ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্সে জমকালো আয়োজনে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্পোর্টিং ক্লাবের ইফতার ও জার্সি উন্মোচন প্যারিসে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনট “ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন” শিওরখাল ওয়ান কমিউনিটির মানবিক উদ্যোগ: পবিত্র রমজানে ১০০ পরিবারে নগদ সহায়তা

যুক্তরাজ্যে ভেকসিনের ইতিবাচক প্রভাব ঃ সংক্রমণ কমার ইঙ্গিত

  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১
  • ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বে সবার আগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে যুক্তরাজ্য। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ফাইজারের টিকার মাধ্যমে শুরু হয় এ কার্যক্রম। সম্প্রতি প্রাথমিক কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ইতোমধ্যেই টিকাদানের ফলে দৈনিক সংক্রমণ হার কমাও শুরু হয়েছে।

টিকা নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই জীবাণু থেকে সুরক্ষার ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানান দেশটির জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান অ্যান্থনি হার্নডেন।

এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে, এমন শঙ্কায় ভুগছে যুক্তরাজ্য। প্রফেসর হার্নডেন সেই ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বলেন, ফাইজার টিকার ডোজ সঙ্কটের পরিস্থিতি দেখা দিলে ভিন্ন কোম্পানির টিকা ডোজ মিশ্র পদ্ধতিতে দেওয়ার উপায় আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাচ্ছে। কারণ, আমরা প্রমাণ পেয়েছি, টিকাদানের পর অন্তত কয়েক মাস টিকাগ্রহীতা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকেন।

জানুয়ারিতে মাসে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ হার কমেছে ৩৬ শতাংশ। অন্যান্য বয়স শ্রেণিতেও একই রকম তথ্য মিলছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ কমেছে ২০-এর ঘরে থাকাদের। তাদের মধ্যে কমেছে অর্ধেকের বেশি।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) নাগাদ যুক্তরাজ্যে আরও ৪,১৪,৪১৯ জন টিকা নিয়েছেন। ফলে মোট টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা এখন ৭৯ লাখ। এরফলে, নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা চারটি জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশিকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছে ব্রিটিশ জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএস)।

টিকা নেওয়ার পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরিতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তবে প্রফেসর হার্নডেন জানান, গণ-টিকাদান কেস সংখ্যা কমিয়েছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।

তিনি বলেন, একদম প্রথমদিকের এসব তথ্য-উপাত্ত ৮০ বছরের উপরে এবং প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ উভয় জনসংখ্যার মধ্যে সফলতা নির্দেশ করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক প্রভাবটি শক্তিশালী হয়। তাই একটু দেরি করে দ্বিতীয় ডোজ দিলে আমরা আরও দীর্ঘমেয়াদী এবং জোরদার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।

প্রথমদিকে যুক্তরাজ্য শুধু ৮০ বছরের বেশি বয়সী বয়োবৃদ্ধ, এনএইচএস কর্মী এবং বৃদ্ধাশ্রমের পরিচর্যাকারীদের টিকা দেওয়া হয়। এরপর তরুণসহ শারীরিক অবস্থার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরও দেওয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র: দ্য সানডে টাইমস

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

যুক্তরাজ্যে ভেকসিনের ইতিবাচক প্রভাব ঃ সংক্রমণ কমার ইঙ্গিত

আপডেট সময় ০৯:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

বিশ্বে সবার আগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে যুক্তরাজ্য। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ফাইজারের টিকার মাধ্যমে শুরু হয় এ কার্যক্রম। সম্প্রতি প্রাথমিক কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ইতোমধ্যেই টিকাদানের ফলে দৈনিক সংক্রমণ হার কমাও শুরু হয়েছে।

টিকা নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই জীবাণু থেকে সুরক্ষার ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানান দেশটির জয়েন্ট কমিটি অন ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান অ্যান্থনি হার্নডেন।

এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে, এমন শঙ্কায় ভুগছে যুক্তরাজ্য। প্রফেসর হার্নডেন সেই ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বলেন, ফাইজার টিকার ডোজ সঙ্কটের পরিস্থিতি দেখা দিলে ভিন্ন কোম্পানির টিকা ডোজ মিশ্র পদ্ধতিতে দেওয়ার উপায় আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাচ্ছে। কারণ, আমরা প্রমাণ পেয়েছি, টিকাদানের পর অন্তত কয়েক মাস টিকাগ্রহীতা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকেন।

জানুয়ারিতে মাসে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ হার কমেছে ৩৬ শতাংশ। অন্যান্য বয়স শ্রেণিতেও একই রকম তথ্য মিলছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ কমেছে ২০-এর ঘরে থাকাদের। তাদের মধ্যে কমেছে অর্ধেকের বেশি।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) নাগাদ যুক্তরাজ্যে আরও ৪,১৪,৪১৯ জন টিকা নিয়েছেন। ফলে মোট টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা এখন ৭৯ লাখ। এরফলে, নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা চারটি জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশিকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছে ব্রিটিশ জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএস)।

টিকা নেওয়ার পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরিতে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগে। তবে প্রফেসর হার্নডেন জানান, গণ-টিকাদান কেস সংখ্যা কমিয়েছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।

তিনি বলেন, একদম প্রথমদিকের এসব তথ্য-উপাত্ত ৮০ বছরের উপরে এবং প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ উভয় জনসংখ্যার মধ্যে সফলতা নির্দেশ করছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক প্রভাবটি শক্তিশালী হয়। তাই একটু দেরি করে দ্বিতীয় ডোজ দিলে আমরা আরও দীর্ঘমেয়াদী এবং জোরদার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।

প্রথমদিকে যুক্তরাজ্য শুধু ৮০ বছরের বেশি বয়সী বয়োবৃদ্ধ, এনএইচএস কর্মী এবং বৃদ্ধাশ্রমের পরিচর্যাকারীদের টিকা দেওয়া হয়। এরপর তরুণসহ শারীরিক অবস্থার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরও দেওয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র: দ্য সানডে টাইমস