ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায় পুনর্গঠিত না হলে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না : বদিউল আলম মজুমদা আটক আ. লীগ নেতাকে র‍্যাবের গাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক পোস্টের মতে প্যারিস আর বিশ্বের সেরা রোমান্টিক শহর নয়! দূর্নীতির অভিযোগে ফেসে যাচ্ছেন ফ্রান্সের তালহাসহ তিন রাষ্ট্রদূত প্যারিসে প্যারিফেরিকে গাড়ির গতি ঘন্টায় ৫০ কি.মি এ নামছে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ গনঅভ্যুথানের স্রোতে বিদায় স্বৈরশাসন ন্যাশন্স লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে নামছে ফ্রান্স

ম্যাক্রোঁর মধ্যস্ততায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হবে

  • আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

ইরান ইস্যুতে আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোকে সমঝোতামুলক আলোচনায় বসাতে চান তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাহলে তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি ঘটনা এমনই হয় তাহলে ইরান ইস্যুতে পারস্য উপসাগরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার একটা কিনারা হতে পারে। জি-৭ সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ম্যাক্রনকে ইরানের সঙ্গে অচলাবস্থা ভঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ম্যাক্রনকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে এর জন্য অবশ্যই আমি রাজি থাকবো।

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রন দু’বার বলেছেন, পরস্পর বিরোধী দু’পক্ষকে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক টেবিলে বসাবেন। একটি চুক্তি করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এমন একটি চুক্তি হবে, যার ফলে ইরানের তেলের ওপর অবরোধের শেষ হয়। অন্যদিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বিধিনিষেধ থাকে। উল্লেখ্য, একই রকম সুবিধা দিয়ে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রন বলেছেন, শর্ত এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু এখন আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং তা সেখানে উত্থাপন করতে হবে। আমি আশা করি, ট্রাম্পের সঙ্গে এই মতামত বিনিময়ের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে একটি সামিট করতে সক্ষম হবো।

ওদিকে সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে অনুষ্ঠিত জি-৭ এ গিয়ে উপস্থিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভাদ জারিফ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তবে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ম্যাক্রনকে। ম্যাক্রনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন। আমার কাছে তার বিষয়ে (আমন্ত্রণ জানানো) জানতে চাইলেন। আমি বললাম, যদি আপনি চান তাহলে করুন। আমি এটাকে অসম্মানজনক বলে মোটেও মনে করিনা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা

ম্যাক্রোঁর মধ্যস্ততায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হবে

আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

ইরান ইস্যুতে আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোকে সমঝোতামুলক আলোচনায় বসাতে চান তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাহলে তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি ঘটনা এমনই হয় তাহলে ইরান ইস্যুতে পারস্য উপসাগরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার একটা কিনারা হতে পারে। জি-৭ সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ম্যাক্রনকে ইরানের সঙ্গে অচলাবস্থা ভঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ম্যাক্রনকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে এর জন্য অবশ্যই আমি রাজি থাকবো।

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রন দু’বার বলেছেন, পরস্পর বিরোধী দু’পক্ষকে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক টেবিলে বসাবেন। একটি চুক্তি করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এমন একটি চুক্তি হবে, যার ফলে ইরানের তেলের ওপর অবরোধের শেষ হয়। অন্যদিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বিধিনিষেধ থাকে। উল্লেখ্য, একই রকম সুবিধা দিয়ে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রন বলেছেন, শর্ত এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু এখন আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং তা সেখানে উত্থাপন করতে হবে। আমি আশা করি, ট্রাম্পের সঙ্গে এই মতামত বিনিময়ের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে একটি সামিট করতে সক্ষম হবো।

ওদিকে সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে অনুষ্ঠিত জি-৭ এ গিয়ে উপস্থিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভাদ জারিফ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তবে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ম্যাক্রনকে। ম্যাক্রনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন। আমার কাছে তার বিষয়ে (আমন্ত্রণ জানানো) জানতে চাইলেন। আমি বললাম, যদি আপনি চান তাহলে করুন। আমি এটাকে অসম্মানজনক বলে মোটেও মনে করিনা।