ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই” প্যারিসে সাফ ফোর্স ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান প্যারিসে অন্নপূর্ণা পূজা পরিষদের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পহেলা মে, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপের আয়োজনে দিবসকে স্মরণ প্যারিসে বেংগল টাইগার্সে স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই ইতালিতে খোলা‌ মাঠে “বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদে’র বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ

যুক্তরাজ্যে কাতারের বিনিয়োগের পরিমাণ তিন লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা

  • আপডেট সময় ০৮:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাজ্যে কাতারের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় তিন লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট টোবিয়াস এলউড এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

কাতারি সংবাদমাধ্যম আল শার্ক-এর সঙ্গে আলাপকালে টোবিয়াস এলউড বলেন, যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোতে কাতারের অংশগ্রহণ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।

টোবিয়াস এলউড বলেন, ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যসামগ্রী রফতানি করেছে কাতার। একই সময়ে কাতারে যুক্তরাজ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, দুই দেশের জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬২২টি। জ্বালানি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ নানা খাতে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মার্চে লন্ডনে যাত্রা শুরু করে ‘কাতার-ইউকে বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’। এর আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার কাতারি বিনিয়োগের কথা রয়েছে।

সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের পর দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবরোধ আরোপের পর অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যে মনোযোগী হয় দোহা। সৌদি জোটের অবরোধের জবাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছে দোহা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুসারে, অবরোধে ১৯ মাস পরও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সচল রাখতে সমর্থ হয়েছে দেশটি।

কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তখন দেশটি দুটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউটের রিসার্চ ফেলো মাইকেল স্টিফেন বলেন, ‘কাতারকে দুটি বড় লড়াই মোকাবিলা করতে হতো। একটি হলো বিশ্বমতকে আশ্বস্ত করা যে, তারা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে না। আর অন্যটি হলো তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেখানো। যাতে দেখানো যায় কাতার বিনিয়োগের ভালো জায়গা এবং কাতার বিদেশিদের সরাসরি বিনিয়োগের জন্য শর্ত সহজ করছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আগে কাতারের আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি আসতো নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী চারটি দেশের মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে কাতারের খাবার আসতো এসব দেশ হয়ে। ফলে নিষেধাজ্ঞার পরই কাতার সরকারকে দ্রুত তুরস্ক ও ইরানের মধ্য দিয়ে বিকল্প খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও মনোযোগ দিতে হয় দেশটিকে। দ্রুত দশ হাজারেরও বেশি গরু আমদানির মাধ্যমে দুধ সরবরাহ নিশ্চিত রাখা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাতারের সাবেক এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, কাতার নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ কাতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাতারকে সিদ্ধান্ত নিতে হতো, পশ্চিমা খাবার কোম্পানির কাছ থেকে মজুদ কেনা ভালো হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদে খাবার সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা ভালো হবে।

কাতারের বিনিয়োগ তহবিল আল রায়ানের সিনিয়র পরিচালক আকবর খান বলেন, অনেকের প্রত্যাশার চাইতেও ভালোভাবে সরকার এই সংকট মোকাবিলা করতে পেরেছে। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো সরকার নিশ্চিত করতে পেরেছে নাগরিকদের জীবন যেনও আক্রান্ত না হয়। এই অবরোধ আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।’ সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“চব্বিশের বিপ্লব স্বার্থক করতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের বিকল্প নেই”

যুক্তরাজ্যে কাতারের বিনিয়োগের পরিমাণ তিন লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৮:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৯

যুক্তরাজ্যে কাতারের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় তিন লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট টোবিয়াস এলউড এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

কাতারি সংবাদমাধ্যম আল শার্ক-এর সঙ্গে আলাপকালে টোবিয়াস এলউড বলেন, যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোতে কাতারের অংশগ্রহণ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।

টোবিয়াস এলউড বলেন, ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যসামগ্রী রফতানি করেছে কাতার। একই সময়ে কাতারে যুক্তরাজ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, দুই দেশের জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬২২টি। জ্বালানি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ নানা খাতে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মার্চে লন্ডনে যাত্রা শুরু করে ‘কাতার-ইউকে বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’। এর আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার কাতারি বিনিয়োগের কথা রয়েছে।

সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের পর দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবরোধ আরোপের পর অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যে মনোযোগী হয় দোহা। সৌদি জোটের অবরোধের জবাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছে দোহা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুসারে, অবরোধে ১৯ মাস পরও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সচল রাখতে সমর্থ হয়েছে দেশটি।

কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তখন দেশটি দুটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইন্সটিটিউটের রিসার্চ ফেলো মাইকেল স্টিফেন বলেন, ‘কাতারকে দুটি বড় লড়াই মোকাবিলা করতে হতো। একটি হলো বিশ্বমতকে আশ্বস্ত করা যে, তারা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে না। আর অন্যটি হলো তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেখানো। যাতে দেখানো যায় কাতার বিনিয়োগের ভালো জায়গা এবং কাতার বিদেশিদের সরাসরি বিনিয়োগের জন্য শর্ত সহজ করছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আগে কাতারের আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি আসতো নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী চারটি দেশের মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে কাতারের খাবার আসতো এসব দেশ হয়ে। ফলে নিষেধাজ্ঞার পরই কাতার সরকারকে দ্রুত তুরস্ক ও ইরানের মধ্য দিয়ে বিকল্প খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও মনোযোগ দিতে হয় দেশটিকে। দ্রুত দশ হাজারেরও বেশি গরু আমদানির মাধ্যমে দুধ সরবরাহ নিশ্চিত রাখা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাতারের সাবেক এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, কাতার নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পেরেছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ কাতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাতারকে সিদ্ধান্ত নিতে হতো, পশ্চিমা খাবার কোম্পানির কাছ থেকে মজুদ কেনা ভালো হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদে খাবার সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা ভালো হবে।

কাতারের বিনিয়োগ তহবিল আল রায়ানের সিনিয়র পরিচালক আকবর খান বলেন, অনেকের প্রত্যাশার চাইতেও ভালোভাবে সরকার এই সংকট মোকাবিলা করতে পেরেছে। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো সরকার নিশ্চিত করতে পেরেছে নাগরিকদের জীবন যেনও আক্রান্ত না হয়। এই অবরোধ আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।’ সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।