ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ম্যাক্রোঁর মধ্যস্ততায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হবে

  • আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

ইরান ইস্যুতে আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোকে সমঝোতামুলক আলোচনায় বসাতে চান তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাহলে তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি ঘটনা এমনই হয় তাহলে ইরান ইস্যুতে পারস্য উপসাগরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার একটা কিনারা হতে পারে। জি-৭ সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ম্যাক্রনকে ইরানের সঙ্গে অচলাবস্থা ভঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ম্যাক্রনকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে এর জন্য অবশ্যই আমি রাজি থাকবো।

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রন দু’বার বলেছেন, পরস্পর বিরোধী দু’পক্ষকে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক টেবিলে বসাবেন। একটি চুক্তি করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এমন একটি চুক্তি হবে, যার ফলে ইরানের তেলের ওপর অবরোধের শেষ হয়। অন্যদিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বিধিনিষেধ থাকে। উল্লেখ্য, একই রকম সুবিধা দিয়ে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রন বলেছেন, শর্ত এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু এখন আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং তা সেখানে উত্থাপন করতে হবে। আমি আশা করি, ট্রাম্পের সঙ্গে এই মতামত বিনিময়ের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে একটি সামিট করতে সক্ষম হবো।

ওদিকে সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে অনুষ্ঠিত জি-৭ এ গিয়ে উপস্থিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভাদ জারিফ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তবে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ম্যাক্রনকে। ম্যাক্রনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন। আমার কাছে তার বিষয়ে (আমন্ত্রণ জানানো) জানতে চাইলেন। আমি বললাম, যদি আপনি চান তাহলে করুন। আমি এটাকে অসম্মানজনক বলে মোটেও মনে করিনা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

ম্যাক্রোঁর মধ্যস্ততায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হবে

আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

ইরান ইস্যুতে আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোকে সমঝোতামুলক আলোচনায় বসাতে চান তিনি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাহলে তিনি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি ঘটনা এমনই হয় তাহলে ইরান ইস্যুতে পারস্য উপসাগরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার একটা কিনারা হতে পারে। জি-৭ সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ম্যাক্রনকে ইরানের সঙ্গে অচলাবস্থা ভঙ্গে একটি বৈঠকের বিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ম্যাক্রনকে মধ্যস্থতাকারী হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে এর জন্য অবশ্যই আমি রাজি থাকবো।

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রন দু’বার বলেছেন, পরস্পর বিরোধী দু’পক্ষকে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এক টেবিলে বসাবেন। একটি চুক্তি করার জন্য তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। এমন একটি চুক্তি হবে, যার ফলে ইরানের তেলের ওপর অবরোধের শেষ হয়। অন্যদিকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতায় বিধিনিষেধ থাকে। উল্লেখ্য, একই রকম সুবিধা দিয়ে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রন বলেছেন, শর্ত এবং লক্ষ্য সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু এখন আমাদেরকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে এবং তা সেখানে উত্থাপন করতে হবে। আমি আশা করি, ট্রাম্পের সঙ্গে এই মতামত বিনিময়ের পর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির মধ্যে একটি সামিট করতে সক্ষম হবো।

ওদিকে সপ্তাহান্তে আকস্মিকভাবে ফ্রান্সের বিয়ারিতজে অনুষ্ঠিত জি-৭ এ গিয়ে উপস্থিত হন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভাদ জারিফ। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেননি। তবে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ম্যাক্রনকে। ম্যাক্রনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললেন। আমার কাছে তার বিষয়ে (আমন্ত্রণ জানানো) জানতে চাইলেন। আমি বললাম, যদি আপনি চান তাহলে করুন। আমি এটাকে অসম্মানজনক বলে মোটেও মনে করিনা।