ , জেনারেল ওসমানির স্বাক্ষরিত সনদ , তোফায়েল আহম্মদের বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান সূচক সনদ অনৈতিক দাবীর কাছে মাথা কুটে মরেছে। নগদ নারায়নে অনেক অমুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা ও কোটা সুবিধা ভোগ করে ছেলেমেয়েদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। সর্বশেষ যাচাই বাছাইয়ে কাজী ইমদাদুল হক লুলুর নাম ১নং তালিকায় উঠলেও যাচাই – বাছাই কমিটির কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত না করার কারনে স্বপ্ন পুরনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও কাজী ইমদাদুল হক লুলুর রাষ্টীয় মর্যাদায় সমাহিত হবার শেষ ইচ্ছে পুরন হলোনা।গত বুধবার দিবাগত রাতে কর্মস্থল খুলনায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা গ্রামে নামাজের জানায়া শেষে ছোলনা গোরস্থানে দাফন করা হয়।